পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ | Stomach Pain দূর করার ঔষধ

৫টি কার্যকরী পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • রেনিটিডিন ট্যাবলেট (Ranitidine Tablets)
  • ওমিপ্রাজল ২০ মি.লি. (Omeprazole 20mg Capsule)
  • ওমেপ ২০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল (Omep 20mg)
  • এ্যালভি ৬০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট (Alve 60 mg)
  • সার্জেল 20 মিলিগ্রাম (Sergel 20 mg)
  • অ্যালজিন ৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট (Algin 50mg)

আপনার পেটে ব্যথা দেখা দিলে এই ঔষধ গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি করে খেতে পারেন, তো অবশ্যই চিন্তা করবেন একাধিক ঔষধ গ্রহণ না করার। কেননা একাধিক ওষুধ গ্রহণ করার ফলে আপনার স্বাস্থানে ঘটতে পারে এবং স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পেট ব্যথা একটা সাধারণ সমস্যা এবং এতে অনেকেই কাতর হয়ে পড়ে এর মূল কারণ হচ্ছে মনের বিশ্বাস না থাকা। মনে বিশ্বাস রাখাটাই হচ্ছে জরুরি এবং আপনি যদি মনে করেন যে পেট ব্যথা হচ্ছে আমি আর বাঁচবো না তাহলে অবশ্যই আপনার ব্যথা বেশি হয়ে উঠবে।

অবশ্যই আপনাকে ভয় পাওয়ার চলবে না এবং সব সময় যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি হতে পারে সে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। শারীরিক যে কোন ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, তবে ব্যথা দেখা দিলে উপরোক্ত প্রথম দুইটি ঔষধ আপনি ডাক্তার বিনা পরামর্শ খেতে পারেন।

পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ
পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ

বেশিরভাগ সময় দেখা যায় আমাদের শরীরে গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা হওয়ার কারণে অত্যাধিক হারে পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে।

এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অবশ্যই উপরোক্ত দুটি ঔষধের মধ্যে যেকোনো একটি গ্রহণ করার ফলে সুস্থ হওয়া সম্ভব হবে।

পেটে ব্যথা দেখা দিলে অবশ্যই সবচেয়ে বেশি বড় কারণ হয় এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সকালে উঠে আমাদের পেটের পুরোপুরি ফাঁকা থাকে এবং এই খালি পেটে অত্যাধিক হারে কাজ করার ফলে পেটে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে।

ঠিক এক্ষেত্রে কোন ধরনের ঔষধ সেবন করার প্রয়োজন নেই, আপনি কিছু খাবার গ্রহণ করার পর ন্যূনতম 5 মিনিট হাঁটাচলা করার পর কিছু সময় বিশ্রাম করার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠবেন।

পেটে ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ অনেক ক্ষেত্রে না ব্যবহার করলেও পেটে ব্যথা কমানো যায় এবং এক্ষেত্রে ঘোরার উপায় অবলম্বন করতে হয়।

এই পেটে ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়গুলো কি কি এবং কিভাবে পেটে ব্যথা দূর করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১.) বেশি করে পানি পান করা এবং খালি পেটে পানি পান করা

বেশি বেশি করে পানি পান করার ফলে শরীরে থাকা খাদ্য দ্রুত নরম হয়ে যায় এবং হজম প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হয়। এইভাবে শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধি করা যায় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি হওয়ার ফলে পেটে কোন এসিডিটি ও বদহজম জনিত সমস্যা থাকে না। এর ফলে আমাদের পেটের ব্যথা কোনরূপে পরিলক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

অন্যদিকে খালি পেটে সকালে উঠে পানি পান করার ফলে পেট পরিষ্কার হয়ে যায় এবং পেটে যাবতীয় বাধা কেটে যায়। অর্থাৎ বিভিন্ন কারণে পেটে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং পাকস্থলী কাজ করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ঠিক এক্ষেত্রে খালি পেটে পানি পান করার ফলে পাকস্থলী পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে ওঠে এবং হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়।

২.) আদা, জিরা মসলা এবং চা পান করা

দৈনিক ন্যূনতম একবার আদা খাওয়ার ফলে শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পেটের ব্যথা দূর হয় যায়।

জিরা মসলা খাওয়ার ফলে শরীরে উপস্থিত ক্ষতি ক্ষতিকারক সকল ব্যাকটেরিয়া দূর হয় এবং পাকস্থলী পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

চা খাওয়ায় পাকস্থলী পরিষ্কার হয়, কেননা গরম চা শরীরের প্রবেশ করে তখন শরীরের বিশেষ প্রত্যেকটি কার্যকরী অঙ্গ সুস্থ হয়ে ওঠে।

আপনি যদি শুধুমাত্র এই দুইটি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেন এবং পরিপূর্ণরূপে ব্যায়াম করেন তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরে কোন ধরনের পেটব্যথা জনিত সমস্যা থাকবে না। পেট ব্যথা জমিদার সমস্যা দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে ব্যায়াম করা এবং কিছু সময় হাটা।

মনে রাখবেন যখন শরীর সক্রিয় করবেন, ব্যায়াম করবেন তখন আপনার শরীরে যাবতীয় রোগ দূর হবে এবং পাকস্থলী অনেক সক্রিয় হবে।

পেটে ব্যথা কেন হয়

নানা কারণে পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে এবং উচিত কারণ না জানা পর্যন্ত আমরা পেটের ব্যথার চিকিৎসা করতে পারব না।

তাই প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে পেটে ব্যথা হয় কেন এবং কিভাবে এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধ করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ রয়েছে যেগুলোর কারণে পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে, যেমন:

  • অত্যাধিক হারে বমি হওয়ার কারণে পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে, (সীমিত সময়ের জন্য)।
  • অত্যাধিক হারে দৌড়াদৌড়ি লাফালাফি ও পেটে আঘাত জনিত সমস্যার কারণে ব্যথা দেখা দিতে পারে। 
  • সীমিত পরিমাণে পানি খাওয়ার ফলে, পাকস্থলী সক্রিয় না থাকার ফলে পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে।
  • এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা থাকার ফলে, এর মূল কারণ হতে পারে তৈলাক্ত জাতীয় পদার্থ বা খাবার বেশি গ্রহণ করা।
  • মাছ মাংস বিশেষ করে গরুর মাংস বেশি করে খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যার কারণে পেট ব্যথা করতে পারে।

পেট ব্যথা আরো নানা করানো হতে পারে এবং পেট ব্যথার অভ্যন্তরীণ কিছু কারণও থাকতে পারে যা আপনার জানা উচিত।

কিডনি বা বৃক্ক পাথর দ্বারা এবং পেটে গলব্লাডার হওয়ার কারণে পেটে প্রচন্ড রকমের ব্যথা করে থাকে।

এ রোগের কোন ঘরোয়া উপায় বা ওষুধের দ্বারা সহজে নির্মূল করা সম্ভব হয় না এবং এর ফলে আমাদের ডাক্তার প্রমোশন নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তার অপারেশন করে সম্পূর্ণরূপে গলব্লাডার এবং বৃক্কে পাথর দূর করে ফেলে।

পেট ব্যথা একটা সাধারণ সমস্যা এবং প্রায় প্রত্যেকটি ব্যক্তির পুরো বছরের যে কোন সময় নূন্যতম হলেও পেটের ব্যথা অনুভব করে।

পেটের ব্যথা সাধারণ একটি রোগ এবং বিভিন্ন প্রকার ময়লা আবর্জনাযুক্ত ফল না ধুয়ে খাওয়ার ফলেও পেটে ব্যথা দেখা দিতে পারে।

পেট ব্যথার আরো অনেক কারণ আমাদের মাঝে পরিলক্ষিত হয় তবে যে কয়েকটি উল্লেখ করেছে তার প্রত্যেকটি অতি সাধারন এবং সকলের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। তাই পেটে ব্যথা দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং ফলমূল ধুয়ে খেতে হবে।

শেষ কথা:

পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ বা Stomach Pain দূর ঔষধ সম্পর্কে জানার পর আপনি সকল ঔষধ একসাথে গ্রহণ করবেন এমন না।

যেকোনো একটি ঔষধ গ্রহণ করবেন এবং যখনই পেটে ব্যথা দেখা দিবে আপনি সেই ওষুধটি গ্রহণ করবেন যা পূর্বে গ্রহণ করেছিলেন।

আপনার পেটের ব্যথা দূর করার জন্য প্রতিনিয়ত বা প্রত্যেকবার ঔষধ পরিবর্তন করার ফলে আপনার আমার পেটের ব্যথা আরো বেশি ঘন হতে পারে এবং অল্প সময় পরপর ব্যথা দেখা দিতে পারেন। কারণ এতে করে পেটের এসিডিটির সমস্যা তো নির্মূল হয় কিন্তু পাকস্থলীর কর্ম দক্ষতা কমে যায় এবং আরো বেশি সমস্যা দেখা দেয়।

পেটে ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে ঔষধি যে গ্রহণ করতে হবে এর কোন মানে নেই, আপনি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে খুব সহজে আপনার পেটের ব্যথা দূর করতে পারেন এবং অনেক ক্ষেত্রে বিশ্রাম নেওয়ার ফলে পেটের ব্যথা দূর হয়।

আপনি সারাদিন সারারাত অনেক বেশি পরিশ্রম করেছেন এবং এর ফলে পেটে অনেক চাপ পড়েছে এই চাপের কারণে পেটে ব্যথা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: পেটে ব্যথা কমানোর উপায়

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top