পেট্রোল ইঞ্জিন কাকে বলে: যে সকল ইঞ্জিন জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল দহন করে তাপশক্তি উৎপন্ন করে এবং উৎপন্ন তাপ শক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে অন্যান্য যন্ত্রাংশকে নিয়ন্ত্রণ ও শক্তি প্রদান করে থাকে তাকে পেট্রোল ইঞ্জিন বলে।
পেট্রল ইঞ্জিনগুলো পেট্রোল ছাড়াও অকটেন এর মাধ্যমে দোহন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাপ শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম এবং তা যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে।
এই পেট্রোল ইঞ্জিন গুলো সাধারণত অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ার তুলনায় অর্থাৎ মূলত ডিজেল ইঞ্জিনিয়ার তুলনায় অনেক বেশি ছোট হয়ে থাকে।
সাধারণত মোটরসাইকেলে আমরা পেট্রোল ইঞ্জিন বেশি দেখতে পায় এবং পেট্রোল ও অকটেন জ্বালানি হিসেবে গ্রহণ করতে দেখতে পাই।
আবার এ পেট্রোল ইঞ্জিনের বিশেষ কিছু প্রকারভেদ রয়েছে যেগুলোর মধ্যে ফোর স্ট্রোক এবং টু স্ট্রোক এর মত পার্থক্য রয়েছে। আবার এই পেট্রোল ইঞ্জিনের মধ্য যেভাবে পেট্রোল দহন হয় সেই প্রক্রিয়ার নাম হচ্ছে ইগনিশন সিস্টেম এবং এই পোস্টে আমারা এই ইগনিশন সিস্টেম সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করব।
এই পেট্রোল ইঞ্জিনের ইগনিশন সিস্টেম হচ্ছে দহন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ইঞ্জিন তাপশক্তি উৎপন্ন করে এবং পরবর্তীতে সে তাপ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে। চলুন তাহলে পেট্রোল ইঞ্জিনের সিস্টেম সম্পর্কে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে অবগত হই।
পেট্রোল ইঞ্জিনের ইগনিশন সিস্টেম
পেট্রোল ইঞ্জিনের ইগনিশন সিস্টেম: যে প্রক্রিয়ায় পেট্রোল ইঞ্জিন গুলো পেট্রোল কিংবা অকটেনের দহনের মাধ্যমে তাপ শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম হয়ে থাকে তাকে পেট্রোল ইঞ্জিনের ইগনিশন সিস্টেম বলে।
এই পেট্রোল ইঞ্জিনের ইগনিশন সিস্টেমকে Spark Ignition বা SI System বলে। পেট্রোল ইঞ্জিনের এ সিস্টেমটি যেভাবে কাজ করে, তা হলো:
- এই সিস্টেমে পিস্টন প্রথমে কমপ্রেস স্টকে পৌঁছায়।
- তবে জ্বালানির দহন করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয় না।
- এই ইঞ্জিনগুলোতে কমপ্রেসরত পরিমাণ কম থাকার কারণে এটি দেখা দেয়।
- এজন্য জ্বালানির দহন করার জন্য স্পার্ক প্লাগ ব্যবহার করা হয়।
- এর মাধ্যমে ইস্ফুলিং তৈরি হয় যার ফলে জ্বালানি দহন হয়।
- এই জ্বালানি বা ইঞ্জিন চালানোর জন্য যেহেতু স্পার্ক প্লাগ ব্যবহার করা হয় তাই এটিকে Spark Ignition বলে।
এগুলো হলো পেট্রোল ইঞ্জিনেের ইগনিশন সিস্টেম যেগুলো ধাপে ধাপে অতিক্রম করার মাধ্যমে পেট্রোল ইঞ্জিন সক্রিয় হয়ে ওঠে। পেট্রোল ইঞ্জিন সক্রিয় হয় ওঠা মানে পেট্রোল ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতার সৃষ্টি হওয়াকে বোঝানো হয়ে যা ইগনিশন সিস্টেম এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
যখন পেট্রোল ইঞ্জিন যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় তার শক্তি উৎপন্ন করে, ঠিক এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় ইগনিশন সিস্টেমের মাধ্যমে।
আর অবশ্যই আপনাকে আমাকে পেট্রোল ইঞ্জিন সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখতে হলে এই ইগনিশন সিস্টেম সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন ছিল।
শেষ কথা:
পেট্রোল ইঞ্জিন কাকে বলে এবং পেট্রোল ইঞ্জিনের ইগনিশন সিস্টেম নিয়ে আজকের এই সম্পূর্ণরূপে তথ্য দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এই পেট্রোল ইঞ্জিন হচ্ছে বর্তমান যুগে ব্যবহৃত একটি বহুল পরিচিত ইঞ্জিন যা প্রতিটি ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারবে খুব সহজে।
কেননা অন্যান্য ইঞ্জিন দ্বারা তৈরিকৃত যানবাহনের থেকে পেট্রোল ইঞ্জিন দ্বারা তৈরিকৃত যানবাহন অনেক বেশি স্বল্প মূল্যের হয়ে থাকে।
আবার সেই সাথে এই সকল পেট্রোল ইঞ্জিন দ্বারা গতি বেশি পাওয়া যায় এবং খুব সহজে চলাচল করা সম্ভব হয়।
আমরা অনেকে হয়তোবা মনে করতে পারি যে পেট্রোল ইঞ্জিন দ্বারা তৈরিকৃত গাড়ি শুধুমাত্র দুই চাকার হতে পারে।
তবে এ ধারণাটির সম্পূর্ণ ভুল কেননা ইঞ্জিন দ্বারা তৈরিকৃত গাড়ি একাধিক চাকার করা সম্ভব হয় যা, বেশি প্রচলিত না।
তিন চাকার বেশি প্রচলিত না হওয়ার কারণে আমরা পেট্রোল ইঞ্জিন দ্বারা তৈরিকৃত গাড়ি দুই চাকায় বেশি দেখতে পায়। তবে যদি প্রচলন না থাকতো এবং আমাদের কোন আগ্রহ না থাকতো তাহলে অবশ্যই পেট্রোল ইঞ্জিন দ্বারা একাধিক চাকার গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হতো।
আরও পড়ুন: ডিজেল ইঞ্জিন কাকে বলে?