ধ্বনি কাকে বলে: মানুষ বাগযন্ত্রের দ্বারা মনের ভাব প্রকাশে যে আওয়াজ বের করে, সে আওয়াজকে ধ্বনি বলে। উদাহরণ: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ক, খ, গ, ঘ ইত্যাদি। সর্বক্ষেত্রে যে আওয়াজ বের করার ফলে ধ্বনি হবে এমনটি নয় বরং ধ্বনি হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে।
এই ধ্বনি হচ্ছে এমন এক ধরনের আওয়াজ যা মানুষের বোধযোগ্য হয় এবং মানুষ সেই ধ্বনি বুঝতে পারে। তবে অনেকে অযথা ধ্বনি করার জন্য আওয়াজ করে এবং এটি ধ্বনির অন্তর্ভুক্ত হবে না কেননা ইহার মাধ্যমে কোনভাবে ইঙ্গিত পায় না বোধযোগ্যর।

তবে কিছু কিছু এমন অযথা আওয়াজও রয়েছে যেগুলোকে আমরা ধ্বনির অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যখন আমরা গলা দিয়ে বিকৃতি শব্দ করে এবং অন্যকে সতর্ক করার চেষ্টা করে তখন এটি ধ্বনি হবে কেননা ইঙ্গিত প্রকাশ পায়।
তাহলে বুঝতে পারা গেল যে যার দ্বারা ইঙ্গিত প্রকাশ পায় অথবা ভাষার প্রকাশ হয় সেই আওয়াজকে বলা হবে ধ্বনি।
তবে আমরা যে আওয়াজ করলে ধ্বনি উৎপন্ন হবে এমনটি কেন সর্বদা হবে না তার ব্যাখ্যা হয়তোবা আপনারা বুঝতে পেরে গেছেন।
ধ্বনির কিছু প্রকারভেদ রয়েছে এবং এই প্রকারভেদ গুলোর ধ্বনির তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে জানা সম্ভব হয়েছে। তাই এখন আমরা চেষ্টা করব জানার এই সকল প্রকারভেদের সম্পর্কে যা তারতম্যের কারণে ধ্বনি থেকে পাওয়া গেছে।
ধ্বনি কত প্রকার ও কী কী
যেমন আমরা পূর্বে বলেছিলাম যে ধ্বনির কিছু প্রকারভেদ রয়েছে এবং এই প্রকারভেদ গুলো বর্ণ অনুযায়ী বিভক্ত।
তাই এখন আমরা জানার চেষ্টা করব ধ্বনির প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে যেগুলো আমাদের ধারণা আরো বেশি উন্নত করবে ধ্বনি নিয়ে।
তবে যদি আপনি ধ্বনি সম্পর্কে জেনে না থাকেন তাহলে আমি উপরে তথ্য দিয়েছে সেখান থেকে ধ্বনি কাকে বলে জেনে নিন। আর অবশ্যই আপনাকে প্রথমে ধ্বনি কাকে বলে জানতে হবে এবং পরবর্তীতে আপনি এই ধ্বনির প্রকারভেদ গুলো জানতে পারবেন।
এই ধ্বনি প্রধানত দুই প্রকার হয়ে থাকে, যেমন:
- স্বরধ্বনি বা স্বর
- ব্যঞ্জনধ্বনি বা ব্যঞ্জন
স্বরধ্বনি: যে ধ্বনি বা আওয়াজ উচ্চারণ করতে অন্য কোন ধ্বনির সাহায্য লাগে না, তাকে স্বরধ্বনি বলা হয়।
উদাহরণ: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ ইত্যাদি।
ব্যঞ্জনধ্বনি: যে ধ্বনি বা আওয়াজ উচ্চারণ করতে অন্য কোন ধ্বনির সাহায্য প্রয়োজন হয়, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলা হয়।
উদাহরণ: ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ ইত্যাদি।
ধ্বনি বলতে কী বোঝায়?
ধ্বনি বলতে শুধুমাত্র আওয়াজকে বোঝানো হয় তবে মনে রাখতে হবে অবশ্যই এ আওয়াজ বা শব্দটি মানুষের বোধগম্য হতে হবে।
অথবা যেকোন প্রাণে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে যে বিকট আওয়াজ করে সেটাও ধ্বনির অন্তর্গত হতে পারে।
আবার কিছু কিছু প্রাণে রয়েছে যারা অন্য প্রাণী কে আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন প্রকার আওয়াজ করে থাকে এবং এই আওয়াজটিকেও ধ্বনির অন্তর্ভুক্ত করা যায়। আপাতত দৃষ্টিতে যদি আপনারা এমনটি মনে করেন যে এই সকল আওয়াজ ধ্বনির অন্তর্গত না, তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন।
অনেকের প্রশ্ন, যে তাদের শব্দে বা আওয়াজে তো কোন প্রকার স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির বিদ্যমান নেই তাহলে কিভাবে ধ্বনির অন্তর্ভুক্ত হয়।
আসলে মনে রাখবেন যে ইংরেজি যে সকল শব্দ রয়েছে অথবা লেটার রয়েছে সেগুলো কিভাবে ধ্বনির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ক্যাপিটাল লেটার অথবা স্মল লেটারের অন্তর্গত শব্দগুলো কিভাবে ধ্বনির অন্তর্ভুক্ত হয়। স্পষ্টভাবে বলা যায় যে প্রত্যেকটি প্রাণীর নিজস্ব কিছু ভাষা রয়েছে এবং এতে অঞ্চল ভেদে মানুষের মতো পরিবর্তন হতে পারে আবার নাও পারে।
ধ্বনি কাকে বলে এবং ধ্বনি কত প্রকার ও কি কি এ বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান প্রদান করার চেষ্টা করেছি।
পরিপূর্ণ উদাহরণসহ দিয়েছে যাতে করে আপনারা উদাহরণ তারাও কিছুটা উপকৃত হন মুখস্ত করার ক্ষেত্রে।
ধ্বনি বিষয় যদি কোন প্রশ্ন কোন বোর্ড প্রশ্নপত্রে করে তাহলে এর বাইরে কোন প্রশ্ন করবে না এটা অতি সাধারণ বিষয়।
আরও পড়ুন: কাফের কাকে বলে?