পাতন কাকে বলে: কোন তরলকে তাপ প্রদানের মাধ্যমে বাষ্পে পরিণত করার পর, পুনরায় শীতলীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তরলে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে পাতন বলে। এই পাতন প্রক্রিয়াকে আমরা নানা কাজে ব্যবহার করে থাকি যেমন: ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানিতে তাপ প্রদান করার মাধ্যমে বাষ্পে পরিণত করে একটি কাচের বাক্সে সংরক্ষণ করা হয়।
এর ফলে ময়লা আবর্জনা গুলো পাত্রে পড়ে থাকে এবং জলীয় বাষ্প হিসেবে পানি কাচের বাক্সে সংরক্ষিত হয়। আর এভাবে আমরা ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানি হতে বিশুদ্ধ জল পেয়ে থাকি। পানি বিশুদ্ধকরণ সহ আমরা নানা কাজে পাতন ব্যবহার করে থাকি, বিশুদ্ধ তরল সংরক্ষণ করার জন্য।
পাতান হচ্ছে একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়ায় একসঙ্গে দুই কাজ সংঘটিত হয় একটি হচ্ছে বাষ্প অন্যটি হচ্ছে শীতলীকরণ।
অর্থাৎ এই পাতন প্রক্রিয়ায় একসঙ্গে বাষ্পে পরিণত হয় এবং অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপে উক্ত বাষ্পকে ঠান্ডা করে তরল পানিতে নেওয়া হয়।

এই পাতন কাকে বলে, এর উত্তর হলো প্রথমে বাষ্প এবং পরবর্তীতে শীতলীকরণ এর মাধ্যমে তরল পাওয়ার পদ্ধতি হচ্ছে পাতন।
পাতন হচ্ছে একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া এবং এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা একটি তরলকে বাষ্পে পরিণত করে পুনরায় শীতল তরলে আনতে পারি।
পাতনের আবার একটি সূত্র রয়েছে যে সূত্র দ্বারা মূলত পাতনের সংখ্যাটিকে বেশি করে ইঙ্গিত করা হয় বা বুঝানো হয়। আমরা পরবর্তীতে এই পাতনের সূত্রটি আলোচনা করব বা উল্লেখ করবো আমাদের এই পোস্টটিতে আপনি যেন পাতনের সূত্র জানতে পারেন।
প্রথমে বাষ্প এবং দ্বিতীয় দিকে তরলের রূপান্তর করার জন্য শীতলীকরণ এই দুই ধাপের সমন্বয় গঠিত হয় পাতন প্রক্রিয়ার কাজ।
এই পাতন প্রক্রিয়াটি আমরা কি কারণে ব্যবহার করি তা ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখ করেছি এছাড়াও অনেক কাজে আমরা পাতন ব্যবহার করি।
পাতন বলতে কি বুঝায়?
পাতন বলতে বাষ্পীভবন এবং ঘনীভবন উভয় প্রক্রিয়ার একসঙ্গে ব্যবহারকে বোঝানো হয়। যেহেতু পাতন প্রক্রিয়ার প্রথমে বাসবে পরিণত করা হয়, তাই এক্ষেত্রে বাষ্পীভবন ভবন ঘটে। অপরদিকে বাষ্পীভবনের পর পুনরায় শীতলীকরণ প্রক্রিয়া চালু করা হয়, এ প্রক্রিয়াকে আমরা ঘনীভবন বলে থাকি।
আর এইভাবে দুইটি প্রক্রিয়ার সংমিশ্রণ সৃষ্টি হয় পাতন প্রক্রিয়া। আমি পূর্বে বলেছিলাম যে পাতন প্রক্রিয়ার একটি সূত্র রয়েছে এবং আমি এখনই এই সূত্রটি আপনাদের মাঝে আলোকপাত করতে চলেছি। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যায় পাতনের সেই সূত্রটি:
পাতন প্রক্রিয়ার সূত্রটি হলো: বাষ্পীভবন + ঘনীভবন (Distillation =Vaporization + Condensation)।
এটি পাতন প্রক্রিয়ার সূত্র এবং এই সূত্রটি সম্পূর্ণরূপে পাতনের সংজ্ঞার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে বলে আমরা মনে করতে পারি।
কিন্তু এমনটি মোটেও না বরং পাতনের সূত্রের উপর পাতনের সংজ্ঞাটি দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং এই সূত্র থেকে আমরা পাতনের সংজ্ঞা পাই।
এই সূত্রটি দ্বারা আমরা বুঝতে পারি যে, পাতন বলতেই বাষ্প এবং শীতলীকরণ উভয়ের যোগফলকে নির্দেশ করে। আর এই কথাটি আমরা সংজ্ঞা হতে প্রথমে জেনে এসেছি এবং আবার পাতনের সূত্র থেকে বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার হলাম।
শেষ কথা:
পাতন কাকে বলে এবং পাতন বলতে কি বোঝায় এ বিষয়ের উপর সূত্র নিয়ে আলোকপাত করেছে নিজেদের জ্ঞানের জন্য। আর অবশ্যই একথা মনে রাখবেন যে, পাতন প্রক্রিয়া আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি এবং এটি একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া যা আপনি বাসায় পরীক্ষা করতে পারেন।
তবে এর জন্য আপনাকে যে সকল উপকরণ প্রয়োজন হতে পারে পাতন নিয়ে পরীক্ষা করার জন্য সেগুলো আপনাকে নিতে হবে।
আর এই সকল উপকরণ যার দ্বারা পাতন সংগঠন করা সম্ভব হবে তার একটি নমুনা নিচে পয়েন্ট আকার উল্লেখ করলাম:
- পানি রাখার পাত্র: সহজ উপায়ে হচ্ছে পানি রাখার একটি পাত্র নিতে হবে প্রথমদিকে।
- পানি: এরপর আমাদেরকে উক্ত পাত্রে পরিমাণ মতো পানি দিতে হবে যেন পানি পাত্র থেকে না পড়ে।
- জ্বালানি বা দহন: একটি ব্যবস্থা নিতে হবে যেন পানি উত্ত্যক্ত করার জন্য বা বাষ্প করার জন্য তাপ প্রদান করা যায়।
- কাচের একটি নল: কাচের একটি সচ্ছ নলের প্রয়োজন হবে যার মধ্যে আমরা উক্ত বাষ্প প্রবেশ করিয়ে শীতল করতে পারব।
- নতুন একটি পাত্র: আমাদেরকে আরও একটি পাত্র নিতে হবে যা কাজ নলের নিচে হবে যেখান থেকে শীতল তরল পড়বে।
এ কয়েকটি উপকরণ ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা খুবই সহজে পাতন প্রক্রিয়াটি করতে পারব নিজের বাসায় পরীক্ষা করে।
পাতন প্রক্রিয়াটি অবশ্যই বাষ্প এবং শীতলীকরণে তরল পাওয়ার মধ্যে গঠিত হবে বা প্রক্রিয়াটি এইভাবে রাসায়নিকভাবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: অণু কাকে বলে?