প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি ঔষধ খেতে হবে? ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধ

প্রস্রাব ইনফেকশনে কোন ঔষধটি আমাদের জন্য বেশ উপকারী হবে বা প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি ঔষধ খেতে হবে এ বিষয় নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ি। প্রসাবে ইনফেকশন বা বাধাপ্রাপ্ত হওয়া এটি একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সমস্যা এবং আমাদের উচিত হবে এই সমস্যা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ গ্রহণ করা।

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ব্যাকটেরিয়াজনিত এই প্রসাব ইনফেকশনের কারণে বেশি চিন্তিত থাকেন। এই চিন্তিত থাকা দূর করাতে আপনাকে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী কার্যকরী এবং নরমাল কিছু প্রসাব ইনফেকশনের ঔষধ নিতে হবে।

যদি আপনার প্রসাব ইনফেকশন অনেক বেশি তীব্র এবং ঘন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে কার্যকরী ঔষধ নিতে হবে প্রসাব ইনফেকশনের। আর যদি আপনার প্রসাব ইনফেকশন তেমন ঘন না হয় সে ক্ষেত্রে আপনি নরমাল প্রসাব ইনফেকশনের ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারেন।

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি ঔষধ খেতে হবে
প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি ঔষধ খেতে হবে?

তাহলে প্রথমে আমরা অবশ্য চেষ্টা করব যেন নরমাল ঔষধ গুলো প্রাথমিক অবস্থায় গ্রহণ করার এবং প্রসাব ইনফেকশন দূর করার। আর অবশ্যই আপনার প্রসাব ইনফেকশন যদি প্রথম দিকে শুরু হয় বা এইবার প্রথম হয়েছে তাহলে অবশ্যই আপনি এই নরমাল ঔষধ গুলো সেবন করুন প্রসাব ইনফেকশনের।

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি ঔষধ খেতে হবে বা ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধের নাম হলো:

  • নাইট্রোফুরানটোইন (Nitrofurantoin),
  • ইউরোকিট প্লাস (Urokit Plus),
  • এ্যালকুলি সিরাপ (Alkuli Syrup),
  • নাইট্রোফার এস আর ১০০ (nitrofur sr 100),
  • এভিসন ক্রিম (Avison Cream),
  • সেফিক্সিম (Cefixime),
  • সেফুরক্সিম (Cefuroxime),
  • মনোসেফ 200 (Monocef – 200),
  • লিভোফ্লক্সাসিন 500 (Levofloxacin – 500),
  • গ্লেভো 500 (Glavo 500),
  • Loxof 500,
  • অফলক্সাসিন ট্যাবলেট (Ofloxacin Tablets),
  • অফলোম্যাক 200 (Oflomac 200),
  • zanocin 200,
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin),
  • সেফপোডক্সাইম 200 (Cefpodoxime – 200),
  • সিপ্লক্স 500 (Ciplox 500),
  • সিফ্রান 500 (Cifran 500)।

এরপর প্রত্যেকটি অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট আপনার প্রসাবে জ্বালা যন্ত্রণা এবং ইনফেকশন নিবারণ করতে সক্ষম। আপনি চাইলেই এদের মধ্যে যেকোনো একটি এন্টিবায়োটিক সেবন করতে পারেন এবং নিজের প্রসাব ইনফেকশন দূর করতে পারেন।

তবে মনে রাখবেন কোন ক্ষেত্রে আপনি একাধিক কোম্পানির ট্যাবলেট একই সময়ে গ্রহণ না করেন নিজের প্রসাব ইনফেকশন দূর করার জন্য।

প্রসাব ইনফেকশনে করনীয় কি?

তবে আপনার প্রসাব ইনফেকশন হয়েছে এবং এক্ষেত্রে আপনি ঔষধ গ্রহণ করার মাধ্যমে দু-একদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে গেলেন। এবং এরপর আপনি কোন পদক্ষেপ না গ্রহণ করলে অবশ্যই আপনার প্রসাব ইনফেকশন আবার হবে এবং এটি চিরকাল আপনার সঙ্গে লেগেই থাকবে।

তাই আপনাকে প্রসাব ইনফেকশন দূর করার জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে এবং প্রসাব ইনফেকশন দূর করতে হবে। প্রসাব ইনফেকশন দূর করার জন্য যে সকল বিষয় বা যে সকল করণীয় আপনাকে অবলম্বন করতে হবে তারপর থেকে আমরা এখানে উল্লেখ করার চেষ্টা করব।

নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু করণীয় উল্লেখ করা হলো আপনার প্রসাব ইনফেকশনের জন্য:

  • বেশি বেশি করে পানি পান করা এবং ঠান্ডা স্থানে অবস্থান করা।
  • প্রচন্ড রৌদ্রে অবস্থান না করা এবং ছায়াযুক্ত স্থানে আশ্রয় নেওয়া।
  • প্রতিনিয়ত গোসল করা (তবে মনে রাখবেন বেশি ঠান্ডা যেন না লাগে)
  • প্রসাবে বিলম্ব না করা এবং চাপ আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাব করা।
  • দূষিত পানি পান না করা এবং দূষিত পানিতে গোসল না করা।

আপনার যদি প্রসাবে ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে এ সকল করণীয় অবলম্বন করতে হবে ইনফেকশনের প্রতিরোধ হিসেবে। আর আপনার যদি প্রসাবে কোন প্রকার ইনফেকশন না থাকে তবুও আমি বলব আপনি এই সকল পদ্ধতি অবলম্বন করুন প্রসাব ইনফেকশন দূর করতে।

কেননা প্রসাব ইনফেকশন যে আপনার হয়ে বর্তমানের নেই তাই বলে পরবর্তীতে হবে না এমন কথা মোটেও বলা যাবে না।

বরং আপনার কোন একটি অস্বাভাবিক ক্রিয়া-কলাপের কারণে প্রসাব ইনফেকশন দেখা দিতে পারে এবং এর জন্য উপরোক্ত করণীয় গুলো রয়েছে।

শেষ কথা:

প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কি ঔষধ খেতে হবে এবং প্রসাব ইনফেকশন হলে করণীয় কি এ বিষয়ের উপর তৈরি করা আজকের পোস্ট। আর অবশ্যই আমি বলতে পারি যে আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি আপনার প্রসাব ইনফেকশন দূর করার টিপস পেয়ে গেছেন ইতিমধ্যে।

তবে যেমনটি বললাম আপনি আপনার প্রসাব ইনফেকশন দূর করতে চাইলে অবশ্যই বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে।

আবার সেই সাথে অত্যাধিক রোদে বেশিক্ষণ নিজেকে রাখা যাবে না কেননা এর ফলে বর্তমানে বেশিরভাগ লোকের ইনফেকশন দেখা দিয়েছে।

আর যদি আপনি পড়ে থাকেন ইনফেকশনের ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের দেওয়া ঔষধ গুলো গ্রহণ করুন প্রসাব ইনফেকশনের। আর আরেকটি কথা না বললেই নয় সেটি হচ্ছে প্রথমদিকে আপনার প্রসার ইনফেকশনের জন্য নরমাল ঔষধ গ্রহণ করবেন।

যদি লক্ষ্য করেন প্রসাব ইনফেকশন বেশি হয়েছে তাহলে পরবর্তীতে দেওয়া কার্যকরী ঔষধ গুলো নিবেন প্রসাব ইনফেকশনের।

আর প্রসাব ইনফেকশন সম্পর্কে তেমন কোন জটিলতার সৃষ্টি করবেন না বরং নির্দিষ্ট ঔষধ নিয়ে এবং উপায় অবলম্বন করে অবস্থান করুন।

আরও পড়ুন: কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top