প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ক্ষুধা সীমিত করে তুলেছে কেননা এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা যেকোনো জ্ঞান খুব সহজে অর্জন করতে পারতেছে। অর্থাৎ কোনো বিষয় জানার থাকলে শুধুমাত্র ইন্টারনেটে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সার্চ দেওয়া মাত্র উপযুক্ত তথ্য পেয়ে যায় এবং ইহার মাধ্যমে জ্ঞান ক্ষুধা নিবারণ হয়।
এই প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ক্ষুধা সীমিত করে তুলেছে এর সত্যতা কতটুকু আমাদের যাচাই করা উচিত। আজকের এই পোস্টে আমরা প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ক্ষুধা কম আসলে করেছে কিনা তা জানার চেষ্টা করব।
শিক্ষার্থী হিসেবে আমি বলতে পারে হ্যাঁ অবশ্যই প্রযুক্তি নির্ভর এই বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের জ্ঞান ক্ষুধা সীমিত করে তুলেছে।
নিচে এর কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো:
- প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার যে কোন প্রশ্ন ও উত্তর সহজে বের করা যায় এবং সংগ্রহ করা যায়।
- শিক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের উপকরণ সম্পর্কে সম্যক ও প্রত্যক্ষ ধারণা লাভ করা যায়।
- শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য মাল্টিমিডিয়ার মতো ব্যবস্থা করা যায়।
- শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য অনলাইনের মত সুব্যবস্থা প্রদান করা সম্ভব।
- নিত্যনতুন তথ্যের উৎপত্তি ও শিক্ষা সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করা সহজ হয়ে উঠেছে।
- শিক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণা করতে গিয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার উপকরণ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়।
- বিজ্ঞান গবেষণা করতে গিয়ে গবেষণার পূর্বে প্রয়োজনীয় ধারণা অর্জন করা সহজ হয়ে উঠেছে।
এগুলো ছিল কিছু পয়েন্ট যেগুলোর আলোকে বলা যায় যে অবশ্যই প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ক্ষুধা নিবারণ করেছে। প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যে সুযোগ সুবিধা গুলো আমরা শিক্ষার্থীরা উপভোগ করি এবং জ্ঞান বৃদ্ধি করি।
প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার সুবিধা
টেকনোলজি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার সুবিধা অনেক রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি সুবিধা হচ্ছে এটি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ক্ষুধা সীমিত করে তুলেছে। প্রযুক্তি নির্ভর এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সমস্ত জ্ঞান নিজে অর্জন করতে অনুপ্রেরিত হচ্ছে।
প্রযুক্তি নির্ভরশীল শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমে যে সকল বিষয় সুবিধা পায় সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
- যেকোনো প্রশ্নের উত্তর জানতে কোন প্রকার পরিশ্রমের বা শিক্ষকের আশ্রয় গ্রহণ করতে হয় না।
- কোন বিষয় জানা থাকলে অন্যকে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে সময় নষ্ট করতে হয় না বরং সহজে প্রযুক্তির মাধ্যমে বের করা যায়।
- কোন প্রকার অপচয় হয় না অর্থাৎ আপনি ইচ্ছেমত যেকোনো সময় জ্ঞান অর্জন করতে পারেন প্রযুক্তির মাধ্যমে।
- অন্যের জ্ঞান ক্ষুদা নিবারণের জন্য আপনি অন্যকে তথ্য সরবরাহ করতে পারেন এবং উপার্জন সহ করতে পারেন।
- কোন সৃজনশীলতা বা কুইজে পরীক্ষার জন্য সম্পূর্ণরূপে নিজেকে প্রস্তুত করা যায় এবং কুইজ সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করা যায়।
এগুলো হলো প্রযুক্তি নির্ভরশীল শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু সুবিধা সমূহ এবং এর সুবিধা গুলো আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে পেয়ে থাকি শিক্ষা ক্ষেত্রে। প্রযুক্তি যে আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে সাহায্য করে এমন না বরং এটি আমাদের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করে এবং সুবিধা প্রদান করে।
শেষ কথা:
প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ক্ষুধা সীমিত করে তুলেছে এবং কিভাবে সীমিত করে তুলেছে এর উপর পোস্টটি সাজানো।
অর্থাৎ এখানে প্রযুক্তির সকল পজেটিভ বা ভালো দিকগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে যেগুলো আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে উপভোগ করতে পারি।
তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা সর্বদা উপকৃত হব বা জ্ঞান ক্ষুধা নিবারণ হবে এমনটা মোটেও সত্য না বা সর্বদা সত্য না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই শব্দের কিছু বিপরীত ঘটনা ঘটতে পারে অর্থাৎ শিক্ষার্থীর জ্ঞান ক্ষুধা সীমিত নাও হতে পারে এবং বিভ্রান্তিতে পড়ে যেতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অধিকাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট ব্যবহারে অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে যা জ্ঞান ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে না।
অর্থাৎ কোন শিক্ষার্থী যদি জ্ঞান ক্ষুধা নিবারণ না করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বরং আসক্তির দিকে নিজেকে ধাবিত করে।
তাহলে কোন ভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি শিক্ষার্থীর বা ওই শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ক্ষুধা নিবারণ হবে না। আর অবশ্যই এর জন্য আমাদেরকে পরিপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দিতে হবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা অর্জন করার বিষয়।
আজকের এই পোস্টারটি ছিল অনুপ্রেরণামূলক, যার মাধ্যমে আপনি আপনার জ্ঞান ক্ষুধা সীমিত করতে পারবেন প্রযুক্তির মাধ্যমে।
আর প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানার মাধ্যমে অবশ্যই আপনাকে আপনার জ্ঞান ক্ষুধা নিবারনের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা দরকার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।