তথ্য প্রযুক্তি কি? তথ্য প্রযুক্তি উপাদানসমূহ

তথ্য প্রযুক্তি কি: যে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উপাত্ত সমূহকে তথ্যে রূপান্তর করা যায়, বিভিন্ন তথ্য দ্রুত সংগ্রহ করা বা সংরক্ষণ করা যায়, এবং আদান-প্রদান করার জন্য তথ্যকে আধুনিকরণ করা যায় এরূপ প্রযুক্তির নাম হলো তথ্য প্রযুক্তি।

এক কথায় বলতে, যে প্রযুক্তি ব্যবহারে উপাত্তকে তথ্যে রূপান্তর করে এবং সেই তথ্য আদান প্রদান করা যায় তাকে তথ্যপ্রযুক্তি বলে।

তথ্য প্রযুক্তি কি
তথ্য প্রযুক্তি কি

প্রকৃতপক্ষে, যে প্রযুক্তি তথ্য সংগ্রহ, সেই তথ্যের সত্যতা যাচাই, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনিকরণ, পরিবহন, বিতরণ, এবং ব্যবস্থাপনা করতে  সক্ষম তাকে তথ্যপ্রযুক্তি বলে।

তথ্য প্রযুক্তি বলতে তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় এবং এক্ষেত্রে ও সকল প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় যেগুলো দ্বারা তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব হয়। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কোন তথ্য সংগ্রহ বা আদান প্রদান করার ক্ষেত্রে জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না।

আর এ কারণে তথ্য প্রযুক্তি অনেক বেশি সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে তথ্য আদান-প্রদান কিংবা সংগ্রহ করা এবং বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে।

তথ্য প্রযুক্তির উপাদান

তথ্য আদান-প্রদান, সংরক্ষণ এবং সংগ্রহ করতে বিভিন্ন প্রকার প্রযুক্তি আবিষ্কার করা হয়েছে এবং এ সকল আবিষ্কৃত প্রযুক্তিকে তথ্য প্রযুক্তির উপাদান বলা হয়। যার দ্বারা এটি বলা যায় যে অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তি সম্পূর্ণরূপে নিজের কাজ করার জন্য প্রয়োজন হবে তথ্য প্রযুক্তির উপাদান।

যেহেতু তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হবে এর উপাদান এবং এর জন্য আমাদেরকে উপাদান গুলো জানতে হবে।

যে উপাদানগুলো দিয়ে তথ্য প্রযুক্তি কাজ করে এবং সেই সাথে আমাদেরকে তথ্য প্রক্রিয়া করে সাহায্য করে থাকে তথ্য আদান-প্রদানে।

নিচে তথ্যপ্রযুক্তির কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহ উল্লেখ করা হলো:

  • কম্পিউটার/ল্যাপটপ (Computer/laptop)
  • স্মার্টফোন/মোবাইল ফোন (smartphone/mobile phone)
  • রেডিও/টেলিভিশন (radio/television)
  • স্যাটেলাইট/নেটওয়ার্ক (satellite/network)
  • মডেম/মেগাবাইট/গিগাবাইট  (modem/megabyte/gigabyte)
  • হার্ডওয়ার/সফটওয়ার/ক্লাউড কম্পিউটারিং (hardware/software/cloud computing)
  • সোশ্যাল মিডিয়া/সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা  (social media/local communication system)

এগুলো হলো তথ্য প্রযুক্তির কিছু উপাদানের নাম, যেগুলোর মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি সক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারে। কোন মাধ্যম/উপাদান ছাড়া কোন প্রযুক্তি কাজ করতে পারে এ বিষয়টি সম্ভাব হবে না বা সক্রিয়ভাবে কাজ করা যাবে না।

তাই যে সকল উপাদান ব্যবহার করে তথ্যপ্রযুক্তির সক্রিয়ভাবে কাজ করা সে সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আমাদের প্রয়োজন। আর এ বিষয়ে জ্ঞান নেবার জন্য উপরে আমরা কতিপয় তথ্য প্রযুক্তির উপাদানের নাম উল্লেখ করেছি, যার প্রত্যেকটি তথ্য প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয়।

শেষ কথা:

বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান হয়েছে সুবিধার জনক সেটি হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি। তথ্যপ্রযুক্তি হচ্ছে ঐ প্রযুক্তি যার মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান ও সংগ্রহ করা যায়, তথ্যের বিশ্লেষণ পর্যন্ত করা সক্ষম হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে।

আধুনিক এই পৃথিবীতে তথ্যের আদান-প্রদানের বিষয়টি সম্পূর্ণ রূপে নিজের ভিতরে সীমাবদ্ধ রেখেছে তথ্য প্রযুক্তি তথ্য বিশ্লেষণের জন্য।

তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার সর্বক্ষেত্রে অনেক বেশি উন্নতি সাধন করতে পেরেছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত ও সক্রিয় করতে পেরেছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সর্বদা পাওয়ার জন্য এবং দূরবর্তী স্থানে থাকা সত্ত্বেও নিকট আত্মীয়দের খোঁজখবর নেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে এবং তথ্য বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে।

ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য, এবং তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে আমাদের সামান্য জ্ঞানটুকু আপনাদের মাথা ধারণ করার জন্য।

তথ্য প্রযুক্তি বলতে তথ্য আদান-প্রদান, বিশ্লেষণ ও সংগ্রহ করার বিষয়টি মুখ্যভাবে প্রাধান্য পায় এবং সে অনুযায়ী তথ্য প্রযুক্তি কাজ করে।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল প্রযুক্তি কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!