নিম পাতার উপকারিতা হচ্ছে অনেক বেশি এবং নিম পাতার উপকারী গুণাগুণ প্রায় চার হাজার বছর ধরে ব্যবহার হয় আসছে। এই নিমপাতা দিয়ে তৈরি হয় নানা প্রকার ঔষধ এবং ত্বকের যত্নের জন্য উন্নত মানের ফেসওয়াশ ও ক্রিম।
এই নিম গাছের পাতা থেকে শুরু করে ছাল এবং ফুল ও ফল প্রত্যেকটি পুষ্টিগুণে ভরপুর আমাদের প্রত্যেকের শরীরের জন্য। আপনি যদি প্রতিনিয়ত সকালে উঠে নিম পাতা খেতে শুরু করেন তাহলে প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা পাবেন এবং শারীরিকভাবে উপকৃত হবেন।

নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু নিম পাতার উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:
- নিম পাতা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
- ওজন দ্রুত হ্রাস পায় এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর হয় নিম পাতা খাওয়ার ফলে।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে নিম পাতার গুণাগুণ অনেক বেশি উপকারে।
- নিম পাতা খাওয়ার ফলে পেটের ব্যথা দূর হয় এবং পেট পরিষ্কার হয়ে যায়।
- নিম পাতা খাওয়ার ফলে পেটের গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা দূর হয় এবং বদহজম দূর হয়।
- কোন ব্যক্তির যদি আলসার সমস্যা থাকে তাহলে নিম পাতা খেলে উপকার আসে।
- নিম পাতা খাওয়ার ফলে হৃদপিণ্ড ও ধমনী রোগ দূর হয় এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে।
- চোখের বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে নিম পাতার উপকারী গুণাগুণ কার্যকর।
- মাড়ি ফুলে যাওয়া জনিত সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে নিম পাতা অনেক বেশি উপকারী।
- লিভার জনিত বিভিন্ন প্রকার সমস্যা সহজ সমাধান এর জন্য নিম পাতা অনেক বেশি উপকারী।
- নিম পাতায় রয়েছে অধিক পরিমাণ এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এগুলো ছিল নিম পাতার কিছু উপকারিতা এবং নিম পাতা গ্রহণের ফলে বা রস খাওয়ার ফলে এই উপকার পাওয়া যায়। আর আপনিও যদি নিম পাতা থেকে এই সকল উপকারিতা নিজের স্বাস্থ্যের জন্য পেতে চান প্রাকৃতিকভাবে তাহলে নিম পাতা গ্রহণ করুন।
নিম পাতার পুষ্টি গুণাগুণ
আমরা নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানলাম তবে এই নিম পাতার কিছু পুষ্টি গুণাগুণ রয়েছে শরীরের। আর আমরা যদি শরীরের এই সকল নিম পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে জানি তাহলে উপকারিতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় নিম পাতা গ্রহণ করতে চাইবো।
নিচে নিম পাতার পুষ্টি গুণাগুণ বা উপাদান সমূহ উল্লেখ করা হলো:
- নিম পাতায় রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালসিয়াম।
- নিম পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি ও বিভিন্ন প্রকার অ্যামিনো এসিডের উপস্থিতি।
- এই নিম পাতার মধ্যে বিভিন্ন প্রকার গ্লাইকোসাইড পাওয়া যায় যা শরীরের জন্য উপকারী।
- নিম পাতার গ্লাইকোসাইড ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- নিম পাতার গুনাগুন এর মধ্যে এন্টিহিস্টামিন থাকে যা রক্ত চলাচল করতে নালি কে সচল রাখে।
- নিম পাতায় রয়েছে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক উপাদান যার রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- হৃদপিন্ডের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে নিম পাতার নির্যাস অনেক বেশি গুণাগুণ সম্পন্ন হয়ে থাকে।
এছাড়াও নিম পাতায় রয়েছে বিভিন্ন প্রকার হাইপোগ্লাইসেমিক উপাদান যা শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
নিম পাতায় রয়েছে অনেক বেশি উপকারে গুণাগুণ এবং এর কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারত ও আমেরিকার লোকজন এটি গ্রহণ করে। এবং এরা বিশ্বাস করে যে নিম পাতা গ্রহণের ফলে ৪০টির মতো জটিল রোগ নিরাময় করা সম্ভব হয়।
উপসংহার:
নিম পাতার উপকারিতা এবং নিম পাতার পুষ্টি গুনাগুন নিয়ে বিশেষ কিছু শরীরের বা স্বাস্থ্য উপকারিতা তথ্য এখানে রয়েছে। আর অবশ্যই আমি বলতে চাই আমাদের এই পোস্টটি অনুপ্রেরণামূলক যেন আপনি নিম পাতা গ্রহণের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারেন সেজন্য।
বর্তমানে একটি অঞ্চলে প্রবেশ করলে দেখা যাবে যে অর্ধেকের বেশি মানুষ নিজেদেরকে ডায়াবেটিস রোগী বলে দাবি করে। কারো ডায়াবেটিসের মাত্রা কম এবং কারো ডায়াবেটিসের মাত্রা বেশি তবে এই নিম পাতা গ্রহণ করা হবে অধিক নিয়ন্ত্রক ডায়াবেটিসের জন্য।
বর্তমানে অধিকাংশ অঞ্চলের মানুষ নিজের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য নিম পাতা গ্রহণ করে থাকে এবং উপকারিতা উপভোগ করে।
সেই সাথে নিম পাতা গ্রহণের পাশাপাশি দাঁত মাজতে নিম গাছের ডাল ব্যবহার করি যা অনেক উপকারী স্বাস্থ্য ও দাঁতের জন্য।
আপনিও যদি নিমের এই সকল উপকারিতা পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে গুনাগুন ও উপকারিতা প্রথমে জেনে নিতে হবে। যখন আপনারা নিম পাতার উপকারিতা ও গুনাগুন জানতে পারবেন তখন অবশ্যই অনুপ্রেরিত হবেন নিম পাতা গ্রহণের দিকে।
আর আমি অবশ্যই এটি আশা করব আপনি যদি শরীর নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই নিম পাতার উপকারিতা নিবেন। আর নিম পাতার উপকারিতা নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে নিমের গাছ সনাক্ত করে তার পাতা গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: মাথা ব্যাথার ঔষধ।