ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে: ২ থেকে ৭ দিন অথবা ৩ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বর আমাদের শরীরে বিদ্যমান থাকে। Infected aedes species mosquito নামক ভাইরাস বহন করে স্ত্রী মশা দ্বারা ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বর এমন একটি রোগ যা স্ত্রী মশার মাধ্যমে প্রায় প্রতিটি মৌসুমের সংক্রমিত হয়ে থাকে।
তবে শীতকাল বা ঠান্ডার সময় মশার প্রকোপ কম থাকায়, ডেঙ্গুর প্রকোপ কম হয়।
মশা দ্বারা ছড়ানো ডেঙ্গু জ্বর বেশি দিন পর্যন্ত থাকতে পারে তবে ১০ দিন হওয়ার পর আপনাকে এর পরীক্ষা করা উচিত।
কেননা আপনি যত দ্রুত সম্ভব এই রোগটি চিহ্নিত করতে পারবেন, ঠিক তত তাড়াতাড়ি আপনি সুস্থ হবেন।
সর্বক্ষেত্রে চিকিৎসার উপর নির্ভর করবে আপনার ডেঙ্গু জ্বর কেননা যদি আপনার চিকিৎসা ভালো হয় তাহলে অবশ্যই আপনি খুব দ্রুত ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তি পাবেন। তবে আপনি যদি ঠিকমতো চিকিৎসা গ্রহণ না করেন তাহলে, অবশ্যই এটি আপনার স্বাস্থ্যহানি বা মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আমরা ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারি এই রোগ বহনকারী মশার কামড়ের দ্বারা এবং মৃত মশা ভক্ষণ করার কারণে।
অনেক ক্ষেত্রে, আমরা ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মৃত মশা খেয়েছি ভুল করে এবং এর জন্য আমাদের ডেঙ্গু জ্বর দেখা যেতে পারে।
তাই অবশ্যই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং বাসা বাড়ি পরিষ্কার করার মাধ্যমে ডেঙ্গু বহনকারী মশা দূর করতে হবে।
ডেঙ্গু মশা কিভাবে ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস বহন করে?
আমরা সকলে জানি যে শুধুমাত্র স্ত্রী মশা মানুষকে কামড় দেয় এবং রক্ত পান করে। আর ঠিক এরকম অবস্থায় কোন ব্যক্তি যদি ডেঙ্গুজোড়া আক্রান্ত হয়ে থাকে বা ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে থাকে। তখন যদি কোন স্ত্রী মশা সেই ব্যক্তিকে কামড় দেয় তাহলে মশাটি নিকট ডেঙ্গু ভাইরাস উপস্থিত হয়ে যায়।
ডেঙ্গু ভাইরাসে মশার ক্ষতি হয় না, কিন্তু যখন মশাটি সুস্থ শরীরে বসে তখন ডেঙ্গু ভাইরাস সেই সুস্থ জীবের সংক্রমিত হয়।
আর এভাবেই ডেঙ্গু মশা ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস বহন করে থাকে এবং এটি একটি অত্যন্ত ধীর এবং গতি উভয় সম্পন্ন প্রক্রিয়া।
এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করার মাধ্যমে ডেঙ্গু আমাদের শরীরে আক্রমণ করে এবং আমরা অনেক বেশি অসুস্থ ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি।
তবে আমাদেরকে সর্বক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে কেননা ডেঙ্গু ভাইরাস সর্বদা পরিষ্কারহীন অবস্থা থেকে জন্ম নিয়ে এবং ধীরে ধীরে সংক্রমণ ঘটায়।
আর আমরা যদি আমাদের বাসা বাড়ির পরিষ্কার রাখি তাহলে ডেঙ্গু জন্মাতে পারবে না বা ডেঙ্গু মশা জন্মাতে পারবে না ফলে আমরা সুরক্ষিত থাকবো। বাসা বাড়ি পরিষ্কার রাখার ফলে আমরা যে ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তি পাব এমনটা না বরং আরো অনেক স্বাস্থ্যহানি রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
এই কথা মনে রাখবেন যে, ডেঙ্গু জ্বর আপনার শরীরে কতদিন থাকবে তার কোন সুনিশ্চিত সময় বা দিন নেই।
এটা নির্ভর করবে আপনার চিকিৎসা ও সতর্ক থাকার উপর যার ফলে আপনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবেন বা সুস্থ হবেন।
শেষ কথা:
ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে এবং ডেঙ্গু ভাইরাস কিভাবে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে আমাদের আক্রান্ত করে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
অবশ্যই ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এই সকল বিষয় সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে আপনাকে।
আপনি যখন সতর্ক থাকবেন এবং বাসা পরিষ্কার রাখবেন তখন ডেঙ্গু সহ আরো অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। আর অবশ্যই এই সকল কিছুর উপর বিবেচনা করে আপনাকে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে ডেঙ্গু জ্বর নামক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে।
এখানে ডেঙ্গু ভাইরাস কিভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে আলোচনা করার মূল কারণ হচ্ছে আপনি ডেঙ্গু জ্বর থেকে যেন সতর্ক হোন।
কেননা আপনি যদি বুঝতে না পারেন যে আপনার শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস কিভাবে সংক্রমণ ঘটিয়েছে বা প্রবেশ করেছে।
তাহলে আপনি কোনভাবে সতর্ক থাকতে পারবেন না এবং সতর্ক না থাকার কারণে আপনি খুব সহজে ডেঙ্গু জ্বর বা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। ডেঙ্গু যেহেতু একটি ঝুঁকিপূর্ণ রোগ আমাদের শরীরের জন্য তাই আমাদেরকে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চিকিৎসা নিতে হবে ডেঙ্গু শনাক্ত হলে।
সর্বদা সতর্ক থাকুন যদি আপনি নিজের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে চান ডেঙ্গু জ্বর এবং অন্যান্য আরো রোগ থেকে।
আরও পড়ুন: বাচ্চাদের জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম?