বাংলাদেশের টাকা কোথায় ছাপানো হয়: গাজীপুর জেলায় অবস্থিত টাক সালে বাংলাদেশের টাকা ছাপানো হয়। বাংলাদেশের গাজীপুর জেলায় অবস্থিত এই টাকশালের নাম হচ্ছে The security printing Corporation (দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন)।
আর এটি হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র টাকা তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সকল কাগজের টাকা বা নোট এই প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টাকা তৈরি করা হলেও কোন প্রকার কয়েন বা কাঁচা পয়সা তৈরি করা হয় না।

এই প্রতিষ্ঠানে শুধু টাকাই তৈরি করা হয় তা না, এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টাকার পাশাপাশি সরকারি আরও জিনিস তৈরি হয়।
অভ্যন্তরীণ সংসদ বিভাগের সঞ্চয় পত্র, অফিসিয়াল স্ট্যাম্প, রাজস্ব স্ট্যাম্প, নন জুডিশিয়াল স্টাম, স্মারক ডাকটিকেট।
এখানে আরো খাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ট্যাক্স লেভেল, ব্যাংকের চেক বই, প্রাইজ বন্ড, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এর জি এস পি তৈরি করা হয়। এগুলোর পাশাপাশি এখানে আরও তৈরি হয় সব পাবলিক পরীক্ষার বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের নম্বর পত্র ও সনদ এছাড়াও আরো বিভিন্ন জিনিস।
বাংলাদেশের টাকাতে সাধারণত কি কি ব্যবহার করা হয়?
এই প্রতিষ্ঠানটি যখন ছিলনা তখন বাংলাদেশকে টাকা ছাপানোর জন্য অন্য দেশ থেকে টাকা ছাপিয়ে নিয়ে আসতে হতো।
কেননা পৃথিবীর মধ্যে স্বাধীন দেশের সংখ্যা ২০০ টি হলেও টাকা তৈরি হয় মাত্র ৬৫টি দেশের কারখানার মধ্যে।
আর এই ৬৫টি দেশের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশও একটি দেশ যে দেশের মধ্যে টাকা উৎপাদন করা হয় বা তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের টাকা বানানোর এই যে বিশেষ ধরনের কাগজ রয়েছে তা নিয়ে আসা হয় সুইজারল্যান্ড দেশ থেকে।
প্রায় সব ব্যাংক টাকা তৈরি করে তুলার তৈরি কাগজ থেকে যার প্রতি বর্গমিটারের ওজন ৮০ থেকে ৯০ গ্রাম প্রায়।
আর এই কাগজগুলোতে লিলেন যুক্ত করা যায় আর এই কাগজগুলো প্রায় দুই বছর পর্যন্ত স্থায়িত্ব হয় থাকে।
এই কাগজের মধ্যে জিলেটিন বা পলিভিনাল নামক দ্রব্য বা যৌগ যোগ করা হয় যার কারণে এটি বেশ টেকসই হয়। আর কাগজ সমূহের মধ্যে ফেরোম্যাগনেটিক কাগজও ব্যবহার করা হয় টাকার নিরাপত্তার জন্য বা নিরাপত্তার জন্য।
এই টাকার কাগজগুলো কটন বেস তবে আর এই কাগজ সমূহের মধ্যে লাইলন এবং অন্যান্য উপাদানও থাকে।
আর এই টাকার কাগজের মধ্যে কি রং ব্যবহার করা হয় তা গোপন করা হয়েছে টাকার নিরাপত্তা জনিত কারণে।
এই প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা
প্রতিষ্ঠানের চারদিক সুন্দরভাবে ঘেরা এবং দরজা ছাড়া অন্য কোন দিক দিয়ে ঢুকার সেরকম ভালো পথে নেই বা ভেতরে ঢোকা কঠিন।
আর এত কঠিন হওয়ার পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে ৮০ জন সুদক্ষ পুলিশ কাজ করে শুধুমাত্র নিরাপত্তার জন্য।
শুধু যে বাইরে এরকম কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা নয় উৎপাদন প্রক্রিয়াতেও কঠোর ব্যবস্থা রয়েছে এবং নিরাপত্তা রয়ছে। উৎপাদন এবং উৎপাদন করতে বাঞ্ছনীয় অংশ বা অপচয় হিসাব করা হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত হিসাব চলতে থাকবে।
হিসাব করা হলে গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতির মাধ্যমে ওয়েস্টেজ বা অধিকাংশ অংশ সমূহ কে সেখানে ধংস করে ফেলা হয়।
এখানে প্রবেশ করতে হলে চারটি দরজায় পুলিশকে যথাযথ নিয়ম এবং যথাযথ কাগজ দিয়ে প্রবেশ করতে হয়।
কথায় বলতে গেলে সেখানে এত কঠোর ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয় যে এক ঘরের কর্মী অন্য ঘরে যাওয়ার জন্য অনুমতি নিতে হয়। আর বাহিরে থেকে কোন ব্যক্তি ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে সকল প্রকার কাগজ পাতি এবং অনুমতি পত্র জমা দিয়ে ভিতরে যেতে হয়।
শেষ কথা
আশা করি আপনি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণরূপে পড়েছেন এবং জানতে পেরেছেন যে বাংলাদেশের টাকা কোথায় ছাপানো হয়।
আমরা এরকম বিভিন্ন তথ্য সমূহ এবং বিভিন্ন ভালো ভালো প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে থাকি।
আপনার যদি এরকম সুন্দর প্রশ্নের উত্তর জানার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটের সব সময় ভিজিট করতে পারেন। আর আপনার যদি কোন বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি আমাদের তা জানাতে পারেন আমরা চেষ্টা করব জানানোর।
এখানে আমি খুব ছোট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি যাতে আপনি খুব সহজে এটি বুঝতে পারেন।
আমি আশা রাখতেছি যে আমার বুঝানোর মাধ্যমে আমি আপনি সহজে বুঝতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: দুবাই ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা আজকের রেট।