ডিজিটাল কম্পিউটার কি: ডিজিটাল কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটারিং সিস্টেম যা নিখুঁত এবং নির্ভুলভাবে বাইনারি পদ্ধতি ব্যবহার করে গণনামূলক কার্যাবলী দ্রুত সম্পাদন করে থাকে। এক কথায়, ডিজিটাল কম্পিউটার হলো কম্পিউটারের একটি ডিজিটাল রূপ যা বাইনারি পদ্ধতিতে সকল কাজ দ্রুত সম্পাদন করতে সক্ষম।
কম্পিউটার প্রথম তৈরি করা হয়েছিল গণনার কাজে সুবিধার জন্য। বাইনারি পদ্ধতি বা ডিজিটাল পদ্ধতি হলো গণনার একটি রূপ।
এর মাধ্যমে কম্পিউটার সকল ডাটা বুঝতে পারে বা পড়তে পারে এবং খুব দ্রুত নির্দেশনা অনুযায়ী নিজের কাজ সম্পন্ন করে দেখায়।
আপনি এমনটা বলতে পারেন যে, কম্পিউটারের যে ডিজিটাল রূপ সেই রূপেকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলে এবং ইহার মাধ্যমে জটিল কাজ সহজে সমাধান হয়। ডিজিটাল কম্পিউটার যেহেতু বাইনারি পদ্ধতিতে সকল কাজ করে থাকে তাই কাজের নির্ভুলতা বেশি হয়।

অর্থাৎ বায়নারে পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে এক দিক দিয়ে যেমন দ্রুত কাজ সম্পন্ন হয় ঠিক তেমনি নির্ভুলতা সৃষ্টি হয়। কম্পিউটারকে মূলত এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন ইহার দ্বারা কোন প্রকার ভুল না হয় এবং এটি নিশ্চিত করার জন্য বাইনারি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
বাইনারি পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে কম্পিউটার সম্পূর্ণরূপে যেকোনো হিসাব দ্রুত করতে পারে এবং বিশ্লেষণ করতে পারে।
আর কম্পিউটারের দ্রুত বিশ্লেষণ ও হিসাব করার এই প্রক্রিয়া নির্ভুলভাবে উপস্থাপন করার ধারণা প্রদান করেছে ডিজিটাল কম্পিউটার।
ডিজিটাল কম্পিউটারের প্রকারভেদ
ডিজিটাল কম্পিউটারকে শুধুমাত্র একটি বিষয়ের উপর কখনোই একাধিক ভাবে ভাগ করা সম্ভব নয়। বরং কর্মদক্ষতা সব বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আমরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে পারি এবং এর প্রকারভেদ পাই।
আর এ ডিজিটাল কম্পিউটারের আমরা যে সকল প্রকারভেদ পেয়ে থাকে শেষ হওয়ার প্রকারভেদ আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়ায়। আর যেহেতু এগুলো তারা আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়বে তাই আমরা এখানে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রকারভেদ গুলো উল্লেখ করবো।
কর্মদক্ষতা এবং গঠন নীতির উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল কম্পিউটারকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। এগুলো হলো:
- হাইব্রিড কম্পিউটার {Hybrid computer}
- ডিজিটাল কম্পিউটার { Digital computer}এবং
- এনালগ কম্পিউটার{ Analogue computer}।
বর্তমানে কম্পিউটার বলতে ডিজিটাল কম্পিউটার বোঝানো হয় এবং এনালগ কম্পিউটারের কোন অস্তিত্ব বর্তমানে খুজে পাওয়া মুশকিল।
তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরনো গবেষণা কেন্দ্র ও স্কুলের মধ্যে এই সকল এনালগ প্রযুক্তির কম্পিউটার দেখা যায় তবে বন্ধ অবস্থায়।
ডিজিটাল কম্পিউটারের আরো কিছু প্রকারভেদ রয়েছে যা বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে। কাজ করার ক্ষমতা, আকার, এবং আয়তনের ভিত্তিতে কম্পিউটার চার প্রকার।
- মাইক্রো কম্পিউটার {Micro computer}
- মিনি কম্পিউটার {Mini computer}
- মেইনফ্রেম কম্পিউটার {Mainframe computer}
- সুপার কম্পিউটার {Supercomputer}
এগুলো হলো ডিজিটাল কম্পিউটারের কিছু প্রকারভেদ যা তাদের কর্মদক্ষতা, শক্তি এবং আরো অন্যান্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সাজানো হয়েছে। তবে কম্পিউটারের প্রকারভেতে যাই হোক না কেন প্রত্যেকটি কম্পিউটারকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন নির্মূলতার বৃদ্ধি পায়।
আবার সেই সাথে কম্পিউটারগুলোকে এমন ভাবে প্রোগ্রাম করা হয় যেন খুব কম সময় একটি জটিল কাজের সমাধান করতে পারে। কম্পিউটার বলতে ডিজিটাল কম্পিউটারের ধারণা সবার প্রথমে আমাদের মাথায় আসে এবং ডিজিটাল কম্পিউটার সম্পর্কে ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।
ডিজিটাল কম্পিউটারের উপাদান
ডিজিটাল কম্পিউটার গঠনে এবং সক্রিয়ভাবে এর কাজ নির্ধারণের জন্য কিছু প্রোগ্রাম ও উপাদানের প্রয়োজন হয় নিয়ন্ত্রণের জন্য।.
যে উপাদান গুলো পরস্পরের সাথে সংযোগ হয় ডিজিটাল কম্পিউটারকে উন্নত করে কাজ ও দ্রুত হওয়ার জন্য সাহায্য করে।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু কম্পিউটারের বা ডিজিটাল কম্পিউটারের উপাদান সমূহ উল্লেখ করা হলো:
- ইনপুট
- আউটপুট
- ইনপুট- আউটপুট ইকুইপমেন্ট.
- কন্ট্রোল ইউনিট.
- মেইন মেমোরি. এবং
- এএলইউ
এগুলো হলো ডিজিটাল কম্পিউটারের কিছু উপাদান যার মাধ্যমে ডিজিটাল কম্পিউটার সক্রিয় হয় এবং কর্মদক্ষতা পায়।
তবে ডিজিটাল কম্পিউটার সম্পূর্ণরূপে কর্মদক্ষতা পাওয়ার জন্য প্রোগ্রামের প্রয়োজন হয় যা ভালো মানের প্রোগ্রামার দ্বারা তৈরি করা হয়।
কম্পিউটার প্রোগ্রাম বলতে বর্তমানে উইন্ডোজ কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় এবং প্রত্যেকটি ডিজিটাল কম্পিউটারে কম-বেশি এটি ব্যবহৃত হয়। তবে সাধারণ কিছু লিমিটেশনের কারণে অনেকেই এটি ব্যবহার করেন না বরং লিনাক্স সহ আরো বিভিন্ন প্রোগ্রাম আছে সেগুলো ব্যবহার করে থাকেন।
আরও পড়ুন: তথ্য প্রযুক্তি কি?