টেলিমেডিসিন কি? টেলিমেডিসিন কাকে বলে? টেলিমেডিসিনের ইতিহাস ও সুবিধা

টেলিমেডিসিন কি: দূরবর্তী স্থানে বসে যে কোন রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করার আধুনিক প্রক্রিয়া হচ্ছে টেলিমেডিসিন। মোবাইল ফোন, ভিডিও কনফারেন্সিং এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করার মাধ্যম হচ্ছে টেলিমেডিসিন।

এই টেলিমেডিসিন বলতে বোঝানো হয় মোবাইল ফোন অথবা অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভিডিও অথবা অডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করা। চিকিৎসা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই টেলিমেডিসিন এর ভূমিকা ও উপকারিতা বর্তমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

টেলিমেডিসিন কি
টেলিমেডিসিন কি?

বর্তমান সময়ে এসে প্রায় প্রত্যেকটি মানুষ telemedicine এর উপর আকর্ষণ প্রদান করছে নিজের চিকিৎসা গ্রহণের জন্য। কেননা ইহার ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায় এবং অল্প খরচের চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্ভব হয় অভিজ্ঞ ডাক্তারের থেকে।

আর চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবশ্যই টেলিমেডিসিন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে যোগাযোগ ও চিকিৎসার জন্য।

চিকিৎসার জন্য টেলিমেডিসিনের শুধুমাত্র চিকিৎসা গ্রহণের জন্য হয়ে উঠেছে এমনটি না বরং যোগাযোগের মাধ্যমে পরামর্শ নেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে।

টেলিমেডিসিন কাকে বলে?

টেলিমেডিসিন কাকে বলে: আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূরবর্তী স্থানে বসে চিকিৎসা গ্রহণের প্রক্রিয়াকে টেলিমেডিসিন বলে।

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বহুল চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে সর্বোচ্চ সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমকে টেলিমেডিসিন বলে।

এই টেলিমেডিসিন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য অনলাইনে আছে তবে এর কাজ সম্পর্কে আপনারা খুব কম জানেন। টেলিমেডিসিনের মূল কাজ হল ঘরে বসেই উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করার সুযোগ দেওয়া এবং আপনার চিকিৎসা মানসম্মত করা।

টেলিমেডিসিন এর মাধ্যমে ঘরে বসেই বড় বড় ডাক্তারের সঙ্গে চিকিৎসার পরামর্শ গ্রহণ করা যায় এবং চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়।

আবার সেই সাথে বিদেশি কোন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন অনেক বেশি কার্যকরী।

সর্বদা telemedicine ব্যবহার হয়েছে ডাক্তারের কাছে নিজের রোগের কথা উপস্থাপন করার জন্য এবং উপযুক্ত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। আর অবশ্যই এই টেলি মেডিসিন এর মাধ্যমে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্ভব হয় অভিজ্ঞ এবং শ্রেষ্ঠ ডাক্তারদের কাছ থেকে।

টেলিমেডিসিনের ইতিহাস ও সুবিধাসমূহ

মূলত টেলিফোন আবিষ্কারের পর থেকে টেলিমেডিসিন এর যাত্রা শুরু করা হয় এবং এটি ছিল সেসময় খুব কম প্রচলিত। ১৯০৬ সালে আইনধোকেন টেলিফোন লাইন ব্যবহার করে ইসিজি সম্প্রচার পরীক্ষা প্রথম করা হয়েছিল।

এবং এরপর ১৯২০ সালে জাহাজের নাবিকদের জরুরি চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়ার জন্য রেডিও ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছিল।

আবার পরবর্তীতে 1955 সালে আমেরিকার নেব্রাস্কা সাইকিয়াট্রিক ইনস্টিটিউট ক্লজ সার্কিট টিভির মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা শুরু করা হয়েছিল।

এবং ১৯৭০ সালে আল আজকা ও কানাডার প্রত্যক্ষ অঞ্চলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা শুরু হয় অহরহ ভাবে।

আর এটি হল টেলিমেডিসিনের ইতিহাস যা টেলিফোন আবিষ্কারের পর থেকে শুরু হয়েছিল।

টেলিমেডিসিনের সুবিধা সমূহ

বর্তমানে অনেকে টেলিমেডিসিন ব্যবহার করার চিকিৎসা গ্রহণ করতেছে কিন্তু যারা ব্যবহার করে না তারা সুবিধা জানে না।

অর্থাৎ টেলিমেডিসিন কি কি সুবিধা প্রদান করে তা সম্পর্কে অধিকাংশ লোক যারা টেলিমেডিসিন ব্যবহার করে না তারা অবগত নয়।

টেলিমেডিসিনের কতিপয় সুবিধা সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • ঘরে বসে এই ইন্টারনেট কল্যাণের মাধ্যমে উপযুক্ত রোগের উপযুক্ত কল্যাণকর চিকিৎসা পাওয়া যায়।
  • তুলনামূলক স্বল্প খরচে ভালো মানের চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
  • অযথা ডাক্তারের চেম্বার এগিয়ে সময় নষ্ট না করে দ্রুত সেবা গ্রহণ করার সহজ হয়।
  • এক দেশ থেকে অন্য দেশের ডাক্তারগণের পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়।
  • রোগের বিশ্লেষণ এবং রোগ সম্পর্কে অত্যাধিক জ্ঞান ও ধারণা অর্জন করা সম্ভব হয়।
  • রোগের বিচার কিভাবে কমাতে হয় এবং রোগমুক্ত থাকতে হয় তার ধারণা পাওয়া যায়।
  • নিখুত ব্যবস্থাপনার সহিত রোগীর সেবার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়।

এগুলো ছিল টেলিমেডিসিনের কিছু সুবিধা সমূহ এবং আপনি যদি টেলিভিশন ব্যবহার করেন তাহলে এই সুবিধা গুলো উপভোগ করবেন। আর অবশ্যই আমি বলব টেলিমেডিসিন ব্যবহার করতে কেননা ইহার মাধ্যমে উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন এবং বিখ্যাত ডাক্তারের সাক্ষাৎ হওয়া যায়। 

আরও পড়ুন: বুলেটিন বোর্ড কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!