প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা | প্রশাসন ক্যাডারের সুযোগ-সুবিধা

বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার জন্য শত শত যুবক প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চাই। কেননা যোগ্যতা না থাকা পর্যন্ত কোনভাবেই একজন যুবক বা পরীক্ষার্থী প্রশাসন ক্যাডার হতে পারবে না নিজের যোগ্যতার মাধ্যমে।

অর্থাৎ যাই হোক না কেন নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে এবং এই যোগ্যতা শুধুমাত্র প্রশাসন ক্যাডার হতে সাহায্য করবে। যোগ্যতা ছাড়া যে কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং অংশগ্রহণ করতে না পারার কারণে প্রশাসন ক্যাডার হতে পারবে না।

প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা
প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা

প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো:

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই:

  • যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করতে হবে।
  • এমনটা সম্ভব না হলে, এইচএসসি পাশের পর চার বছর মেয়াদী অনার্স ডিগ্রী বা সমমানের ডিগ্রি অর্জন করতে হবে।
  • অবশ্যই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্দিষ্ট জিপিএ পয়েন্ট প্রয়োজন হবে, যা কয়েক বছর পর পর পরিবর্তন করা হয়।
  • এর কোন বয়সের সীমা নেই কেননা, আপনি অনার্স পাশ করলে আপনার নির্দিষ্ট বয়স হয়ে যায়।

প্রশাসন ক্যাডারে শারীরিকগত যোগ্যতা যাচাই:

পুরুষ প্রার্থীদের শারীরিক প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা:

  • অবশ্যই পুরুষ প্রার্থীর সর্বনিম্ন উচ্চতা ৫ ফুট থেকে ৬.৫ ফুট এর মধ্যে হতে হবে।
  • পুরুষ প্রার্থীর সর্বনিম্ন ওজন হতে হবে ৪৯ কিংবা ৫০ কেজির মতো।

মহিলা প্রার্থীদের শারীরিক যোগ্যতা:

  • অবশ্যই প্রশাসন ক্যাডারের জন্য মহিলা প্রার্থীর সর্বনিম্ন উচ্চতা ৪.১০ ফুট হতে হবে।
  • মহিলা প্রার্থীর সর্বনিম্ন ওজন ৪৩ কিংবা ৪৪ কেজির মতো হতে হবে।

তবে বলে নেওয়া ভালো আপনি যদি প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে পুলিশ কিংবা আনসার হতে চান তাহলে, অবশ্যই আপনার উচ্চতা আরো বেশি হতে হবে এবং ওজন আরো বেশি হতে হবে।

আর অবশ্যই আপনাকে সকল যোগ্যতা পূরণ করতে হবে প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে। আর এই সকল যোগ্যতা যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমি বলব আপনি প্রশাসন ক্যাডার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করুন এবং পরিস্থিতি বুঝে নিজের যোগ্যতা দেখান।

প্রশাসন ক্যাডারের কার্যক্রম

এগুলো তো ছিল যোগ্যতা আর বিষয় প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার কিন্তু এখন যদি আপনি উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডার হন। তখন আপনাকে জানতে হবে যে এখন আপনার কার্যক্রম কি বা আপনি কি কার্যক্রমের নিযুক্ত হয়েছেন দেশের জন্য।

আর আপনি যেন প্রথম থেকেই প্রশাসন ক্যাডারের কার্যক্রম জেনে থাকতে পারেন এবং সঠিক মত প্রশাসন ক্যাডারের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সেজন্য আমরা এখানে আপনাদের মাঝে প্রশাসন ক্যাডার কার্যক্রম গুলো উল্লেখ করে আনার চেষ্টা করব।

নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রশাসন ক্যাডারের কার্যক্রম গুলো উল্লেখ করা হলো:

  • দেশের প্রশাসন ক্যাডারে নিযুক্ত কর্মকর্তাগণ জেলা প্রশাসনের কার্যালয় অর্পিত নির্বাহী দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
  • নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মকর্তাগণ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, ইনভেস্টিগেশন, মাদকদ্রব্য চোরাচালান এবং ভেজাল বিরোধী সকল অভিযান পরিচালনা করা।
  • এছাড়াও রয়েছে মোবাইল কার্ড পরিচালনা, সরকারি সম্পত্তি বেদখল, নির্বাচনী দায়িত্ব পালন, এবং বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন ইত্যাদি।
  • সরকারের যে কোন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রশাসন ক্যাডার লক্ষ্য রাখে।
  • বিভিন্ন লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডার কাজ করে থাকে। যেকোনো ধরনের যাত্রা মেলা ও অনুষ্ঠান আয়োজনে সুরক্ষা প্রদানে কাজ করে।

এগুলো ছিল প্রশাসন ক্যাডারের কিছু কার্যক্রম এবং আপনি প্রশাসন ক্যাডারে নিযুক্ত হলে সকল কার্যক্রম পালন করবেন। আর অবশ্যই এটি একটি দায়িত্ববান পেশা এবং প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার মাধ্যমে আপনার যোগ্যতা অনেক বেশি হয়ে যাবে আপনার পদের সম্মান অনুযায়ী।

আর অবশ্যই আপনাকে প্রথমে প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে হবে যা আমি উপরে উল্লেখ করেছি ইতিমধ্যে। আপনি যদি প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা গুলো না জেনে থাকেন তাহলে উপরে পুনরায় গিয়ে জেনে নিন।

প্রশাসন ক্যাডারের সুযোগ-সুবিধা

এখন আমাদের মাঝে প্রশ্ন আসতে পারে যে প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার সুবিধা গুলো কি কি রয়েছে যা আমরা পেতে পারি। যে কেউ যদি কোন পদে যুক্ত হতে যায় সর্বপ্রথম সে নিজের সুবিধার কথা চিন্তা করে এবং এটি হচ্ছে মানুষের অন্যতম একটি বিবেচনার দিক।

আর আপনাকে যেন বেশি ঘাঁটাঘাটি না করতে এবং কোন পরিশ্রম না করতে হয় সেজন্য আমরা প্রশাসন ক্যাডারের সুবিধা উল্লেখ করব।

যে সুবিধাগুলো জানার পর আমি আশা করি আপনি প্রশাসন ক্যাডার হতে চাইবেন এবং এই সুবিধাগুলো উপভোগ করতে প্রশাসন ক্যাডার হবেন।

নিচে প্রশাসন ক্যাডারের সুযোগ-সুবিধা সমূহ বিশেষভাবে উল্লেখ করা হলো:

  • মূল বেতন এবং ইনক্রিমেন্ট সহ পায়: ২৩ হাজার ১০০ টাকা।
  • বাসা ভাড়া বাবদ পায়: ১২৭০৫ টাকা।
  • চিকিৎসা বাবদ ভাতা পায়: ১৫০০ টাকা।
  • শিশুর শিক্ষা বাবদ ভাতা পায়: ১০০০ টাকা।
  • বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবে, এবং যেকোনো ধরনের কূটনৈতিক মিশনে যুক্ত হতে পারবে।
  • সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে উচ্চ পদে উত্তীর্ণ হতে পারবে এবং সদর দপ্তরে কাজ করতে পারবে।
  • পরবর্তী সময় সচিব বা জেলা সচিব হওয়ার মতো যোগ্যতা সৃষ্টি করতে পারবে।

এছাড়াও চাকরি করার অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পার্সেন্টেজ অনুযায়ী ভাতা প্রদান করা হয়। তবে মূল বেতনের কোন পরিবর্তন হয় না, এবং এটা সকল সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে।

অবশ্যই আপনি প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার মাধ্যমে এই সকল সুবিধা গুলো উপভোগ করতে পারবেন এবং পদের মজা নিতে পারবেন। তবে অবশ্যই একথা মনে রাখবেন, আপনাকে সৎ হতে হবে কেননা এই সৎ আপনাকে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে উক্ত পদে চাকরি করতে।

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top