টেকনোলজি কি: টেকনোলজি হচ্ছে বেশ কয়েকটি দক্ষতা ও সৃজনশীল মনোভাব দ্বারা সৃষ্ট বেশ কয়েকটি যন্ত্রাংশ নিয়ে গঠিত দক্ষ প্রযুক্তি। টেকনোলজি হলো বেশ কয়েকটি যন্ত্রাংশ একসঙ্গে যুক্ত করে ব্যবহারকারীর ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা।
বিভিন্ন কাজের সমাধান করার জন্য আমরা টেকনোলজি আবিষ্কার করে থাকি এবং এ টেকনোলজিকে বাংলা ভাষায় প্রযুক্তি বলা হয়।
অনেক ক্ষেত্রে আমরা টেকনোলজিকে সহজ ভাষায় অন্যের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য খুব সহজে টেক বলে আখ্যায়িত করে থাকি।
আধুনিক এই যুগে সর্বক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় টেকনোলজি বা প্রযুক্তি এবং এই টেকনোলজি গঠনের পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানের বিরাট অবদান। মানুষের কাজের সহযোগিতা ও মানুষকে অনেক বেশি সময় অপচয় রোধ করতে টেকনোলজি অনেক বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
তবে আমরা যে সকল টেকনোলজি ব্যবহার করে তার কিছু প্রকারভেদ রয়েছে এবং এ টেকনোলজির প্রকারভেদ গুলো জানতে হবে।
আমরা যে সকল টেকনোলজি চোখ দিয়ে দেখেছি বা ব্যবহার করেছি তার প্রত্যেকটি বিভিন্ন শ্রেণীতে বা ভাগে বিভক্ত হয়ে রয়েছে।
টেকনোলজি কত প্রকার ও কি কি?
আমরা তো ডিজিটাল এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য নানা প্রকার টেকনোলজি ব্যবহার করে থাকে এবং সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি মোবাইল ফোন। তবে আমরা যে সকল টেকনোলজি বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার কিছু প্রকারভেদ রয়েছে এবং এটি তৈরি করার উপর ভিত্তি করে ভাগ হয়েছে।
একটি প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করবে বা কার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হবে তার উপর ভিত্তি করে টেকনোলজি বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
আর এই সকল প্রকারভেদ টেকনোলজি নিয়ে জ্ঞান অর্জন করার বিষয়ে আমাদেরকে অনেক বেশি সাহায্য করবে ও জ্ঞান যোগান দিবে।
ব্যবহারকারীর ওপর ভিত্তি করে টেকনোলজিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:
- মানুষ নিয়ন্ত্রক টেকনোলজি (People control technology)
- এবং রোবট নিয়ন্ত্রক টেকনোলজি (Robot control technology)
এগুলো হলো টেকনোলজির কিছু প্রকারভেদ এবং এই প্রকারভেদ গুলোর মাধ্যমে আমরা উক্ত টেকনোলজির কাজ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাই।
কেননা মানুষ নিয়ন্ত্রক বলতে যে সকল টেকনোলজি মানুষ পরিচালনা করে থাকে সে সকল প্রযুক্তি বা টেকনোলজিকে বোঝানো হয়েছে।
চলুন তাহলে প্রকারভেদ অনুযায়ী এই সকল টেকনোলজিগুলো সম্পর্কে বিশেষ ধারণা ও জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করি।
মানুষ নিয়ন্ত্রক টেকনোলজি
যে সকল টেকনোলজি বা প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য একজন মানুষের প্রয়োজন হয়, সেই সকল প্রযুক্তিকে মানব নিয়ন্ত্রক টেকনোলজি বলে।
উদাহরণ: মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, যানবাহন এবং ল্যাপটপ ইত্যাদ।
যেহেতু এই সকল যন্ত্রাংশ বা প্রযুক্তি বা টেকনোলজি মানুষ সর্বদা পরিচালনা করে থাকে নিজের কাজ করার জন্য তাই এগুলো মানুষ নিয়ন্ত্রক টেকনোলজি। আর এ টেকনোলজির নিয়ন্ত্রক যেহেতু মানুষ তাই এর প্রকারভেদের নাম উল্লেখ হয়েছে মানুষ নিয়ন্ত্রক টেকনোলজি।
মানুষ বিভিন্ন কাজের সহজে সমাধান করার জন্য বিভিন্ন প্রকার টেকনোলজি বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে যা বিজ্ঞান থেকে এসেছে।
এই সকল প্রযুক্তি মানুষ কাজে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবহার করার জন্য এর নামকরণ করা হয়েছে মানুষ নিয়ন্ত্রক টেকনোলজি বা প্রযুক্তি।
রোবট নিয়ন্ত্রক টেকনোলজি
যে সকল টেকনোলজি বা প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য রোবট সকল দায়িত্ব পালন করে, সেই সকল প্রযুক্তি বা টেকনোলজিকে রোবট নিয়ন্ত্রক টেকনোলজি বলে।
উদাহরণ: গাড়ি তৈরি শিল্পে ব্যবহৃত প্রযুক্তি, কয়লা ও অন্যান্য ভারী বস্তু উত্তোলনের ব্যবহৃত প্রযুক্তি এবং অনলাইনে ব্যবহৃত AI রোবট।
রোবট দ্বারা তৈরিকৃত প্রযুক্তি বা রোবট নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি বলতে সর্বপ্রথম বর্তমানে যে বিষয়টি আমাদের মাথায় আসে সেটি হচ্ছে AI। কেননা বর্তমান বিশ্বে AI এত বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে যে মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রযুক্তির উপর নিজের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পেরেছে।
আবার বিভিন্ন শিল্প কারখানা শ্রমিকের কাজ কমানোর জন্য এবং খুব সহজে কাজ সম্পন্ন করার জন্য রোবট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আর এ সকল রোবট বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা গাড়ি তৈরির শিল্পে বা কারখানায় দেখতে পায় যা অনেক সহজ করেছে কাজ করতে।
যেহেতু, কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই সকল প্রযুক্তি নিজে নিজের কাজ করতে পারে ও অন্য কারো নির্দেশনা নেয় না তাই এদেরকে রোবট নিয়ন্ত্রণ টেকনোলজি বলে।
আরও পড়ুন: ম্যালওয়্যার কি?
ধন্যবাদ টেকনলজি সম্পর্কে এত ভালো আলোচনা করার জন্য এখান থেকে টেকনলজি সম্পর্কে অনেক ভালো কিছু জানতে ও বুঝতে পারলাম❤️🥰