আমরা বিভিন্ন সময় টাইফয়েডে আক্রান্ত হই এবং টাইফয়েড কেন হয় এই সকল বিষয়ের উপর নিজের মাথাকে একটু বেশি চিন্তিত রাখি। কেননা আমরা যখন টাইফয়েড জ্বর হওয়ার কারণ জানতে পারি তখন উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই সকল কারণ থেকে নিজেকে বিরত রাখি এবং টাইফয়েড থেকে মুক্তি পাই।
টাইফয়েড কেন হয়: পানিবাহিত কিংবা বায়ুবাহিত কারণে সালমোনেলা টাইফি বা সালমোনেলা প্যারাটাইফি নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলে টাইফয়েড হয়। টাইফয়েড জ্বর পানিবাহিত কিংবা বায়ুবাহিত কারণে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটায়।
এটি ছোয়াচে রোগ নয় তবে যেকোনো ধরনের মাধ্যমের সাথে দ্রুত মানব শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। যেহেতু এটি একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ তাই মানব শরীরে এর প্রভাব অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়।

এই টাইফয়েড জ্বর এর ফলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়, ঘন ঘন জ্বর আসা, মাথা, টনটন ব্যথা করা, শুকনো কাশি দেখা দেওয়া, শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া এবং মাংসপেশি নাড়াতে কষ্টবোধ করা।
আমরা যদি উপযুক্ত কারণের মাধ্যমে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ি তাহলে আমাদের শরীরে উপযুক্ত লক্ষণ প্রকাশ পাবে। আর আমাদের শরীরে টাইফয়েড জ্বর আক্রান্ত হওয়ার পর যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পাবে তা আমি ইতিপূর্বে উপরে উল্লেখ করে ফেলেছি।
আপনার মাঝে যদি টাইফয়েডের উপরের একটা লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে আপনাকে কিছু পদ্ধতি মেনে পরবর্তী জীবন সতর্ক করে নিতে হবে।
টাইফয়েড হলে আমাদের করণীয় কি?
উপযুক্ত ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কারণে আমরা টাইফয়েডে আক্রান্ত হই এবং টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা উল্লেখ করি।
আর আপনি যদি সুস্থ হতে চান টাইফয়েড থেকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু করণীয় অবলম্বন করে জীবনের সতর্ক মানতে হবে।
নিচে টাইফয়েড হলে আমাদের করণীয় কি তা বিশেষভাবে এখানে উল্লেখ করা হলো:
- সব সময় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করা এবং জলাশয় থেকে বিরত থাকা।
- টাইফয়েড আক্রান্ত হওয়ার ফলে অন্যের সাথে মেলামেশা করা স্থগিত রাখা।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ঠান্ডা না লাগানো এবং শরীরে বেশি গরম না লাগানো।
- মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য কিছু সময় পর পর মাথায় পানি ঢালা।
- দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা এবং টাইফয়েড জ্বর সনাক্তকরণ পরীক্ষা করা।
- পরিবারের লোকদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা এবং খাওয়া-দাওয়া সময় মতো করা।
- সব সময় মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করা এবং দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা।
- শরীরকে নাড়াচাড়া করার চেষ্টা করা এবং কিছু সময়ের জন্য হাটা।
- টাইফয়েড জ্বরের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উপকারী হচ্ছে গোসল করা, যা রোগীর শরীর ঠান্ডা করে।
- হালকা পোশাক পরিধান করা যাতে গরম না লাগে, তবে ঠান্ডার সময় এমনটা না করা।
এগুলো হলো কিছু করণীয় যেগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আমরা টাইফয়েড থেকে মুক্তি পেতে পারি টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার পর।
টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর অবশ্যই আপনি আমাদের দেওয়া এই সকল করণীয় অবলম্বন করে জীবন টাইফয়েড মুক্ত করি।
শেষ কথা:
টাইফয়েড জ্বর কেন হয় এবং টাইফয়েড জ্বর হলে করণীয় কি এই সকল বিষয়ের উপর আলোকপাত করায় আজকের পোস্টের মূল বিষয়। আশা করি, এই পোষ্টের মাধ্যমে টাইফয়েড জ্বর কেন হয় এর উপযুক্ত কারণ আপনাদেরকে জানাতে এবং অবগত করতে পেরেছি।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক পরিবেশে বসবাস করতে হবে যেন আপনি কোন বায়ু দূষণ ও পানি দূষণ না উপভোগ করেন।
কেননা আপনি যদি বায়ু দূষণ ও পানি দূষণ যুক্ত পরিবেশে অবস্থান করেন তাহলে টাইফয়েডের ব্যাকটেরিয়া আপনাকে আক্রমণ করতে সুবিধা পাবে।
তাই টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্তকারী ব্যাকটেরিয়ার যেন আমাদেরকে আক্রমণ করতে সুবিধা না পায় তাই ভালো পরিবেশে থাকতে হবে। এখানে ভালো পরিবেশ বলতে যে শুধুমাত্র বায়ু ও পানি দূষণমুক্ত পরিবেশকে বোঝানো হয়েছে এমনটি না বরং সকল কিছু থেকে দূষণমুক্ত পরিবেশ এর উল্লেখ হয়েছে।
ধন্যবাদ, শেষ পর্যন্ত থেকে টাইফয়েড জ্বর কেন হয় এ বিষয়ে অবগত হওয়ার জন্য এবং টাইফয়েড প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
আপনি যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আপনার টাইফয়েড দূর করার জন্য সেই ব্যবস্থাটি হবে উপযুক্ত চিকিৎসা আপনার টাইফয়েডের।
আরও পড়ুন: সর্দির ট্যাবলেট এর নাম।