পুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে আমাদের স্লোগান হচ্ছে মোট ৮টি, ৭ম শ্রেণী প্রথম অধ্যায় পৃষ্ঠা ১৪ ছক অনুযায়ী নিচে উল্লেখ করা হলো:
পুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে আমাদের স্লোগান ছক নিচে তৈরি করা হলো:
ক্রমিক নম্বর | পুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে আমাদের স্লোগান |
০১ | তেল-চর্বিযুক্ত খাবার ও জাঙ্ক ফুড পরিহার করি, চল সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি। |
০২ | সবসময় সুষম খাবার খাই, পালিয়ে যাবে সকল প্রকার রোগ বালাই। |
০৩ | সর্বদা কোমল পানীয় বর্জন করি, নিরাপদ পূর্ণ জীবন গড়ি। |
০৪ | বিশুদ্ধ পানি পান করি, চলো সুন্দর সুস্থ জীবন গড়ি। |
০৫ | যদি সুস্থ থাকতে চান, তাহলে আয়োডিন যুক্ত লবণ খান। |
০৬ | শরীরে যদি শক্তি চান, বেশি করে শর্করা খান। |
০৭ | প্রতিনিয়ত মাছ-মাংস, দুধ খান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান। |
০৮ | আনন্দের দিন কাটান, শাকসবজি এবং ফলমূল খান। |

সপ্তম শ্রেণীর বই ১৪নম্বর পৃষ্ঠায় পুষ্টির সমস্যা নিয়ে প্রতিরোধ করার স্লোগান গুলো নিয়ে তৈরি করা ছকটি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই স্লোগান দ্বারা পুষ্টি জনিত সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে মানুষের মনের ভিতর উৎসব প্রদান করা যায়।
পুষ্টি জনিত সমস্যার যে সকল সমাধান রয়েছে তার প্রত্যেকটি শ্লোগানে উল্লেখ করা হয়েছে এবং পাঠ্য বইয়ের ছক পূরণের জন্য অবশ্যই এই স্লোগান গুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নানা কারণে স্লোগান বের করে থাকি এবং স্লোগান বের করার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে।
ঠিক একই ভাবে পুষ্টি জড়িত সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে আমাদেরকে স্লোগান বের করতে হয় আর এ স্লোগান আমরা নানাভাবে উপস্থাপন করতে পারি। আপনারা যদি স্লোগান করতে চান স্বাস্থ্যজনিত বা পুষ্টি জনিত সমস্যা নিয়ে তাহলে এগুলোর একটি ব্যবহার করতে পারেন।
পাঠ্য বইয়ের আলোচ্য বিষয় পুষ্টি জনিত সমস্যার শ্লোগান এবং এর স্লোগান গুলো কিভাবে লিখতে হয় তার নমুনা উল্লেখ করা হয়েছে।
সেই নমুনা অনুযায়ী আমরা আরো সাতটি স্লোগানে তৈরি করেছে এবং এই স্লোগানগুলো দ্বারা আপনি এইসব পূরণ করতে পারেন।
পুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে আমাদের করণীয়
পুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে আমাদের করণীয় অবশ্যই রয়েছে কেননা আমাদের নিজের কোন উদ্যোগ ছাড়াই আমরা কখনো পুষ্টি জনিত সমস্যা সমাধান করতে পারব না। তাই পুষ্টি জনিত সমস্যা প্রতিরোধে করার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে এই পদক্ষেপগুলোকে করণীয় বলা হয়।
পুষ্টির সমস্যা প্রতিরোধে আমাদের করণীয় নিচে উল্লেখ করা হলো:
- অবশ্যই স্লোগান করে প্রথমে পুষ্টি সমস্যা বিষয়টি মানুষের দিকে আকর্ষণ করতে হবে।
- মানুষের পুষ্টিজনিত সমস্যা সম্পর্কে অবগত হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে।
- কিভাবে খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং কোন কোন খাবার কোন কোন সময় গ্রহণ করতে হবে।
- শাক সবজি এবং ফলমূল খেলে কিভাবে পুষ্টির সমস্যা দূর হবে তা প্রচার করতে হবে।
- চর্বিযুক্ত খাবার বা তেলযুক্ত খাবার কিভাবে আমাদের শরীরের ক্ষতি করতেছে তা প্রচার করতে হবে।
- ব্যায়াম করার পরামর্শ দিতে হবে এবং ব্যায়াম করা নিয়ে স্লোগান বের করতে হবে।
- অধিক পুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শর্করা কিভাবে গ্রহণ করতে হবে তা প্রচার করতে হবে।
এগুলো হলো পুষ্টি সমস্যা সমাধানে আমাদের করণীয় কিছু কাজ এবং এই কাজগুলো অবশ্যই পদক্ষেপ না গ্রহণ করা পর্যন্ত করা সম্ভব হবে না। তাই অবশ্যই আমাদেরকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং পুষ্টি জনিত সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে।
পুষ্টির সমস্যা এটি একটি অতি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের সমাজে এবং বেশির ভাগ শিশু এই সমস্যার ভুক্তভোগী।
বর্তমান সময় আমরা লক্ষ্য করে থাকি আমাদের শিশু প্রায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং এটি হচ্ছে পুষ্টির সমস্যার মূল কারণ।
আর পুষ্টির সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী এবং ভালো দিক হল আমাদেরকে পুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে আমাদের স্লোগান প্রচার করতে হবে এবং করণীয় পদক্ষেপগুলো প্রচার করতে হবে।
পুষ্টির সমস্যা প্রতিরোধে যা যা করনীয় উচিত তা নিয়ে আমি ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি এবং আশা করি আপনারা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, আশায় বসে থাকা মোটেও উচিত হবে না বরং নিজেকে কিছু করতে হবে পুষ্টি সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে।
পুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে আমার পরিকল্পনা কখন করব
পুষ্টির সমস্যা প্রতিরোধে আমরা পরিকল্পনা কখন করবো এ বিষয়টি আমাদের মাথায় আনা পুরাটাই ভুল। কেননা পুষ্টি জনিত সমস্যা হচ্ছে ওতে সাধারণ একটি সমস্যা যা আমাদের সমাজে এবং রাষ্ট্রের প্রতিনিয়তই হয়ে থাকে।
এবং এ কারণে আমাদেরকে অবশ্যই প্রতিনিয়ত পুষ্টি জনিত সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে।
আসলে পুষ্টির সমস্যা প্রতি রাতে আমাদের পরিকল্পনা কখন করব এ বিষয়টি কোন নির্ধারণ করা নেই।
আবার নির্ধারণ করা থাকলেও আমাদের তা মেনে চলা উচিত নয় কেননা, আমাদের সমাজে প্রতিনিয়তই পুষ্টি জয়িতা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে শত শত বাচ্চা। তাই আমাদেরকে এ বিষয়েটি নিয়ে অবহেলা করা যাবে না এবং অবহেলিতভাবে জীবন কাটা যাবে না।
আপনার আমার প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ একমাত্র পারবে শিশুর পুষ্টিযোগিতার সমস্যার সমাধান করতে।
আবার অনেকেই বৃদ্ধ-বৃদ্ধ পুরুষ এবং মহিলারা পুষ্টি জনিত সমস্যায় সম্মুখীন হয়ে যায় তাই এক্ষেত্রে আমাদেরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে।
মানবসেবা করতে হলে অবশ্যই প্রথমে আমাদেরকে পুষ্টি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে কেননা, শারীরিক সকল সমস্যার মূল হচ্ছে পুষ্টিহীনতা বা পুষ্টির সমস্যা। তাই আমাদেরকে এ বিষয়টির উপর পরিপূর্ণ আলোকপাত করে সম্পূর্ণরূপে এ বিষয়টি হতে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
পুষ্টি জনিত সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে যে সকল পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে এবং যা যা করণীয় করতে হবে তা ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি। তবে এর পাশাপাশি আপনাদেরকে যা করতে হবে তা হল কয়েকজন ব্যক্তিকে জড়িয়ে নিতে হবে নিজের সঙ্গে।
তবে আমরা পারিবারিকভাবে যদি প্রত্যেককে এ বিষয়ে সচেতন হয় তাহলে আমাদেরকে কোন স্লোগান বের করতে হবে না।
বরং নিজেরাই নিজেদের পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারব এবং পুষ্টি বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হতে পারব।
যখন আমরা পুষ্টিযোগিতার সমস্যার সমাধান নিয়ে নিজেরাই সচেতন হব এবং নিজের পরিবারকে সচেতন রাখতে পারব।
আর এভাবে যখন বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবার নিজেদেরকে সচেতন করে রাখতে পারব।
পুষ্টি সমস্যা সমাধানে প্রথমে নিজ পরিবারের দিকে চিন্তা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং পরবর্তীতে পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে।
শেষ কথা:
পুষ্টি সমস্যা প্রতিরোধে আমাদের স্লোগান নিয়ে আজকের আমাদের এ পোস্টটি ছিল এ পর্যন্ত এবং আমরা এই পোস্টটিতে মোট আটটি নতুন স্লোগানের তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি যা অবশ্যই আপনাদেরকে সহায়তা করবে।
এই স্লোগানগুলো আপনার শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক বেশি উৎসাহ প্রদান করবে এবং ছক পূরণ খেত করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
আপনি যদি একজন সপ্তম শ্রেণীতে পড়া শিক্ষার্থী হন তাহলে অবশ্যই এই আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই ছকটি আপনার সপ্তম শ্রেণীর প্রথম অধ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে এবং বইটি থেকে এ প্রশ্নটি আসা অতি স্বাভাবিক একটি বিষয়।
কোনো না কোনো বিদ্যালয় এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন আসেই থাকে এবং এটি একটি সাধারণ প্রশ্ন যা পরিপূর্ণভাবে উত্তর দেওয়া সম্ভব।
তবে যে কথাটি না বললেই নয় পুষ্টির সমস্যা প্রতিরোধে আমাদের স্লোগান এবং আমাদের করণীয় সবকিছু মেইনটেইন করে সমাজ পরিলক্ষিত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তবে অবশ্যই এক্ষেত্রে আমাদের সকলকেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, আমাদের উদ্যোগী একমাত্র পারে আমাদের সাফল্য আনতে।
আরও পড়ুন: পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ।