পরমাণু কাকে বলে: মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে মৌলের সমস্ত গুণাগুণ বিদ্যমান থাকে এবং এর কোন স্বাধীন অস্তিত্ব নেই তাকে পরমাণু বলে।
অর্থাৎ, চার্জবিহীন মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণাকে পরমাণু বলা হয়। পরমাণুর মধ্যে সম-সংখ্যক প্রোটন ও ইলেকট্রন বিদ্যমান এবং উভয়ের চার্জ পজেটিভ ও নেগেটিভ হওয়ার কারণে পরমাণু চার্জ নিরপেক্ষ হয়।
পরমাণু হচ্ছে মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক ও কণা, যার স্বাধীন কোন অস্তিত্ব নেই এবং এটি হচ্ছে একটি চার্জ নিরপেক্ষ কণা। এতে চার্জ উপস্থিত রয়েছে তবে ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক চার্জ থাকার কারণে এটি চার্জ নিরপেক্ষ হয়ে যায়।
আমরা সর্বদাই পরমাণুর নাম শুনে থাকে কিন্তু এই পরমাণুর সংজ্ঞা সম্পর্কে আমরা অনেকে আছি যারা জানতাম না। আশা করা যায় আপনারা এখান থেকে পরমাণুর সঙ্গে পেয়ে গেছেন এবং এখন আমাদের দরকার হবে এর পরমাণুর গঠন সম্পর্কে জানা।
পরমাণু নির্দিষ্ট একটি গঠনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়ে থাকে এবং একসঙ্গে একাধিক পরমাণু যুক্ত হয় একটি পদার্থ গঠন করে।
একটি পরমাণু যে শুধুমাত্র ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন দ্বারা গঠিত হবে এমনটি নয় বরং আরো অনেকগুলো উপাদান রয়েছে পরমাণুর।
পরমাণুর রাসায়নিক গঠন
রাসায়নিকভাবে আমরা পরমাণুর একটি গঠন দেখতে পাই এবং এই গঠন থেকে আমরা পরমাণু সম্পর্কে আরো তথ্য পেয়ে থাকি।
আমারা পরমাণুর সংজ্ঞা জানার পর অবশ্যই আমাদেরকে এই পরমাণুর গঠন সম্পর্কে জ্ঞান ধারণ করার চেষ্টা করতে হবে।
পরমাণুর গঠন সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আমরা স্পষ্টভাবে একটি পরমাণুর সকল উপাদান সমূহ সম্পর্কে জানতে পারব যা উপস্থিত থাকে। আর যে সকল উপাদান দিয়ে পরমাণু গঠিত হয় তার প্রত্যেকটি দ্বারা আমরা মূলত পরমাণুর গঠন আলোচনা করব আজকের এই পোষ্টের মধ্যে।
পরমাণুর রসায়নের গঠনে রয়েছে তিনটি মূল কণিকা, যেমন:
- ইলেকট্রন (e)।
- প্রোটন (p)।
- এবং নিউট্রন (n)।
পরমাণুতে উপস্থিতিতে কণিকা গুলোকে আবার অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেমন:
- স্থায়ী কণিকা: (e,p,n)।
- অস্থায়ী কণিকা: এই কণিকাগুলো স্থায়ী নয় (বোসন, সিওন, পাইওন, নিউট্রিনো এবং অ্যান্টিনিউট্রিনো)।
- এবং কম্পোজিট কণিকা: (আলফা কণা এবং ডিউটেরিয়ন)।
এগুলো হলো পরমাণুর রাসায়নিক গঠন যেগুলো সম্পর্কে ধারণা আমরা রাসায়নিকভাবে বের করতে পেরেছি বা বিজ্ঞানীরা বের করেছে। তবে অবশ্যই এখানে গঠন বলতে আমরা শুধুমাত্র যে সকল কণিকা দিয়ে পরমাণু গঠিত হয় সেগুলো আলোচনা করেছি পরমাণুর গঠনে।
পরমাণু কাকে বলে এ বিষয়ে জানার পর অবশ্যই আমাদেরকে এ পরমাণু কে আবিষ্কার করেছেন বা আবিষ্কারকের নাম জানতে হবে।
চলুন এবার দেরি না করে পরমাণুর আবিষ্কারক সম্পর্কে কিছু ধারনা আমরা অর্জন করার চেষ্টা করে এবং পরমাণুর আবিষ্কারকের নাম জানি।
পরমাণুর আবিষ্কারক কে?
পরমাণুর আবিষ্কারক হলেন ডেমোক্রিটাস এবং এতে উপস্থিত ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন অন্যান্য বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন।
মৌলের যে ক্ষুদ্রতম কণা রয়েছে তাকে পরমাণু বলা হয় এবং পরমাণুর মাঝে মৌলের সকল গুনাগুন অক্ষুন্ন অবস্থায় বিরাজ করে। পরমাণুর আবিষ্কারক ডেমোক্রিটাস এর মতে পরমাণুর স্বাধীন কোন অস্তিত্ব থাকে না। বরং কতিপয় পরমাণু একত্রিত হয় মৌলের আকার ধারণ করে এবং এরা যুক্ত অবস্থায় মৌলার মাঝে বিদ্যমান থাকে।
পরমাণু হচ্ছে মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা এবং এই কোন আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী ডেমোক্রিটাস এবং তিনি সর্বপ্রথম ধারণা দেন।
তবে পরমাণুর ভেতরে আরো ক্ষুদ্রতম কণা রয়েছে যেমন ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন এগুলোর ধারণা অন্যান্য বিজ্ঞানীরা বের করেছেন পরীক্ষার মাধ্যমে।
ডেমোক্রিটাস কে পরমাণুর আবিষ্কারক বলা হয় এবং ইনি ছিলেন একজন গ্রিক বিজ্ঞানী যিনি এটম নামকরণ করেছিলেন।
পরমাণু কাকে বলে এবং পরমাণুর গঠন ও আবিষ্কারক কে এ বিষয়ের উপর আজকের আলোচনা ছিল ঠিক এ পর্যন্তই, শুভ বিদায়।
আরও পড়ুন: কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে?