নদী ভাঙ্গন কি: প্রবল স্রোতের কারণে নদীর পাহাড় ও আশেপাশে উপস্থিত বসতি ভেঙ্গে গড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে নদী ভাঙ্গন। নদী ভাঙ্গন হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং প্রাকৃতিক বন্যার কারণে এমনটি দেখা যায়।
তবে বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে বাঁধ এবং এই বাঁধগুলো তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিমভাবে মানুষের দ্বারা। এই বাঁধগুলোর কাজ হচ্ছে অত্যাধিক হারে পানি জমিয়ে রাখা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সেই পানি অপসারণ করা।
নদী ভাঙ্গরের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বর্তমানে প্রাকৃতিক কারণ দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকলে আমাদের চলবে না।
কেননা নদী ভাঙ্গনের ক্ষেত্রে বর্তমানে আমরা মানুষ নিজেরাও দায়ী হয়ে পড়েছে।
এই নদী ভাঙ্গন হচ্ছে আমাদের দেশের একটি জটিল সমস্যা এবং প্রায় প্রতিটি বছর প্রাকৃতিক ও মানুষের দ্বারা দুর্যোগের কারণে নদী ভাঙ্গন দেখা যায়। বাধে অনেক পরিমাণে পানি জমা হয়ে থাকে এবং এ পানি অপসারণ করার ফলে দেশে বন্যা দেখা দেয়।
দেশে বন্যা দেখার কারণে নদীর মধ্যে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয় এবং প্রবল স্রোতে নদী ভাঙ্গন সমস্যা আমাদের দেশে পরিলক্ষিত হয়।
নদী ভাঙ্গন কাকে বলে?
নদী ভাঙ্গন কাকে বলে: প্রাকৃতিক বিভিন্ন কারণে বন্যা হওয়ার ফলে নদীর প্রবল বেগের কারণে মাটি ধসে যাওয়াকে নদী ভাঙ্গন বলা হয়। এই নদী ভাঙ্গন বিভিন্ন কারণে দেখাতে হয় এবং সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে বন্যার পরিস্থিতির শিকার।
বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ার কারণে নদীর মধ্যে প্রবল বেগ সৃষ্টি হয় স্রোতের।
নদীর মধ্যে প্রবল বেগ সৃষ্টির হওয়া হচ্ছে মূলত নদী ভাঙ্গনের প্রধান কারণ।
আর এই নদী ভাঙ্গনের কারণে আমরা মূলত প্রতিবছর অধিকাংশ আবাদের জন্য হারা এবং বাসস্থান বিনষ্ট করে। তাই আমাদেরকে সর্বদা চেষ্টা করতে হবে নদী ভাঙ্গানো রোধ করার এবং নদীকে আমাদের আশেপাশের পরিবেশের ক্ষতি না করার জন্য।
তবে, সর্বক্ষেত্রে যে নদী ভাঙ্গন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বন্যার কারণে সৃষ্টি হয় এমন কোন নির্ধারিত কারণ নেই।
কেননা যদিওবা বন্যা পরিস্থিতির কারণে নদী ভাঙ্গন দেখা যায় কিন্তু মানুষের ক্রিয়া-কলাপের কারণে নদী ভেঙ্গে যায় বা ভাঙ্গন দেখা যায়।
যেমন বর্তমানে অনেকে নদীর মধ্যে বাঁধ তৈরি করেছে এবং এই বাঁধ এর কারণে অধিকাংশ পানি সেখানে জমা রাখা হয় নদীর। আর নদীর পাড়ে জমা রাখার ফলে সেখানে প্রয়োজনের অধিক পরিমাণ পানি সংরক্ষিত হয় এবং বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি হওয়ার কারণে বাঁধ ছেড়ে দিতে হয়।
আর বর্ষাকালে বাঁধ ছেড়ে দেওয়ার কারণে যে নদীতে পানি শুকিয়ে গিয়েছিল সেই নদী অতিরিক্ত পানির কারণে দ্রুত নদী ভাঙ্গন হয়।
নদী ভাঙ্গন রোধের উপায়
বর্তমানে নদী ভাঙ্গন হচ্ছে আমাদের আশেপাশের সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা এবং নদী ভাঙ্গনের প্রতিরোধ করতে হবে।
যখন আমরা নদী ভাঙ্গনের প্রতিরোধ করবো তখন সহজে নদী ভাঙ্গন রোধ হবে এবং আমরা বসবাস ও চাষযোগ্য স্থান হারাবো না।
আমরা যে সকল কাজ বা করণীয় অবলম্বন করে নদী ভাঙ্গন রোধ করতে পারে সেগুলো জানতে হবে এবং কাজ করতে হবে। আমরা যখন করণীয় জানার পর সঠিক উপায় নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য কাজ করবো তখন অবশ্যই এটি সার্থক হবে এবং নদী ভাঙ্গন বন্ধ হবে।
নদী ভাঙ্গন রোধের উপায় সমূহের নিচে উল্লেখ করা হলো:
- নদী ভাঙ্গন রোধের ক্ষেত্রে প্রথমে আমাদেরকে নদীর প্রস্থ বৃদ্ধি বা খনন করতে হবে।
- নদী ভাঙ্গন রোধের ক্ষেত্রে আমাদেরকে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং পাড় মজবুত করতে হবে।
- নদীর দুই পাড়ের জমিতে বিভিন্ন প্রকার বড় বড় ব্লক দ্বারা সজ্জিত করতে হবে।
- নদীতে বেশি মাছ মারা যাবেনা এবং কোন প্রকার ঢেউ সৃষ্টি করা যাবে না।
- নদীর মধ্যে যেন কোন প্রকার প্রবল ঢেউ সৃষ্টি না হয় সেজন্য ইলেকট্রনিক কোন যানবাহন চলাচল করা যাবে না।
এইগুলি পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আমরা খুব সহজে নদী ভাঙ্গন করতে পারব এবং এই সকল সমস্যার সমাধান করতে পারব।
আরও পড়ুন: ভূমিক্ষয় কি?