ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ: না, ডেঙ্গু জ্বর একটি ছোঁয়াচে রোগ নয়, বরং এটি স্ত্রী মশার দ্বারা সংক্রমিত হয়। অনেকে মনে করে থাকেন যে ডেঙ্গু একটি ছোঁয়াচে রোগ, তবে এ কথাটি মোটেও সত্য নয়।
এ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, একটি পরিবার উপস্থিত সকলকেই ডেঙ্গু মশা কামড় দিয়েছে বলে সকলের মাঝে ডেঙ্গু জ্বর দেখা দিয়েছে। আর এই ক্ষেত্রে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষ মনে করে থাকে যে হয়তো ডেঙ্গু একটি ছোঁয়াচে রোগ।
ডেঙ্গু একটি RNA ভাইরাস এবং এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত মশার মাধ্যমে মানুষ সংক্রমিত হয় এবং ডেঙ্গু জ্বর দেখা যায়।
আক্রান্ত রোগীর হাঁচি কাশি কিংবা অন্যান্য বস্তুর মাধ্যমে কখনোই ডেঙ্গু জ্বর সংক্রমিত হতে পারে না।
তবে এক্ষেত্রে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর নষ্ট করা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর সংক্রমিত হতে পারে।
ছোঁয়াচে রোগ এবং সংক্রামক রোগ মূলত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শের কারণে ছড়িয়ে থাকে কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর স্ত্রী মশা কামড়ানোর ফলে হয়। আর অবশ্যই যে প্রত্যেকটি স্ত্রী মশা কামড়ানোর ফলে আপনার ডেঙ্গু জ্বর দেখা দিবে এমনটা না বরং কিছু RNA ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত স্ত্রী মশার মাধ্যমে ছড়ায়।
আর এই সকল মশা মূলত বিভিন্ন প্রকার ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে নিজের বংশবৃদ্ধি করে থাকে এবং RNA ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
RNA ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ায় এই মশা দ্বারা ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং আমাদের ডেঙ্গু জ্বর হয়।
ডেঙ্গু জ্বরের বৈশিষ্ট্য
আমরা ইতিমধ্যে এই ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে কিছু জানলাম কিন্তু এই জ্বর হলে কি রকম বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় তা জানলাম না।
আর অবশ্যই ডেঙ্গু জ্বরের মতো একটি মরণঘাতী রোগের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমাদের সকলের সাধারণ ধারণাটুকু রাখা অনেক বেশি প্রয়োজন।
এই ডেঙ্গু জ্বরের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত হওয়ার মাধ্যমে আমরা খুবই সহজে ডেঙ্গু জ্বর আক্রমণের কারণ সম্পর্কে অবগত হতে পারব। আর যখন ডেঙ্গু জ্বরের কারণ জানতে পারব তখন সহজে নিজেকে সতর্ক রাখার মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা পেতে পারব।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু ডেঙ্গু জ্বরের বৈশিষ্ট্য সমূহ প্রদান করা হলো:
- এই রকেটে স্ত্রী মশার দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং জীব তাতে আক্রান্ত হয়।
- ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে একটি আরএনএ (RNA) ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত রোগ।
- এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ নয় বরং স্ত্রী মশার দ্বারা সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়।
- ডেঙ্গু জ্বরের উন্নত কোন চিকিৎসা নেই তবে প্রতিকার রয়েছে অনেক উন্নত।
- ডেঙ্গু জ্বর চারটি ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ বৃদ্ধি করে থাকে।
এগুলো হলো ডেঙ্গু জ্বরের কিছু বৈশিষ্ট্য এবং এ বৈশিষ্ট্য দ্বারা আমরা ডেঙ্গু জ্বরের আক্রমণের প্রক্রিয়া বুঝতে পারি।
আবার সেই সাথে এই বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান নিজের মাথায় ধারণ করতে পারি।
আর এই ডেঙ্গু যেহেতু একটি ছোঁয়াচে রোগ নয় তাই অবশ্যই আমাদেরকে আক্রান্ত রোগের সাথে সময় কাটাতে হবে এবং মন ভালো রাখতে হবে। আর এটি ছোঁয়াচে রোগ নয় বলে আপনি সতর্ক থাকবেন না এমনটি না বরং আপনাকে যেন কোন ডেঙ্গু মশা কামড়াতে না পারে এ বিষয়ের উপর সতর্ক থাকতে হবে।
শেষ কথা:
ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ এবং এই ডেঙ্গু জ্বরের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে আজকের এই পোস্টটিতে আলোচ্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবং আমাদের এই আলোচনা দ্বারা এটি স্পষ্ট যে ডেঙ্গু কখনো একটি ছোঁয়াচে রোগ নয় বরং এটি স্ত্রী মশকীর মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটায়।
প্রায় প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকেও অনেক মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যায় শুধুমাত্র এই ডেঙ্গু ভাইরাসের বা জ্বরের আক্রমণের কারণে।
আবার অনেকেই আছে যারা পর্যাপ্ত যত্ন না পাওয়ার কারণে এবং ডাক্তার পরামর্শ না নেওয়ার কারণে ডেঙ্গু জ্বরে হতে মারা যায়।
প্রতিবছর আমাদের দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ নির্দিষ্ট একটি মৌসুম এগিয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তি মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ডেঙ্গু জ্বরের ফলে শিশু ও বৃদ্ধ রোগী সহজে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এবং দুর্বল হয়ে যায়।
এই ডেঙ্গু জ্বর থেকে নিজেকে রক্ষা করার একটি উপায় হচ্ছে সর্বদা মশা থেকে নিজেকে বিরত রাখা এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। আমরা মশা তাড়ানোর জন্য কোয়েল ব্যবহার করতে পারি এবং সেই সাথে বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে ডেঙ্গু জ্বর থেকে প্রতিরোধ পেতে পারি।
আর কখনো এই ভুল ধারণায় থাকবেন না যে, ডেঙ্গু ছোঁয়াচে রোগ বরং মনে রাখবেন ডেঙ্গু হচ্ছে একটি স্ত্রী মশার নাম।
আর এই ডেঙ্গু নামক মশা RNA ভাইরাসে আক্রান্ত থাকে ও সেই সাথে মানুষকে কামড়ানোর ফলে শরীরে ডেঙ্গু জ্বর দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: কত ডিগ্রি জ্বর হলে মানুষ মারা যায়?