পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে: পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ হলেন কাবিল, ইনি হলেন আদম (আ.) এর প্রথম দুই সন্তানের মধ্যে একজন। মূলত পারিবারিক বিয়ে নিয়ে এদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় এবং এদের দ্বারা দুনিয়াতে সর্বপ্রথম পাপ কাজ শুরু হয়, যেটি ছিল নিজ ভাইয়ের হত্যা।
ঘৃণিত মানুষ হিসেবে আরেকজন হলেন মিশরের রাজা ফেরাউন, এবং ইনাকে দুনিয়াতে আল্লাহ তা’আলা অনেক ধরনের মোজেজা দিয়েছিলেন।
ইতিহাসের পাতা ঘাঁটতে গেলে অনেক ধরনের খারাপ মানুষের তালিকা আমরা খুঁজে পাব যাদের জীবন আদর্শ ছিল অনেক বেশি পাপাচারে ভরা।
ইতিহাস থেকে পাওয়া পৃথিবীর খারাপ লোকের তালিকা বা মানুষের তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো:
ক্রমিক নং | পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষের তালিকা: |
01 | কাবিল (পৃথিবীর প্রথম হত্যাকারী) |
02 | নমরুদ (পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে জালিম শাসক) |
03 | ফেরাউন (পৃথিবীবাসীর নিকট ইনি নিজেকে খোদা দাবি করতেন) |
04 | চেঙ্গিস খান (ইনাকে কোন মেয়ে বাবা বলে ডাকতেও লজ্জা করে) |
05 | অ্যাডলফ হিটলার (৬০ লক্ষ সৈন্যের হত্যার দায় এই শাসক) |
06 | এলিজাবেথ বাথোরী (ইনি প্রায় ৬০০ কুমারী নারীকে হত্যা করেছিল) |
পৃথিবীবের ইতিহাস থেকে পাওয়া কয়েকজন খুব খারাপ মানুষের তালিকা হলো এগুলো এবং এরা এতই খারাপ ছিল যে এদের কথা বলে শেষ করা যাবেনা। এরা এদের পুরোটা জীবন পাপাচারে লিপ্ত করে ফেলেছে এবং ইতিহাসের বুকে নিজেকে নিন্দ্রিত বলে দাবি করে তুলেছে।
এদেরকে অনেকেই চিনেন এবং এদেরকে ঘৃণিত হিসেবে সমাজের বুকে দাবি করে থাকেন সকালেই।
বর্তমানে পাপ কাজ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন কিন্তু এরা ছিল অত্যাধিক পাপাচারে লিপ্ত কথা ইতিহাস সাক্ষী দেয়।

ইতিহাসের বুক থেকে পাওয়া এমন একটি শিক্ষামূলক ব্যক্তি রয়েছেন যাদের দেহ এখনও আল্লাহ তাআলা অক্ষত রেখেছেন মানব জাতিকে হেদায়েত প্রদান করার জন্য। তিনার নাম হচ্ছে ফেরাউন এবং ইনি নিজেকে খোদা বলে দুনিয়াতে দাবী করেছিল।
আবার এমন এমন ঘৃণিত লোক পাওয়া যায় যারা নিজের স্বার্থের জন্য দেশবাসীকে বিপদে ফেলেছে এবং শাসন করেছে অত্যাচার ভাবে।
পৃথিবীর খারাপ লোকদের ইতিহাস
কাবিল: পৃথিবীর প্রথম দুই সন্তানের মধ্যে হাবিল কাবিল হচ্ছে প্রথম যমজ সন্তান এবং এরা ছিলেন হযরত আদম (আ.) এর প্রথম বংশধর। মূলত এক ভাইকে সুন্দর বউ এবং অন্যকে একটু খারাপ বউ দ্বারা বিবাহ ব্যবহার কারণে এদের মধ্যে ঝামেলা হয়।
পরবর্তীতে কাবিল তার ভাই হাবিলকে পাথরের আঘাত করে হত্যা করে এবং দুনিয়াতে সৃষ্টি হয় হত্যা যা পৃথিবীর বুকে প্রথম পাপ।
নমরুদ: নম্রুদ হল এক পৃথিবীর অন্যান্য জালিম শাসকদের মধ্যে সবচেয়ে উপরে অবস্থানকারী একজন শাসক।
ইনার পাপ কাজ এতই বেড়ে গিয়েছিল যে ইনি মহান রব্বুল আলামীন কে হত্যা করার জন্য আকাশে পর্যন্ত তিনি নিক্ষেপ করেছিলেন।
আবার সেই সাথে ইনি ইনার অত্যাচার এত বেশি করেছিলেন যে দুনিয়াতে ইনি শাসক হিসেবে অনেক বেশি ঘৃণিত হয়েছেন।
ফেরাউন: পৃথিবীর জালেম শাসকদের মধ্যে ফেরাউনের নাম থাকবে না এমনটা হতেই পারে না এবং ইতিহাসে বর্তমানেও পরিচিত আছেন ইনার লাশের কারণে। দুনিয়ার বুকে ইনি নিজেকে খোদা দাবি করেছিলেন এবং মানুষকে অত্যাচার করে নিজেকে খোদা দাবি করাতেন।
চেঙ্গিস খান: চেঙ্গিস খানকে সবচেয়ে খারাপ মানুষের তালিকা রাখি কেননা ইনি জীবনে এত পাপ কাজ করেছেন যা বলা সীমার বাইরে।
এমন কি ইনার নির্যাতন এতই বেশি ছিল যে ইনাকে কোন কন্যা বাবা বলে অস্বীকার করত।
অ্যাডলফ হিটলার: অ্যাডলফ হিটলার কে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষের তালিকায় রাখার সবচেয়ে বড় কারণ হলো ইনি নিজের স্বার্থের কারণে প্রায় ৬০ লক্ষ সৈনিককে হত্যা করেছিলেন বা হত্যার দায়ভার আছে।
এলিজাবেথ বাথোরী: পৃথিবীর অন্যতম সুন্দরী নারী হিসেবে এলিজাবেথ বাথোরী এর নাম ইতিহাসের পাতায় উল্লেখ আছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নারীর হওয়ার সাথে ইনি ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ নারী কেননা ইনার পাপ কাজ ছিল অনেক বেশি।
ইনি পুরুষ নির্যাতন করতেন এবং সেই সাথে কুমারীদেরকে হত্যা করে তাদের রক্ত দিয়ে গোসল করতেন।
নারী হয়ে এত পাপ কাজ করার সাহস করার জন্য এলিজাবেথ বাথোরীকে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষের তালিকা রাখা হয়েছে।
উপসংহার:
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি ছিল এ পর্যন্ত এবং আশা করি পরিপূর্ণ অর্জন করতে পেরেছেন জ্ঞান।
এই পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি ভালো মানুষের রয়েছে যাদের তালিকা আমরা অবশ্যই তৈরি করব।
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কারা ছিল এবং কেন তাদেরকে সবচেয়ে খারাপ মানুষ বলে ইতিহাসে গণ্য করা হয়েছে সে সম্পর্কে ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি। তবে ফেরাউন হচ্ছে এমন একজন ঘৃণিত মানুষ যিনাকে আল্লাহ তাআলা মানব জাতির শিক্ষার জন্য এখন পর্যন্ত লাশকে অক্ষত রেখেছেন।
ইনি নিজেকে খোদা দাবি করতেন এবং সেই সাথে আল্লাহ হতে প্রেরিত নবি মুসাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
ফলসরূপ নিজ বাহিনী সহ এই ভণ্ড খোদাকে নীল নদের পানিতে ডুবে মরতে হয়েছিল।
পৃথিবীর ইতিহাসে ইনাকে আল্লাহ তাআলা অনেক মোজেজা দিয়েছিলেন এবং সে মর্যাদা গুলোর মধ্যে ছিল তিনার এক ইশারায় নীল নদের পানি শেষ হয়ে যেতে পারতো অথবা ভর্তি হয়ে যেতে পারত। কিন্তু মহান রব্বুল আলামীন তিনাকে তিনার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সে নীল নদীতে হত্যা করেছিল।
অথচ সে যদি নীল নদেকে শুকিয়ে যেতে বলতোতাহলে নীল নদ শুকিয়ে যেতে এবং বেঁচে যেত কিন্তু আল্লাহ তাকে সুযোগ দেননি।
এমন প্রত্যেক ঘৃণিত লোক দুনিয়ার বুকে অনেক পাপা কাজ করেছেন কিন্তু পরিণাম হিসেবে নিশংস ভাবে মৃত্যুবরণ হয়েছে প্রায় প্রত্যেকের।
তবে মনে রাখবেন কীর্তির কাজ সব সময় থাকে তবে যেগুলো খারাপ কৃতি সেগুলো সর্বদাই ঘৃণিত হিসেবে সমাজে উপস্থিত থাকে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে?