ধাতব বন্ধন কাকে বলে: দুটি ধাতব পরমাণু কাছাকাছি এলে তাদের মধ্যে যে বন্ধন গঠিত হয় সেটাকে ধাতব বন্ধন বলে।
অর্থাৎ এক খন্ড ধাতুর মধ্যে পরমাণু সমূহ যে আকর্ষণের মাধ্যমে যুক্ত থাকে তাকে মূলত ধাতব বন্ধন বলে। ধাতুর বিভিন্ন খন্ড আমরা আমাদের আশেপাশের লক্ষ্য করতে পারি এবং এর প্রত্যেকটি ধাতব বন্ধনের উদাহরণ।
ধাতু বলতে ধাতব বন্ধন কে বোঝানো হবে এমনটা না বরং ধাতুর তৈরি প্রত্যেকটি উপাদানকে ধাতব বন্ধন বলা যাবে।
এর মূল কারণ হলো ধাতব বলতে যেকোন একটি পরমাণু কে বোঝানো হয় সেটা হতে পারে আয়রন কিংবা কপার ইত্যাদি।

তবে যখন একটি ধাতুর তরে উপাদানের কথা বলা হয় তখন সামান্য পরিমাণ হলেও একাধিক ধাতুর মিশ্রণ এর কথা উল্লেখ হয়।
এখানে একাধিক ধাতু মিলে একটি উপাদান গঠিত হতে পারে আবার একটি ধাতু মিলে উপাদান গঠিত হতে পারে।
অর্থাৎ শুধুমাত্র লোহার তৈরি উপাদান হলে প্রত্যেকটি পরমাণু উক্ত উপাদানের মধ্যে আয়রন থাকে। এবং এক্ষেত্রে একটি মৌল একাধিক পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে ধাতব বন্ধন গঠন করে।
ধাতব বন্ধনের অপর নাম কি?
ধাতুতে পরমাণু সমূহ তার সর্বশেষ শক্তিস্তরের এক বা একাধিক ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হতে পারে।
ইলেকট্রন ত্যাগ করে এই ধনাত্মক আয়নে পরিণত হওয়া আয়ন কে পারমাণবিক শাঁস বলা হয়।
অর্থাৎ ধাতব বন্ধন গঠনের সময় ইলেকট্রন করতে হয় এবং এই ইলেকট্রন থেকে করে ধাতব বন্ধন গঠিত হয়। যেহেতু ধাতব বন্ধন গঠন করা বলতে ইলেকট্রন থেকে বোঝানো হয় সুতরাং ধাতব বন্ধনের অপর নাম হচ্ছে পারমাণবিক শাঁস।
ধাতব স্পটিকে পারমাণবিক শাঁস গুলো সুনির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক বিন্যস্ত থাকে এবং ত্যাগীকৃত ইলেকট্রন গুলো উক্ত শাঁসের মধ্যবর্তী স্থানে মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করে।
আর এ মুক্ত ভাবে ঘোরাফেরা করার মাধ্যমে খুব সহজে ধাতব বন্ধন গঠিত হয় তবে ইলেকট্রন উপস্থিত থাকে নিজের মধ্যেই।
ধাতব বন্ধনের আরো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে তার মধ্যে বিদ্যুৎ পরিবাহিতা অন্যতম।
সকল ধাতু মূলত বিদ্যুৎ পরিবাহী এবং ধাতব বন্ধন দ্বারা গঠিত উপাদান পর্যন্ত হয় একটি বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ।
শেষ কথা:
ধাতব বন্ধন কাকে বলে এবং ধাতব বন্ধন এর অপর নাম কি এ বিষয়টি নিয়ে আজকের আমাদের এই পোস্টটি সাজানো। গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিয়ে আজকের এই পোস্টটি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে।
ধাতব বন্ধন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য হতে পারে তার মধ্যে বিদ্যুৎ পরিবাহিতা রয়েছে, বিদ্যুৎ পরিবাহিতায় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় ধাতু।
এর মূল কারণ হলো প্রত্যেক ধাতু বিদ্যুৎ পরিবাহী হয়ে থাকে তবে কাজের ভিন্নতা অনুযায়ী এক নির্দিষ্ট ধাতু ব্যবহৃত হয়।
ধাতু বা ধাতব বন্ধন সম্পর্কে আরো অনেক প্রকার মতামত বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। তার মধ্যে ধাতুর বন্ধনে ইলেকট্রনের ঘটনা উল্লেখ হতে পারে। আবার অপর নাম অনুযায়ী মধ্যবর্তী স্থানে ঘোরাফেরা করা ইলেকট্রন গুলোর ঘটনা উল্লেখ হতে পারে।
ধাতু দ্বারা তৈরি প্রত্যেকটি বন্ধন ধাতব বন্ধন হয় না কেননা ধাতুর সঙ্গে অধাতু যুক্ত হতে পারে বন্ধনের ক্ষেত্রে।
সুতরাং শুধুমাত্র ধাতু এবং ধাতু কাছাকাছি এসে যে বন্ধন গঠন করে তাকে ধাতব বন্ধন বলে।
আরও পড়ুন: সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?