জৈব প্রযুক্তি কি? জৈব প্রযুক্তির কাজ, ব্যবহার ও প্রয়োগ

জৈব প্রযুক্তি কি: যে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জীবকোষ, অণুজীব বা তার অংশবিশেষ এর DNA পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জীব এর উদ্ভাবন বা উক্ত জীবের প্রক্রিয়াজাতকরণ কিংবা সেই জীবের উপজাত দ্রব্য প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়, সেই ক্তি প্রযুক্তিটি হচ্ছে জৈবপ্রযুক্তি।

এক কথায় বলতে গেলে, শুধুমাত্র একটি কোষ ব্যবহারের মাধ্যমে পুরোপুরি একটি নতুন জীবের প্রক্রিয়াজাতকরণ বা নতুন জীবের উদ্বোধন পদ্ধতিকে জৈব প্রযুক্তি বলে। প্রযুক্তির এই দুনিয়াতে বর্তমানে সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার ও ভাগ দেখা দিয়েছে। জৈব প্রযুক্তি হচ্ছে প্রযুক্তির একটি ভাগ এবং এই প্রযুক্তিরও ব্যবহার হচ্ছে অন্যান্য প্রযুক্তির চেয়ে ভিন্ন।

জৈব প্রযুক্তি কি
জৈব প্রযুক্তি কি?

কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য বর্তমানে জৈব প্রযুক্তি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় উন্নত মানের বীজ ও চারা উৎপাদনের জন্য। আমরা বর্তমানে কয়েক প্রকার ধান চাষ করে থাকে এবং এর প্রত্যেকটি জৈব প্রযুক্তির অনুদান হিসেবে আখ্যায়িত।

জৈব প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া কখনো নতুন জীবের বা প্রজাতির বা উদ্ভিদের আবিষ্কার করা সম্ভব নয়।

আর উন্নত মানের বীজ ও চারা উৎপাদন করার ক্ষেত্রে কখনো জৈব প্রযুক্তির অবদান শেষ হবে না এমনটাই স্বাভাবিক।

বয়োটেকনোলজি বা জৈব প্রযুক্তির কারণে কৃষি ক্ষেত্রে এসেছে অনেক বেশি উন্নয়ন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে প্রত্যেকটি কৃষক। প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর মোকাবেলা করার জন্য জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয় উন্নত মানের বীজ ও চারা।

জৈব প্রযুক্তির কাজ ও প্রয়োগ

আমরা জৈব প্রযুক্তির নাম শুনলাম এবং সেই সাথে ধারণা অর্জন করলাম তবে কাজ ও প্রয়োগ দেখলাম না। অর্থাৎ এ প্রযুক্তি আমরা কি কি কাজে ব্যবহার করে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে থাকি সে সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু অর্জন করতে হবে জ্ঞান।

আর আমরা যেন এই সকল যেভাবে প্রযুক্তির কাজ ব্যবহার সম্পর্কে অবগত হয় সেজন্য এখানে এদের কাজ ও প্রয়োগ উল্লেখ।

তাহলে আমাদের জৈব প্রযুক্তির ধারণাটি একটু বেশি বেড়ে যাবে যা আমরা বাড়ানোর জন্যই মূলত এই পোস্টের মধ্যে প্রবেশ করে ফেলেছি।

জৈব প্রযুক্তিকে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকি। নিচে কিছু বিশেষ জৈব প্রযুক্তির কাজ উপস্থাপন করা হলো:

  • জৈব প্রযুক্তি বংশানুগতির উপাদান প্রকৃতি, রাসায়নিক গঠন এবং জৈবানিক ক্রিয়া-কলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • যে সকল জিন মঙ্গলজনক নয় সেগুলো ধ্বংস করতে জৈব প্রযুক্তি কাজ করে।
  •  কাঙ্ক্ষিত নতুন কোন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জীবের আবিষ্কার করার ক্ষেত্রে DNA এর পরিবর্তন ঘটাতে গিয়ে জৈব প্রযুক্তি কাজ করে।
  • রিকম্বিনেন্ট DNA প্রস্তুত করতে জৈব প্রযুক্তি কাজ করে।

জৈবা প্রযুক্তি আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার ও প্রয়োগ করে থাকি। বিশেষভাবে চারটি ক্ষেত্রে বেশি করে জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করি নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে
  • কৃষি ক্ষেত্রে
  • পরিবেশ গঠন ক্ষেত্রে
  • শিল্প শস্য ও অন্যান্য পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে

উপরে আমি জৈব প্রযুক্তির কাজ ও প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছি, আর ইহার দ্বারা জৈব প্রযুক্তির অবদান সম্পর্কে জানা যায়।

বিশেষভাবে বলা যায় যে প্রায় প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সঠিকভাবে সমাধান করার ক্ষেত্রে জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেশি জনপ্রিয়।

জৈবপ্রযুক্তির কাজ ও ব্যবহার সম্পর্কে জানার পর চলুন এবার জেনে নেই জবা পরযুক্তির প্রকারভেদ বা উপাদান সমূহ নিয়ে। প্রযুক্তি যে সকল উপাদান দিয়ে গঠিত বা উপাদান নিয়ে কাজ করে সে বিষয়ে ধারণা রাখা আমাদের প্রয়োজন।

জৈব প্রযুক্তির উপাদান সমূহ বা প্রকারভেদ

জৈব প্রযুক্তি কি এ বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে জৈব প্রযুক্তির উপাদান সমূহ বা প্রকারভেদ সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন। কেননা এ প্রকারভেদ গুলো আমাদের মাঝে বিপুল ধারণা অর্জন করিয়ে দিবে এই নতুন জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কে।

জৈবপ্রযুক্তি কোন নতুন বিষয় নয় বরং এটি অনেকদিন থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং কাজের ভিত্তিতে পার্থক্য দেখা দিয়েছে এদের।

আর এদের এই সকল পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে আমরা জৈব প্রযুক্তিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করতে পারে কাজের ভিত্তিতে জৈব প্রযুক্তির।

জৈব প্রযুক্তি মোট পাঁচ প্রকার বা জৈব প্রযুক্তির মোট উপাদান হচ্ছে পাঁচটি, যেমন:

  • সবুজ জৈব প্রযুক্তি বা Green biotechnology.
  • বাদামি জৈব প্রযুক্তি বা brown biotechnology.
  • হলুদ  জৈব প্রযুক্তি বা yellow biotechnology.
  • লাল জৈব প্রযুক্তি বা red biotechnology.
  • এবং কালো জৈব প্রযুক্তি বা dark biotechnology.

এই জৈব প্রযুক্তি কি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান উপরের প্রত্যেকটি অংশে আলোচনা করা হয়েছে এবং জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে।

জৈব প্রযুক্তির সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো যে ইহার মাধ্যমে নতুন প্রজাতির আবিষ্কার সম্ভব হয় এবং প্রজাতির বিলুপ্ত কম হয়।

বর্তমানে জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা, বিলুপ্ত কিছু প্রজাতির পুনর্বিন্যাস করতে সক্ষম হতে পারব এবং জুরাসিক পার্ক হচ্ছে এর একটি উদাহরণ। আবার জৈব প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কোন প্রজাতির বিলুপ্তির কারণ সহ আমরা উপলব্ধি করতে পারি খুব সহজে।

আরও পড়ুন: কম্পিউটার ভাইরাস কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top