এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব জ্বর হলে করণীয় কি বা কি কাজ করলে জ্বর দ্রুত চলে যায় জ্বর হলে আমাদের কি করা উচিত। আর এই পোষ্টের মধ্যে আপনি জ্বর সম্পর্কে প্রায় সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন।
জ্বর একটি সাধারণ অসুখ হিসেবে আমরা বিবেচনা করি আর এই অসুখটি অনেক সময় অন্যান্য রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, শরীরের কোন অংশ ভেঙে যাওয়া অথবা অত্যাধিক ব্যাথার কারণেও জ্বর আসতে পারে।
তবে আমরা যে সকল জ্বর সাধারণ জ্বর হিসেবে বিবেচনা করি সেই জ্বরগুলো মূলত ভাইরাস ঘটিত কারণে হয়ে থাকে। এই ভাইরাস ঘটিত জ্বর সমূহ সাধারণত একদিন, দুইদিন, তিনদিন অথবা সর্বোচ্চ সাত দিন পর্যন্ত থাকে কোন কোন ক্ষেত্রে এর বেশিও হয়।
এই ভাইরাস ঘটিত জ্বর আর অন্য কোন অংশের ক্ষতির কারণে আসা জ্বর এই দুইটির মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। যদি আপনার ক্যান্সার কিংবা অন্য বড় রোগ হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রেও এর বহিঃপ্রকাশ প্রথমে হবে জ্বর এর মাধ্যমে।
তাই এই জ্বর বিষয়টি নিয়ে আপনি অবহেলা করবেন না জ্বরের নির্দিষ্ট কারণ লক্ষ্য করবেন। সাধারণত অতিরিক্ত ঠান্ডা, ময়লা যুক্ত স্থানে যাওয়া আসা করা, শরীরের মধ্যে ভাইরাসের আক্রমণের কারণে হয়ে থাকে।
জ্বর হলে আপনি কি করবেন?
জ্বর হলে করণীয় কি তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
- প্রথমে থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মেপে নিবেন জ্বর থাকলে প্রথমে আপনি প্যারাসিটামল ঔষধ খাবেন।
- যদি আপনার জ্বর ১০০ থেকে ১০৪ ডিগ্রীর মধ্যে হয় তাহলে আপনি প্যারাসিটামল ঔষধ একসাথে দুইটি খেতে পারেন।
- আপনার শরীরের মধ্যে জ্বর থাকাকালীন আপনি পানি জাতীয় খাদ্য সমূহ বেশি করে খাবেন।
- বিভিন্ন প্রকার ফলমূল সমূহ বেশি বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন বেশি বেশি করে পানি পান করার চেষ্টা করবেন।
- আপনার পরিবার-পরিজনদেরকে আপনার শরীরটা একটু স্পঞ্জ করে দিতে বলবেন।
- বেশি পরিমাণে রেস্ট গ্রহণ করবেন ভারি কোনো কাজ করবেন না, তা না হলে আপনার শরীর দুর্বল হবে।
- কিরকম জ্বর হলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে?
- জ্বর হওয়ার পর যদি আপনার অনেক বেশি পরিমাণে বমি হয়।
- যদি আপনার বেশি বেশি পরিমাণে কাশি এসে থাকে।
- যদি আপনার অধিক পরিমাণে পাতলা পায়খানা শুরু হয়ে যায়।
- আপনার কফের সাথে যদি রক্ত যায়। অথবা আপনার চোখের কোন অংশে রক্ত জমাট বাঁধে।
- প্রসাবে যদি ইনফেকশন হয়ে থাকে কিংবা পেটের মধ্যে ব্যথা হয়ে থাকে।
- আর সাধারণ জ্বর হলেও আপনি তিন দিন বাসাতে অবস্থান করবেন এরপর না কমলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- আর জ্বর যদি প্রথম দিনে একটু বেশি এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে তাহলে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না।
জ্বরের মধ্যে যদি আপনার এ সকল লক্ষণ প্রকাশকে পেয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আর আমাদের উচিত আমাদের শরীরে যে কোন অসুস্থতার কারণে দ্রুত চিকিৎসকের আর অবশ্যই ভালো এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকের।
কেননা আমরা অনেক সময় অনেক হাত উড়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকে যার কারণে আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই আপনি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করে আপনাকে সুস্থ করে তুলবেন।
শেষ কথা:
সাধারণত জ্বরের লক্ষণ হচ্ছে আপনার জ্বরের মধ্যে যদি সর্দি থাকে হালকা কাশি থাকে আপনার খুব বেশি জ্বর আসে।
আপনার যদি এ সকল সাধারন সমস্যা সমূহ হয়ে থাকে তাহলে আপনি উপরে দেওয়া পরামর্শ সমূহ গ্রহণ করবেন।
অন্যথায় আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং সুস্থ হতে হবে। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি জ্বর হলে করণীয় কি তা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
এখানে আমি সাধারণ জ্বর হলে করণীয় কিসের সম্পর্কে আলোচনা করেছি এবং আপনাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি।
আর যদি আপনার অন্য কোন কারণে জ্বর হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: জ্বর কমানোর দোয়া।