প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পাশ নম্বর হচ্ছে গড়ে ৬০%। তবে এই পরীক্ষায় তিন শ্রেণীর ব্যক্তির জন্য তিন রকমের পাস নম্বর দেখা যায়।
এই তিন রকম ব্যক্তিগণ হলো: ১.) নারী, ২.) পুরুষ এবং ৩.) বিভিন্ন কোটার মানুষ (যেমন: মুক্তিযোদ্ধা)।
সকলের পাশ নম্বর একই নয় বরং লিঙ্গ অনুযায়ী পাশ নম্বরের পার্থক্য রয়েছে এবং সেই সাথে যাদের কোটা রয়েছে তাদেরও পার্থক্য রয়েছে।

অর্থাৎ যাদের কোটা রয়েছে তারা কম পয়েন্ট পেলেও কোনো না কোনোভাবে সুযোগ পায় চাকরি পাওয়ার বা উক্ত পরীক্ষায় টিকার।
চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কার কত পাশ নম্বর হয়ে থাকে এবং কিভাবে পাস করা যায় সহজে। আর অবশ্যই নারী এবং পুরুষের মধ্যে পাশ নম্বরের পার্থক্য রয়েছে কেননা এক্ষেত্রে নারীদেরকে খুব সহজে নিয়োগ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হয় প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ চাকরিতে।
প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নারীর পাশ নম্বর
প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যদি ১০০ মার্কের পরীক্ষা হয় তাহলে, একটি নারী পরীক্ষার্থীকে ৫০+ নম্বর পেতে হবে।
অর্থাৎ এখানে কেউ যদি ৫০ থেকে ৫৫ নম্বর এর মত পায় তাহলে সে পরীক্ষায় পাশ হতে পারবে।
তবে এক্ষেত্রে যদি কোন নারী পরীক্ষার্থী ৬০+ নম্বর পেয়ে যায় তাহলে তার চাকরি পাওয়ার সুযোগ বেশি হয়ে যায়।
আর যদি সহকারে নিয়োগ পরীক্ষায় ৫০ মার্কের পরীক্ষা হয় তাহলে, একটি নারী পরীক্ষার্থীকে ৩০+ নম্বর পেতে হবে।
কেউ যদি ৩০ থেকে ৩৫ নম্বর এর মতো নম্বর পায় তাহলে সে পরীক্ষায় পাশ হতে পারবে।
আর ঠিক এক্ষেত্রেও কোন নারী পরীক্ষার্থী যদি ৩৫+ নম্বর পায় তাহলে তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।
প্রাইমারি সহকারি নিয়োগ পরীক্ষায় পুরুষের পাশ নম্বর
প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যদি ১০০ মার্কের পরীক্ষা হয় তাহলে, একটি পুরুষ পরীক্ষার্থীকে ৬০+ নম্বর পেতে হবে।
অর্থাৎ এখানে কেউ যদি ৬০ থেকে ৬৫ নম্বর এর মত পায় তাহলে সে পরীক্ষায় পাশ হতে পারবে।
তবে এক্ষেত্রে যদি কোন পুরুষ পরীক্ষার্থী ৭০+ নম্বর পায় তাহলে তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়ার সুযোগ বেশি হয়ে যায়।
আর যদি সহকারে নিয়োগ পরীক্ষায় ৫০ মার্কের পরীক্ষা হয় তাহলে, একটি পুরুষ পরীক্ষার্থীকে ৩৫+ নম্বর পেতে হবে।
কেউ যদি ৩৫ থেকে ৪০ নম্বর এর মতো নম্বর পায় তাহলে সে পরীক্ষায় পাশ হতে পারবে।
আর ঠিক এক্ষেত্রেও পুরুষ পরীক্ষার্থী যদি ৪০+ নম্বর পায় তাহলে তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কোটার মানুষের পাশ নম্বর
কোটার শ্রেণীর মানুষের সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় গিয়ে ফ্যাসিলিটিজ বা সুযোগ সুবিধা থাকে অনেক বেশি।
এক্ষেত্রে কোটার শ্রেণীর মানুষজন যদি পুরুষ হয় তাহলে সে নারীর সমান নম্বর পেলে টিকে যেতে পারবে এবং চাকরির সুযোগ থাকে। আবার কোন নারীর কাছে যদি কোটার যোগ্যতা থাকে তাহলে ওই নারী তার পাশ নম্বর পাওয়া মাত্রই চাকরির সুযোগ পেয়ে যায়।
আবার অল্প কিছু নম্বর পাওয়ার ফলে ওই নারী খুব সহজে পরীক্ষায় পাশ হতে পারে।
শেষ কথা:
প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পাশ নম্বর জেনে নিন এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণরূপে তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। আপনি যদি প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে পাশ নম্বর পেতে হবে।
কেননা পাস নম্বর না পাওয়ায় আপনি পরীক্ষায় টিকবেন না ও আপনার চাকরি বাতিল হয়ে যাবে বা নিয়োগ বাতিল হয়ে যাবে।
আর কত নম্বরে পাস এটা তো অবশ্যই মাথা রাখতে হবে কেননা পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে আপনি নিজে বিবেচনা করতে পারবেন। বর্তমানে প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক এই চাকরিতে অনেক বেশি আরামদায়ক ও সুবিধাজনক হওয়ার কারণে সকলে করতে চায়।
তবে বর্তমানে এই চাকরি করতে গিয়ে বেড়েছে অনেক বেশি প্রতিযোগী এবং ফলস্বরূপ পেতে হবে অনেক বেশি নম্বর নিয়োগের জন্য।
আরও পড়ুন: প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কি?