টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে? টাইফয়েড জ্বর বিস্তারের মাধ্যম

টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে: এর উত্তর হলো হ্যাঁ, টাইফয়েড একটি ছোঁয়াচে রোগ যা আক্রান্ত ব্যক্তির দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ এবং Salmonella typhi নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণ ঘটায়।

কোন ব্যক্তি যদি টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয়ে তাহলে সে আক্রান্ত রোগীর দ্বারা টাইফয়েড রোগটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ এবং এর ফলে এর বিস্তার হয় খুব তাড়াতাড়ি।

আমরা সকলেই জানি, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত প্রায় প্রত্যেকটি রোগ সংক্রামক রোগ হয়ে থাকে বা ছোঁয়াচে রোগ হয়ে থাকে। আর যেহেতু এক্ষেত্রে টাইফয়েড জ্বর হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ঘটিত একটি রোগ তাই ব্যাকটেরিয়ার কারণে ছোঁয়াচে রোগের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে
টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে?

টাইফয়েড জ্বরের আক্রান্ত রোগীর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শের কারণে সুস্থ শরীরে টাইফয়েড সংক্রমিত হতে পারে।

তাই আপনাকে আমাকে সতর্কতার সাথে টাইফয়েড জ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে হবে এবং আক্রান্ত রোগীর সাথে সতর্কভাবে দেখাশোনা করতে হবে।

যেহেতু এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই অবশ্যই টাইফয়েড জ্বর আক্রান্ত রোগীর সাথে বেশি মেলামেশা করা যাবে না এবং রোগীর ব্যবহার করা জিনিস নিজে ব্যবহার করা যাবে না। কেননা ইহার ফলে আমাদের বা একজন সুস্থ ব্যক্তির মাঝে টাইফয়েড জ্বর সংস্পর্শটির কারণে ছড়াতে পারে বা আক্রান্ত করতে পারে।

আর এইভাবেই মূলত টাইফয়েড জ্বর ছোঁয়াচে আছে পদ্ধতিতে অন্য একজন সুস্থ ব্যক্তিত্ব মাঝে বিস্তার করাতে পারে।

শুধুমাত্র একটি মাধ্যমে, টাইফয়েড জ্বর ছোঁয়াচে পদ্ধতিতে বিস্তার ঘটাবে এমনটি না বরং আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে টাইফয়েড জ্বর বিস্তার লাভের।

টাইফয়েড রোগ বিস্তারের মাধ্যম

একজন টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে সুস্থ শরীরে প্রবেশ করে টাইফয়েড জ্বর বিস্তার লাভ করতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তির মাঝে টাইফয়েড জ্বর বিস্তার লাভের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে এবং অবশ্যই এ মাধ্যম গুলো থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

আমরা যখন মাধ্যম জানার পর সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে সতর্ক থাকতে পারব তখন টাইফয়েড আমাদের মাঝে আর ছড়াতে পারবেনা।

আর এইভাবে সতর্ক থাকার জন্য প্রথমে আপনাকে আমাকে টাইফয়েড জ্বর বিস্তারের কারণগুলো বা মাধ্যম গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

আক্রান্ত রোগী হতে টাইফয়েড রোগ বিভিন্ন মাধ্যমে, সুস্থ জীবে বা মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে। নিচে কতিপয় টাইফয়েড রোগ বিস্তারের বিচারের মাধ্যম উল্লেখ করা হলো:

  • আক্রান্ত রোগীর মলমূত্র, শরীর ধোয়া ও হাত ধোয়া পানি দ্বারা।
  • আক্রান্ত রোগের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে টাইফয়েড রোগের বিস্তার ঘটে।
  • আক্রান্ত রোগের স্পর্শকৃত খাবার কিংবা অন্যান্য বস্তুর ফলে টাইফয়েড রোগের বিস্তার ঘটে।
  • আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত পোশাক-আষাক এবং অন্যান্য বস্তু স্পর্শ করার ফলে।
  • আক্রান্ত জীবের  মলমূত্র দ্বারা শারীরিক বৃদ্ধি পাওয়া ফলমূল না ধুয়ে খাওয়ার ফলে টাইফয়েড রোগের বিস্তার ঘটে।
  • আক্রান্ত জীবের লোম এবং অন্যান্য অন্যান্য অংশ বাতাসের মাধ্যমে প্রবাহিত হয় আমাদের শরীরে স্পর্শ লাগার ফলে।

এগুলো হলো টাইফয়েড জ্বর বিস্তারের মাধ্যম এবং সেই সাথে আমাদেরকে অবশ্যই এই সকল মাধ্যম থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। নিকট আত্মীয় কেউ টাইফয়েড জ্বর আক্রান্ত হলে অবশ্যই আমাদেরকে যত্ন নিতে হবে এবং এক্ষেত্রে আমাদেরকে এই সকল মাধ্যম থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

আমরা টাইফয়েড রোগের যত্ন নেব ঠিকই কিন্তু অবশ্যই আমরা প্রথমে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করব বিস্তার লাভের মাধ্যম থেকে বাঁচার জন্য।

কেননা যখন টাইফয়েড জ্বরের বিস্তার থেকে বাঁচতে পারব তখন খুব সহজে নিজেকে টাইফয়েড জ্বর থেকে প্রতিরক্ষা দিতে পারব।

শেষ কথা:

টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে এবং টাইফয়েড রোগ বিস্তারের মাধ্যম সম্পর্কে এই পোস্টটিতে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

টাইফয়েড জ্বর একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই আমাদেরকে এটি কে অবহেলা করলে চলবে না বরং সতর্কতার সাথে টাইফয়েড মোকাবেলা করতে হবে।

এপর্যন্ত অনেক মহামারী দেখা দিয়েছে এবং টাইফয়েড জ্বরের কারণেও আমাদের দেশে প্রতিবছর অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। আর এজন্য আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যেন টাইফয়েড আক্রান্তকারী ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ না করে।

আর অবশ্যই টাইফয়েড রোগে থেকে নিজেকে প্রতিরক্ষা করার জন্য আমাদের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং ব্যায়াম করতে হবে।

যেন আমাদের শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং টাইফয়েড রোগের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে।

টাইফয়েডের যেহেতু একটি ছোঁয়াচে রোগ, তাই এই মরণঘাতী রোগটি আমাদের শরীরে দ্রুত আক্রমণ ঘটাতে পারে। আর টাইফয়েড জ্বর যেন আমাদের শরীরে দ্রুত আক্রমণ ঘটাতে না পারে তাই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাতে হবে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top