দ্বিপদ নামকরণ কাকে বলে: গণ এবং প্রজাতি নামক দুটি পদের সমন্বয় এবং কতগুলো নিয়ম মেনে, কোন জীবের বিজ্ঞানসম্মত নামকরণ করার পদ্ধতিকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। উদাহরণ: Mangifera Indica (আমের দ্বিপদ নামকরণ)।
তবে অবশ্যই যে কথাটা বলতে চাই সেটি হচ্ছে এই দ্বিপদ নামকরণ এবং বৈজ্ঞানিক নামকরণ কোন আলাদা বিষয় নয়। বরং দ্বিপদ নামকরণ এবং বৈজ্ঞানিক নামকরণ বা কোন প্রাণী বা উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম একই বিষয়ে বা একই জিনিস শুধু দুইটি নামে ডাকতে পারি।
অনেকে চিন্তাভাবনায় থাকতে পারে যে দ্বিপদ নামকরণ এবং বৈজ্ঞানিক নাম হয়তোবা দুইটি আলাদা কোন বৈজ্ঞানিক বিষয়।
বরং এটি সত্য নয় কেননা, বৈজ্ঞানিক নামকরণ বলতে যে বিষয়টিকে বোঝানো হয় দ্বিপদ নামকরণ বলতে ঠিক সে বিষয়টিকে বোঝানো হয়।
অর্থাৎ আপনারা এই দ্বিপদ নামকরন বিষয়টি জানার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক নামকরণ বিষয়টি কাকে বলে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যেহেতু এই দুটি একই বিষয়ে এবং দুইটির কাজ ও নিয়ম একই তাই এটি স্পষ্ট যে বৈজ্ঞানিক নাম ও দ্বিপদ নাম একই।
দ্বিপদ নামকরণ বলতে কি বুঝায়?
একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে থাকে, এই দুইটি অংশের মধ্যে একটি হলো গণ এবং অন্যটি হলো প্রজাতি।
গণ এবং প্রজাতি মিলে কোন একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নাম উল্লেখ করার পদ্ধতি হচ্ছে দ্বিপদ নামকরণ।
দ্বিপদ নামকরণের বৈজ্ঞানিক কিছু লক্ষ্য রয়েছে যেমন বিচিত্রময় জীবজগতের প্রত্যেকটি প্রাণীকে সঠিকভাবে জানা এবং বিশ্লেষণ করা। দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি সর্বপ্রথম রচনা করেন ক্যারোলাস লিনিয়াস 1753 সালে এবং এখানে তিনি উদ্ভিদ বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সূচনা করেন।
আর যে কোন প্রজাতির বিভিন্ন ধারণা অর্জনের জন্য অবশ্যই এই বৈজ্ঞানিক নামটি অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে এবং সহজ করে।
কিভাবে সহজ করেছে বৈজ্ঞানিক নাম বা দ্বিপদ নাম আমাদেরকে এ বিষয়টি চলুন একটু জানার চেষ্টা করি সহজে।
আসলে এই দ্বিপদ নামকরণ কিভাবে লেখা হয় বা কি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে দ্বিপদ নামকরণ লেখা হয়। এই বিষয়ের উপর আমি ইতিমধ্যে তথ্য দিয়েছি যে গণ এবং প্রজাতির উপর ভিত্তি করে দ্বিপদ নামকরণ লেখা হয়, যা হচ্ছে প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম।
যেহেতু আমরা প্রজাতি ও গণ দুইটি বিষয়ে উক্ত প্রাণী বা উদ্ভিদের শ্রেণীবিন্যাস পাই তাই দ্বিপদ নামকরণ আমাদেরকে অনেক ধারণা দেয়।
দ্বিপদ নামকরণের নীতি
দ্বিপদ নামকরণের নীতি হচ্ছে ওই নীতি যার মাধ্যমে দ্বিপদ নামকরণ করা সম্ভব, দ্বিপদ নামকরণ নীতি নীচে উল্লেখ করা হলো:
- নামকরণ লেখার সময় অবশ্যই ল্যাটিন ভাষা লিখতে হবে অথবা ল্যাটিন ভাষার মতো উপস্থাপন করতে হবে।
- নামকরণে অবশ্যই গণ এবং প্রজাতি এ দুটি অংশ বা পদ থাকতে হবে।
- নামকরণে প্রত্যেকটি জীবের নাম ইউনিক বা নতুন বা অন্যান্য হতে হবে।
- অবশ্যই নামকরণের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর ক্যাপিটাল লেটার হতে হবে।
- অবশ্যই নামকরণ লেখার সময় বা মুদ্রণের সময় ইটালিক অক্ষর ব্যবহার করতে হবে।
- বৈজ্ঞানিক নাম লেখার সময় গণ এবং প্রজাতি এই দুটি অংশ আলাদাভাবে আন্ডারলাইন করতে হবে।
- একটি জীবনের নাম একাধিক বিজ্ঞানী প্রদান করলে প্রথম বিজ্ঞানীর নাম গ্রহণযোগ্য হবে।
এগুলো ছিল কিছু নীতি যে নীতিগুলো অবলম্বন করে দ্বিপদ নামকরণ লেখা হয় এবং ধারণা প্রদান করা হয় জীব ও উদ্ভিদের।
উপসংহার:
দ্বিপদ নামকরণ কাকে বলে এবং দ্বিপদ নামকরণ বলতে কি বুঝায় এ বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দ্বিপদ নামকরণ হচ্ছে যে কোন জীবের বৈজ্ঞানিক সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ন। বর্তমানে জীব বিচিত্র এত বেশি গবেষণার শিকার হয়েছে যে, প্রায় কোটির উপর প্রজাতি সনাক্তকরণ করা হয়েছে।
তবে এই বৃহত্তর সংখ্যক প্রজাতির কোন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা রাখার মত ক্ষমতা আমাদের নেই। আর এই ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে অর্থাৎ প্রজাতিগুলো সনাক্ত করার ক্ষেত্রে। সহজ পদ্ধতি নির্ণয় করার ক্ষেত্রে এই দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।
ধন্যবাদ দ্বিপদ নামকরণ কাকে বলে এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আমাদের তৈরি করা আজকের পোস্টটি দ্বিপদ নামকরণ সম্পর্কে জানার জন্য।
আর অবশ্যই আমাদেরকে দ্বিপদ নামকরণ সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই সাথে সংজ্ঞা জানতে হবে দ্বিপদ নামকরণের।
আরও পড়ুন: জীববিজ্ঞান কাকে বলে?