দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি জন্য আপনাকে মুরগি নেওয়ার পূর্বে মুরগি থাকার জন্য একটি বাসস্থান তৈরি করে নিতে হবে। কেননা যদি বাসস্থান না থাকে তাহলে মুরগি থাকবে কোথায়। বাসস্থান তৈরির জন্য আপনাকে এ বিষয়টি ভালোভাবে মনে রাখতে হবে যে আপনি কয়টি মুরগি পালন করতে চান।
আপনি যদি ১০০টি বা একশটির বেশি মুরগি পালন করতে চান তাহলে আপনাকে মুরগি থাকার বাসস্থান অবশ্যই বড় করে বানাতে হবে।
আপনি যে পরিমাণ Input রাখবেন আপনাকে তার যথার্থ পরিমাণ Space দিতে হবে, বলা মুশকিল কতটুকু জায়গা জুড়েই খামার তৈরি করবেন।
এই খামার তৈরির বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে আপনার উপর যে আপনি কতগুলো মুরগি পালন করবেন এবং পরে পরিমাণ বাড়াবেন কিনা।
আপনি যদি খামারের মধ্যে ভবিষ্যতে মুরগির পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এখন থেকেই খামারকে একটু বড় করে বানাতে হবে।
তা না হলে আপনি যে সমস্যার সম্মুখীন হবেন তা হলো পরে আবার খরচা দিয়ে আবার খামারকে বৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি প্রথমবারে খামারকে বড় করে তৈরি করেন তাহলে আপনাকে দ্বিতীয়বার খরচা দিয়ে আবাতা মেরামত করতে হবে না।
দেশি মুরগির খামার ব্যবস্থাপনা
মুরগির জন্য বাসস্থান তৈরির পর আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হলো মুরগির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবারের মজুদ রাখতে হবে।
আর খাবার মজুদ রাখার জন্য একটি জায়গাও নির্বাচন করে রাখতে পারেন আপনি, তবে অবশ্যই পরিষ্কার হবে।
আপনি আপনার খামারের মধ্যে যে পরিমাণ মুরগী রাখবেন সে অনুযায়ী আপনাকে খাবার কিনে নিয়ে আসতে হবে।
একটি মুরগি দৈনিক ২০ থেকে ৩০ গ্রাম পর্যন্ত খাদ্য গ্রহণ করতে পারে। এই খাবারের পরিমাণ মূলত মুরগির বয়সের উপর নির্ভর করে মুরগির বয়স যদি বেশি হয় তাহলে ৩০ গ্রামের উপর পর্যন্ত খাবার খেতে পারে। আর মুরগির বয়স যদি খুবই ছোট হয় তাহলে মুরগি সর্বনিম্ন ৫ গ্রাম পর্যন্ত খাবার খায় দৈনিক।
এই দুটি জিনিসের ভালোভাবে ব্যবস্থা করার পর আপনাকে মুরগি কিনতে হবে। যেহেতু দেশি মুরগি পালন করতে খরচ কম।
এই খরচ কম হওয়ার কারণ হচ্ছে যে দেশি মুরগির খাবার কম লাগে এবং এর রোগ বালাই কম হয়।
দেশি মুরগির রোগের পেছনে আপনাকে তেমন খরচা করতে হয় না এবং তেমন কোন রকমের ভ্যাকসিন প্রদান করতে হয় না।দেশি মুরগি অনেক দিন পর্যন্ত সুস্থ থাকে। এই ছিল দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি এবং খামার ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমার পোস্ট যা আপনার ভালো লেগেছে বলে আমি আশা করি।
শেষ কথা:
দেশি মুরগি পালন ও খামার ব্যবস্থাপনা নিয়ে আজকের আমাদের এই পোস্টটিতে বিশেষ কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এখানে যে সকল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি সেগুলোর মধ্যে পালন পদ্ধতি ও ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য মুরগি পালনে।
আমাদের দেশে আমরা যে কোন প্রান্তে চলে যায় না কেন আমরা সর্বপ্রান্তে দেশি মুরগি লক্ষ্য করতে পারবো। আর এই দেশি মুরগি গ্রামে-গঞ্জে যদিও পালা হয় কিন্তু খামারিরা এটিকে বিশেষভাবে যত্ন সহকারে পালন করে থাকেন।
আর আপনিও যদি একজন খামারি হতে চান এবং লাভজনকভাবে দেশি মুরগি পালে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চান।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের দেওয়া পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করে সঠিক নিয়মে দেশি মুরগি পালতে হবে।
আপনি যখন আমাদের দেওয়া নিয়ম অবলম্বন করে সঠিক নিয়মে মুরগি পালন করবেন তখন এটি আপনার মুরগি লাভজনক করবে।
আর যখন আপনার মুরগি লাভজনকভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করবে তখন আপনি আর্থিকভাবে সহায়তা পাবেন খামার করে।
আরও পড়ুন: কবুতর পালন।