প্রসাব ক্লিয়ার করার ঔষধ সম্পর্কে তৈরি করা আজকের এই পোস্টটিতে আমরা, এ বিষয়টি নিয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করব।
আধুনিকতার আজকের এই পৃথিবীতে বর্তমানে অধিকাংশ ব্যক্তি আমরা প্রসাব ক্লিয়ার না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী হয়ে পড়েছি। এবং আধুনিক পৃথিবীতে বসবাস করার কারণে আমরা সম্পূর্ণরূপে ঔষধ এর উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে।
তবে ঔষধ সেবন করা অত বেশি উপকারী না, যত বেশি উপকার হবে আপনার ঘরোয়া পদ্ধতিতে রোগ-নিরাময় করা।
বর্তমানে সাইন্টিফাইক্যালি ভাবে এমন কোন ধরনের ঔষধ বের করা হয়নি, যার মাধ্যমে আপনার আমার প্রসাব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
তবে বৈজ্ঞানিকভাবে পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য নানা ধরনের ঔষধ এবং সাপোর্টিং ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। প্রসাব যেহেতু মানুষের নিজের দোষ এবং গুণের কারণে ক্লিয়ার হয় বা ক্লিয়ার হয় না, তাই এক্ষেত্রে আমাদেরকে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
আপনি আমি যদি প্রসাব ক্লিয়ার হওয়ার জন্য কাজ করে থাকি তাহলে প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না কেন।
এবং তারপর আমাদেরকে জানতে হবে কিভাবে আমরা আমাদের প্রসাব ক্লিয়ার করতে পারে খুব সহজে।
প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়ার কারণ
নানা ধরনের কারণে আমাদের প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না এবং এর পুরো দায়ভার শুধুমাত্র আমাদের উপরে পড়ে। কেননা আমাদের কতিপয় খারাপ অভ্যাসের কারণে প্রস্রাব ক্লিয়ার হতে পারে না।
১.) পানির কারণে
পানির কারণে আমাদের প্রস্রাব ক্লিয়ার হতে বাধা প্রদান হয় এবং অনেকে আমাকে বলবেন যে এটা কিভাবে সম্ভব।
আসলে অনেকেই আছে আমরা যারা সঠিক অনুপাতে পানি পান করি না, এবং প্রয়োজনের চেয়ে অধিক কম পরিমাণে পানি পান করি।
আর্থিক এ কারণে মানুষের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়, পানির ঘাটতে দেওয়ার কারণে প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না। তবে লক্ষ্য রাখবেন অত্যাধিক প্রাণে পান করবেন না, কেননা এর কারণে আবার আপনার ঘন প্রস্রাব জনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
২.) কিডনির কারণে
কিডনির কারণে প্রসাব ক্লিয়ার হতে বাধা পায়, অনেক সময় কিডনি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা কারণে ভেতরে পাথর জমতে পারে।
এর ফলে শরীরে থাকা পানি কিডনিতে গিয়ে ফিল্ডারিং হতে অসুবিধা সৃষ্টি করে।
আর যখন ফিল্টারিং হতে অসুবিধা সৃষ্টি হয় তখন, আমাদের মতো থলিতে মুত্র এসে জমা হতে পারে না। মূত্রথলিতে মূত্র আসার পর জমা হয়, তবে কিডনির কারণে যখন এ বিষয়টি বাধা প্রাপ্ত হয় তখন আমাদের প্রসাব ক্লিয়ার হতে পারে না।
তাই এক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং কোন ধরনের ঔষধ সেবন করা বন্ধ করুন।
আপনার কিডনি জনিত সমস্যা হলে আপনার পিঠের বাম দিকে এবং ডানদিকে ব্যথা অনুভব হবে।
এই লক্ষণ টুকু পরিলক্ষিত হলে আপনি ডাক্তার পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং আপনার মূত্রের কথা উল্লেখ করুন।
৩.) প্রসাব ইনফেকশনের কারণে
ইনফেকশন একটি অতি সাধারণ বিষয় এবং এর কারণে ও আমাদের প্রসাব ক্লিয়ার হতে পারে না। আপনার যদি প্রসাব ইনফেকশন থেকে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করুন। আপনার চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে আপনি প্রসাব ইনফেকশন দূর করার সাথে সাথে আপনার প্রসাব ক্লিয়ার করতে পারেন।
প্রসাব ক্লিয়ার না হওয়ার সামাজিক কারণসমূহ
সামাজিক নানা কারণের ফলে আমাদের প্রসাব ক্লিয়ার হতে বাধা প্রাপ্ত হয়, চলুন দেখে নেই:
১.) দূষিত পরিবেশে বসবাস করার কারণে
দূষিত পরিবেশে বসবাস করার কারণে আমাদের প্রসাব ক্লিয়ার হতে বাধা প্রাপ্ত হয় এবং এটি অনেক বড় ধরনের একটি সমস্যা। আপনি আমি যদি এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চায় তাহলে তা মোটেও সম্ভব হয়ে উঠে না।
কেননা বর্তমানে তারা প্রত্যেকটি পরিবেশে কিছু না কিছু দূষিত অবস্থায় বিরাজ করতেছে। তবে আপনি নিজের প্রচেষ্টায় এই দূষিত পরিস্থিতি দূর করতে পারেন, যেমন ময়লা আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলে এবং বাসা বাড়িতে অবস্থান করার মাধ্যমে।
অবশ্যই আপনি আপনার বাসা বাড়ির সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার রাখবেন এবং অনুরোধ দূষিত আবর্জনা রাখার দরকার নেই।
নিয়মমাফিক গোসল করবেন এবং সময় অনুযায়ী ভাত এবং পরিমাণমতো পানি গ্রহণ করবেন।
এই কতিপয় কারণ এবং ব্যবস্থা অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি দূষিত পরিবেশে বসবাস করার পরেও কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।
২.) দূষিত পানি ব্যবহার করা
প্রসাব ক্লিয়ার না হওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো দূষিত পানির ব্যবহার সতর্কতার সহিত না করা। দূষিত পানি আমরা সঠিক মত না ফুটিয়ে অযথা খেয়ে যায় এবং নানা কাজে ব্যবহার করে থাকি।
এর ফলে আমাদের গ্রহনকৃত পানি পরিপাক হওয়ার সময় বৃক্ষ নানা ধরনের ফিল্টারিং পরীক্ষায় বাধা প্রাপ্ত হয়।
বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে কিডনির বিভিন্ন জালিকার মধ্যে 2 পানির পদার্থ গুলো লেগে যায়।
এর ফলস্বরূপ আমাদের কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয় এবং প্রসাবে জ্বালা যন্ত্রণা ও কষ্ট দেখা দেয়। তাই দূষিত পানি ব্যবহার করার পূর্বে তা ফুটিয়ে নিন এবং যেকোনো ধরনের কাজে ব্যবহার করুন।
প্রসাব ক্লিয়ার করার ঘরোয়া উপায়
আমাদের প্রস্রাব নানা কারণে বিভিন্ন ঘটতে পারে এবং এ কারণে প্রসাব ক্লিয়ার হতে পারে না। আপনি যদি আপনার প্রস্রাব ক্লিয়ার করতে চান এবং দ্রুত করতে চান তাহলে আপনাকে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে হবে। নিচে কতিপয় ঘরোয়া উপায় উল্লেখ করা হলো:
১.) শ্রী-বেল বা কদবেল বেশি করে খাওয়া
আপনি যদি আপনার প্রসাব ক্লিয়ার করতে চান এবং জ্বালা দূর করতে চান তাহলে এই উপায়টি অনেক বেশি কার্যকরী।
যুগ যুগ বছর ধরে এবং বহু পুরনো কাল থেকে এই প্রচলনটি অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে মানুষ ব্যবহার করে আসছে।
শ্রী-বেল বা কদবেল হচ্ছে প্রসাবে যেকোনো ধরনের জ্বালা যন্ত্রণা এবং ক্লিয়ার প্রসাব করার একটি কার্যকরী করি উপায়।
শ্রী-বেল হচ্ছে সবচেয়ে বেশি উপকারী ফল যার মাধ্যমে আপনি শরবত তৈরি করতে পারেন এবং তা খেতে পারেন।
এই ফলের শরবত খাওয়ার ফলে আপনার আমার প্রসাব কিলিয়ার হয়ে যায় এবং জ্বালা-যন্ত্রণা দূর হয়।
তবে কদবেল এটি অত বেশি উপকারী নয় শ্রী-বেল এর তুলনায় কিন্তু এর মাধ্যমেও প্রসবের জ্বালা যন্ত্রণা কিছুটা হলেও দূর হয়।
২.) পানি পান করুন সঠিক অনুপাতে
আপনি যদি আপনার প্রসাব ক্লিয়ার করতে চান এবং দ্রুত প্রসাব ক্রিয়া করতে চান তাহলে অবশ্যই এ নিয়মটি আপনাকে মানতে হবে।
আপনি যদি প্রতিনিয়ত পরিমাণ মত পানি পান করেন এবং শারীরিক কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আপনার প্রসার দ্রুত হয়ে যাবে।
আমাদের সমাজে অনেক ধরনের ব্যাক্তি রয়েছেন যাদের পানি খাওয়ার অভ্যাস মোটেও নেই এবং তারা পানি খুব স্বল্প পরিমাণ পান করেন।
মনে রাখবেন সৃষ্টিকর্তা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট শক্তি দিয়েছে যার মাধ্যমে আপনার কতটুকু পানির প্রয়োজন হবে তা আপনি অনুভব করতে পারেন।
যদি আপনি লক্ষ্য করেন আপনার প্রয়োজনীয় পানি গ্রহণ করার পরেও আপনার প্রসাব ক্লিয়ার হচ্ছে না তাহলে, আপনি প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি পরিমাণে পানি পান করুন। এবং মনের ভিতর কোন ধরনের ভুল ধারণা আনবেন না যে, বেশি পানি খেলে আমার কোন ধরনের বড় সমস্যা হয়ে যাবে। এর ফলে আপনার ঘনঘন প্রসাব দেখা দেবে এবং আপনার প্রসাব পুরোপুরি ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
শেষ কথা:
আজকের মতো এই পোস্টটি এ পর্যন্তই এবং আশা করি আপনি এই পোস্টে পড়ার মাধ্যমে আপনার প্রসাবে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবেন। আমি সবসময় চাই আপনারা সুরক্ষিত থাকুন এবং স্বাস্থ্যবান হয়ে জীবন পরিচালনা করুন।
তাই পরিপূর্ণ নিয়মমাফিক অনুযায়ী কাজ করুন এবং কোন ধরনের চাপ নিয়ে কাজ করা উচিত নয় যা আপনার পক্ষে কষ্টসাধ্য।
আরও পড়ুন: ঘন ঘন প্রস্রাব।