ঢেঁড়স এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Abelmoschus Esculentus এবং মানুষ পুষ্টি পূরণে এটি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। গ্রামীণ পরিবেশে প্রায় সকল অঞ্চলের সামান্য কিছু জায়গা জুড়ে ঢেঁড়সের চাষ দেখা যায় এবং ঢেঁড়সের পুষ্টি চাহিদা নিবারণ করার জন্য ঢেঁড়স চাষ হয়।
বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে প্রতি বছর ঢেঁড়স চাষ হয় এবং দেশের ঢেঁড়স চাহিদা পূরণ হয়, আমাদের উচিত ঢেঁড়স চাষ করা। ঢেঁড়স একদিকে যেমন মানুষের পুষ্টিগুণ পূরণ করে ঠিক অন্যদিকে অপকারিতা সাধন করে কিন্তু ঢেঁড়সের উপকারিতা বেশি।
আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা ঢেঁড়সের বৈজ্ঞানিক নাম সম্পর্কে পূর্বে অবগত ছিলেন না বা জানতো তবে ভুলে গেছে। আশা করি আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা অবগত হলেন বিজ্ঞানসম্মত নাম সম্পর্কে যা ঢেঁড়সের জন্য উপযুক্ত।
ঢেঁড়স একটি ছোট প্রজাতের উদ্ভিদ যার আকৃতি বেশ লম্বা হয় না এবং সেই সাথে শুরু হয় এবং সবুজ সবজির অন্তর্ভুক্ত।
তবে এর পুষ্টিগুণ আগুন অনেক বেশি হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে সুপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ঢেঁড়সের রস।
বাংলাদেশে ঢেঁড়সের তরকারি অনেক বেশি পরিচিত এবং মৌসুম সময় অনেক বেশি চাষ হয়।
প্রধানত শীতকালে ঢেঁড়সের চাষ বেশি লক্ষ্য করা যায় তবে বর্তমানে সারা বছর এতে চাষ করা যায়।
ঢেঁড়স এর উপকারিতা
আমরা অনেকেই হয়তোবা ঢেঁড়স খেতে চাই না এবং ঢেঁড়সের উপকারিতা না জানার জন্য আমাদের এমনটি হয়। তাই আপনি যেন ঢেঁড়সের উপকারিতা জানতে পারেন এবং ঢেঁড়স খেতে চান সেজন্য এখানে আমরা ঢেঁড়সের উপকারিতা উল্লেখ করবো।
নিচে কতিপয় ঢেঁড়সের উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:
- ঢেঁড়স মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে।
- যেকোনো রোগের প্রতিকার হিসেবে ইমিউনিটি সৃষ্টি করতে পারে।
- শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দিয়ে উপকৃত করতে পারে।
- আবাদী জমি সর্বদা আবাদে থাকে এবং পরবর্তী ফসলের উন্নতি ঘটে।
এগুলো ছিল কিছু উপকারিতা এবং ঢেঁড়সের বৈজ্ঞানিক নাম নিয়ে তথ্য জানার পর আমি ভাবলাম উপকারিতা জানিয়ে দেই ঢেঁড়সের। আর এই জন্য আমি সর্বশেষে আসার পর আপনাকে ঢেঁড়সের উপকারিতা গুলো দিলাম যেন আপনি ঢেঁড়স খেতে পছন্দ করেন।
ঢেঁড়সের অপকারিতা
অনেকে মনে করে থাকে যে শাকসবজি হিসেবে ঢেঁড়সের অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং এটি খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
এই কথাটি অবশ্যই সত্য যে ঢেঁড়সের উপকারিতা অনেক তবে উপকারিতা থাকার সাথে সাথে ঢেঁড়সের কিছু অপকারিতা রয়েছে।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু ঢেঁড়সের অপকারিতা উল্লেখ করা হলো:
- ঢেঁড়স খাবার ফলে অনেকের শরীরে এলার্জির মত সমস্যা দেখা দেয়।
- ঢেঁড়স খাবার ফলে অনেকের শরীরে চুলকানির মত সমস্যা দেখা দেয়।
- অনেক ক্ষেত্রে বা অনেক রোগের ক্ষেত্রে ঢেঁড়স না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এগুলো ছিল ঢেঁড়স এর কিছু অপকারিতা এবং বুঝা যাচ্ছে যে ঢেঁড়সের উপকারিতা বেশি এবং অপকারিতা কম। তাই নিঃসন্দেহে আমরা খুবই সহজে ঢেঁড়স খেতে পারবো এবং ঢেঁড়সের উপকারিতা গুলো গ্রহণ করতে পারব পরিমাণ মতো।
আরও পড়ুন: সাপের বৈজ্ঞানিক নাম।