আমাদের শরীরে জ্বর আসার পর আমরা জ্বর নিরাময় করার জন্য অনেক ঔষধ গ্রহণ করে থাকি। আর জ্বর আসার কারণে আমাদের শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এই জন্য আমাদেরকে খুব দ্রুত শরীর থেকে জ্বর সরাতে হয়।
আর শরীর থেকে জ্বর সরানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এন্টিবায়োটিক খেতে হবে যেন খুব দ্রুত জ্বর ঠিক হয়। আর সাধারণ ট্যাবলেটের নাম জানলেও আমরা অধিকাংশ আছি যারা জ্বরের এন্টিবায়োটিক যে সকল ট্যাবলেট রয়েছে বা ঔষধ রয়েছে তা জানি না।
৫টি উল্লেখযোগ্য জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
- এরিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট (Erythromycin)
- এজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট (Azithromycin)
- অ্যামোক্সিসিলিন ক্যাপসুল (Amoxicillin)
- সেফিক্সিম (cefixime)
- ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুল (doxycycline)
এগুলো হলো জ্বরের এন্টিবায়োটিক কিছু ঔষধ এবং এ ঔষধ গুলো আপনার জ্বর নিরাময় করতে কোন সময় নিবে না।
অর্থাৎ এই এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট গুলো গ্রহণ করার কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার জ্বর কমতে শুরু করবে এবং শরীরের দুর্বলতা দূর হয় যাবে।
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি সাধারণের ঔষধের মতো এন্টিবায়োটিক ঔষধ গ্রহণ করতে চান তাহলে অবশ্যই এটি আপনার একটি ভুল সিদ্ধান্ত হবে স্বাস্থ্যের জন্য। কেননা অবশ্যই আপনি যদি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে চান তাহলে আপনাকে কিছু নিয়ম অবলম্বন করে জ্বরের এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে।
কেননা আপনি যদি ইচ্ছেমতো কোন নিয়ম না মেনে জ্বরের এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করেন তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্যহানি আনবে।
কেননা এন্টিবায়োটিক ঔষধের শক্তি বেশি হয়ে থাকে যা দ্রুত রোগ প্রতিরোধ করে এবং নিয়মাবলম্বন না করলে পার্শ্ববর্তী ক্রিয়া দেখা যায়।
আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিচে জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট গ্রহণের নিয়মসমূহ উল্লেখ করা হলো:
- এরিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট: শিশুর ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে 50mg করে প্রদান করতে হবে এবং দিনে চারবার। আর একটি শিশুকে সাত দিনের বেশি ধরে এন্টিবায়োটিক খিলানো উচিত নয়। আর একটি পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির জন্য উপস্থিত একটি ট্যাবলেট খেলে হয়ে যাবে।
- এজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট: প্রতি কেজিতে 10 mg করে দিতে হবে এবং দিনে একবার মোট সাত দিন।
- অ্যামোক্সিসিলিন ক্যাপসুল: প্রতি কেজি 50 থেকে 100 mg করে দিতে হবে এবং দিনে তিন থেকে চার বার মোট সাত দিন।
- সেফিক্সিম: প্রতি কেজিতে 8mg করে দিতে হবে এবং দিনে এক থেকে দুই বার মোট সাত দিন।
- ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুল: একটি পূর্ণবয়স্ক লোকের জন্য একটি ক্যাপসুল খেলা হয়ে যায় তবে, শিশুর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।
এগুলো হলো কিছু সাধারন নিয়ম যে নিয়মগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনাকে জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলো গ্রহণ করতে হবে। আর অবশ্যই এই সকল নিয়ম মেনে চলা কোন কঠিন কাজ নয় বরং আপনি খুব সহজেই এই নিয়মগুলো মেনে জ্বরের এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে পারেন।
আর অবশ্যই যেহেতু এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর কিছু পার্শ্ববর্তী ক্রিয়া থাকে তাই আপনাকে সকল নিয়ম মেনে জ্বরের এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে।
শেষ কথা:
জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম এবং কিভাবে আপনি বা কোন নিয়মে আপনি জ্বরের এন্টিবায়োটিক নিবেন তা এখানে উল্লেখ হয়েছে।
আর আমাদের উল্লেখিত সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনাকে যেকোন একটি এন্টিবায়োটিক সঠিক নিয়মে জ্বর কমানোর জন্য নিতে হবে।
আর অবশ্যই আপনি যদি অত্যাধিক হারে নিজের শরীরে জ্বর অনুভব করেন তবেই কেবলমাত্র জ্বরের এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করুন। কেননা সাধারণ জর আসলে এটি সাধারণ ঔষধ দিয়ে নিরাময় করলেই ঠিক হয়ে যাবে এবং যদি এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা হয় তাহলে পার্শ্ববর্তী ক্রিয়া সম্ভাবনা থাকে।
তবে, আরও একটি মূল বিষয় সেটি হচ্ছে কখনোই যদি আপনার শিশুর অত্যাধিক জ্বর আসে তাহলে জ্বরের এন্টিবায়োটিক দিবেন না।
কেননা জ্বরের এন্টিবায়োটিক যদিও বা অনেকে দিতে বলে তবে অবশ্যই আপনাকে এন্টিবায়োটিক দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
কেননা এন্টিবায়োটিক বলতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রোগ দমনকারী ঔষধে কে বোঝানো হয় এবং পার্শ্ববর্তী ক্রিয়া রয়েছে। একজন পরিপূর্ণ সবল ব্যক্তি এই সকল পার্শ্ববর্তী ক্রিয়া সহজে কাটিয়ে উঠতে পারে তবে, একজন শিশু কখনোই এর মোকাবেলা করতে পারেনা।
আর এই সকল মূল কারণের উপর ভিত্তি করে অবশ্যই আপনাকে আপনার শিশুর জ্বরের এন্টিবায়োটিক দেওয়া কখনোই উচিত নয়।
আরও পড়ুন: টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে?