ডিজেল ইঞ্জিন কাকে বলে: যে সকল ইঞ্জিন জ্বালানি হিসেবে ডিজেল গ্রহণ করে তাপ শক্তি উৎপন্ন করে এবং উৎপন্ন তাপ শক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে অন্যান্য যন্ত্রাংশকে নিয়ন্ত্রণ ও শক্তি প্রদান করে, তাকে ডিজেল ইঞ্জিন বলে।
এই ডিজেল ইঞ্জিন মূলত বড় বড় গাড়িগুলোতে ব্যবহার করা হয় এবং অধিক শক্তি উৎপাদন করার ক্ষেত্রে ডিজেল ইঞ্জিন বেশি ব্যবহৃত হয়। ডিজেল ইঞ্জিন দ্বারা মূলত অনেক ভারে ভারে কাজ বা ভারী ভারী যানবাহন তৈরি করা হয়ে থাকে।
আমাদের মাঝে অনেকেই হয়তোবা ইতিমধ্যে ট্রাক্টর লক্ষ্য করেছে এবং এ ট্রাক্টর হচ্ছে ডিজেল ইঞ্জিনের অন্তর্ভুক্ত একটি গাড়ি। আর এই গাড়িগুলো যেহেতু জ্বালানি হিসেবে ডিজেল গ্রহণ করে থাকে এবং সেখান থেকে তাপ শক্তি উৎপন্ন করে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে তাই এগুলোকে ডিজেল ইঞ্জিন বলে।
ডিজেল ইঞ্জিনের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে এই ইঞ্জিনগুলো তুলনামূলক অনেক বেশি বড় হয়ে থাকে অন্যান্য যেটা তুলনায়।
আবার সেই সাথে এই ইঞ্জিনগুলোর কর্মদক্ষতা অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং সেই সাথে অনেক বেশি শক্তি উৎপন্ন করতে পারে।
এই ডিজেল ইঞ্জিনের সংজ্ঞা জানার পর অবশ্যই ডিজেল ইঞ্জিন চেনার উপায় কি বা কিভাবে চিনতে পারব সে সম্পর্কে জানা দরকার। তাই নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করব যেগুলোর দ্বারা আপনি খুব সহজে ডিজেল ইঞ্জিন চিহ্নিত করতে পারবেন বা শনাক্ত করতে পারবেন।
ডিজেল ইঞ্জিন চেনার উপায়
আমরা অনেকেই আছি যারা ডিজেল ইঞ্জিন চিনি না বা চিহ্নিত করতে পারে না এবং এজন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু বৈশিষ্ট্য মনে রাখতে হবে। ডিজেল ইঞ্জিন চেনার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে বা উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে সকল ইঞ্জিন খুব সহজে চিহ্নিত করা যায়।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু ডিজেল ইঞ্জিন চেনার উপায় সমূহ বিশেষভাবে আপনার জন্য উপস্থাপন করা হলো:
- ডিজেল ইঞ্জিন তুলনামূলক ভাবে ভারী হয় পেট্রোল ইঞ্জিনের চেয়ে।
- ডিজেল ইঞ্জিনে হিটার প্লাগ থাকে, যেটি দ্বারা ডিজেলের ইঞ্জিন চেনা যায়।
- ডিজেল ইঞ্জিন দ্বারা তৈরিকৃত বেশিরভাগ গাড়ি চার চাকা বা তার অধিক হয়ে থাকে।
- ডিজেল ইঞ্জিন চালু করার জন্য কোন স্পার্ক থাকে না বরং এটি ইঞ্জেক্টর বা ফুয়েল স্প্রে দ্বারা চালু করা হয়।
- ডিজেল ইঞ্জিন সহজে বন্ধ হয়ে যায় না এবং পেট্রোল ইঞ্জিনিয়ার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়।
- ডিজেল ইঞ্জিন সেলেনজার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে চিহ্নিত করা যায়।
এগুলো হলো ডিজেল ইঞ্জিন চেনার উপায় এবং শুধুমাত্র এই কয়েকটি বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার মাধ্যমে আপনি ডিজেল ইঞ্জিন সমাপ্ত করতে পারবেন। আপনি যদি লক্ষ্য করেন কোন একটি ইঞ্জিনিয়ার উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান নেই সেহেতু বুঝে নিবেন এটি ডিজেল ইঞ্জিনের নয়।
ডিজেল ইঞ্জিনিয়ার অবশ্যই উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ থাকবে বা চিহ্নিত করা যাবে এবং সেই সাথে ডিজেল গ্রহণ করবে।
এই ডিজেল ইঞ্জিন চেনার সহজ উপায় হলো ডিজেল ইঞ্জিনগুলো সর্বদা ডিজেল গ্রহণ করে জ্বালানি হিসেবে এবং তাপ শক্তি উৎপন্ন করে।
ডিজেল ইঞ্জিন এর বৈশিষ্ট্য
প্রত্যেকটি ইঞ্জিনিয়ার কিছু না কিছু শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য থাকে এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলো দ্বারা উক্ত ইঞ্জিন সনাক্ত করা যায়। ঠিক অনুরূপভাবে ডিজেল ইঞ্জিনের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো দ্বারা আমরা খুব সহজে ডিজেল ইঞ্জিন সনাক্ত করতে পারে।
ডিজেল ইঞ্জিনিয়ার উল্লেখযোগ্য কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য সমূহ নিচে উপস্থাপন করা হলো:
- ডিজেল ইঞ্জিন ডিজেল দ্বারা চালিত।
- ডিজেল ইঞ্জিন অনেক বেশি শক্তিশালী হয় পেট্রোল ইঞ্জিনের তুলনায়।
- ডিজেল ইঞ্জিনের শক্তি নির্ণয়ের জন্য সেলেনজার সংখ্যা নির্ভর করে।
- ডিজেল ইঞ্জিনিয়ার শব্দ অনেক বেশি হয় পেট্রোল ইঞ্জিনের তুলনায়।
- ডিজেল ইঞ্জিন এর আকার হয় বড় পেট্রল ইঞ্জিনের চেয়ে।
- ডিজেল ইঞ্জিন ঠান্ডা করার জন্য পানি সরবরাহ করতে হয়।
এগুলো হলো ডিজেল ইঞ্জিনিয়ার বৈশিষ্ট্য এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলো দ্বারাও আপনি খুব সহজে ডিজেল ইঞ্জিন চিহ্নিত করতে পারবেন বা শনাক্ত করতে পারবেন। তুলনামূলক ডিজেল ইঞ্জিন গুলো অনেক বেশি বড় হয়ে থাকে অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ার তুলনায় বা পেট্রোল ইঞ্জিনের তুলনায়।
আবার সেই সাথে ডিজেল ইঞ্জিনগুলো অনেক কর্মদক্ষতা সম্পন্ন হয়ে থাকে এবং বড় বড় যানবাহন তৈরি করা হয় এই ইঞ্জিন দিয়ে।
তবে অবশ্যই স্থলপথে যে সকল যানবাহন চলাচল করে সেগুলোতেই ডিজেল ইঞ্জিন ভালোভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ইঞ্জিন কাকে বলে?