বিশেষ করে শীতকালে জিহ্বায় ঘা হওয়ার পর জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ এর নাম সকলে জানতে চায় নিরাময় করতে। আর আপনি যেন নিজের জিহ্বার ঘা দূর করতে পারেন সেজন্য আমরা এখানে কাজও করে কিছু জিহ্বা ঘায়ের ঔষধের নাম দেব।
আর অবশ্যই আপনি যদি আমাদের দেওয়া ওষুধ গুলোর মধ্যে যে কোন একটি গ্রহণ করেন তাহলে আপনার জিহ্বার ঘা দূর হবে। জিহ্বা থেকে ঘা দূর হওয়ার মাধ্যমে আপনি পুনরায় খেতে শান্তি পাবেন এবং জিহ্বার জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে এবং ঘা দূর হবে।
৫টি উল্লেখযোগ্য জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ এর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো:
- নাইসট্যাট ড্রপ (Nystat Drop),
- এরিস্টোভিট-বি (Aristovit-B),
- মাইকোসোন ক্রিম (Micosone Cream),
- নাইসটাল ট্যাবলেট (Nystal Tablet),
- ভায়োডিন মাউথওয়াশ (Viodin Mouthwash)।
এগুলো হলো কিছু মুখের ঘা এর ঔষধের নাম এবং আপনি আপনার জিহ্বার ঘা এগুলো দ্বারা দূর করতে পারবেন।
যেহেতু জিহ্বার ঘা এর কারনে খাবার সময় অসুবিধা হয় তাই অসুবিধা দূর করাতে আপনি মুখের ঘা দূরের ঔষধ গ্রহণ করে।
জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ দেওয়ার নিয়ম
আপনার জিহ্বায় ঘা হলে যে সকল ঔষধের নাম উল্লেখ করেছি তার প্রত্যেকটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন তবে উচিত নিয়ম পালন করতে হবে। জিহ্বায় ঔষধ গুলো দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে কেননা পরবর্তীতে খাওয়া উচিত নয়।
জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ লাগানোর পর কোন প্রকার বহিরাগত বস্তু মুখে প্রবেশ করানো যাবে না, মুখ নড়াচড়া করা যাবে না।
সর্বনিম্ন ১ ঘণ্টার মতো সময় মুখে শুধুমাত্র ঔষধের বিদ্যমান থাকা অনেক বেশি প্রয়োজন এবং আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে এই সময়।
সর্বদা লক্ষ্য করবেন কোনটি ড্রপ, কোনটি ট্যাবলেট এবং কোনটি ক্রিম আবার কোনটি মাউথ ওয়াশ আপনার জিহ্বার ঘা দূরের জন্য।
ড্রপ হলে দু-এক ফোঁটা ড্রপ জিহ্বায় লাগিয়ে এক দেড় ঘন্টা সময় ধরে চুপচাপ বিরাজ করুন এবং নিজেকে স্থির ধরে রাখুন।
ট্যাবলেট হলে চুষে খান অথবা পানি দিয়ে খান তবে অবশ্যই এক ঘন্টার মত অপেক্ষা করবেন অন্য কিছু খাওয়ার জন্য। এই সকল কিছু নিয়ম অবলম্বন করে আপনি যদি জিহ্বায় ভাইয়ের ঔষধ খান তাহলে অবশ্যই আপনার জিহ্বা সুস্থ হয়ে যাবে।
জিহ্বায় ঘা কেন হয়?
আমরা তো জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ এর নাম জানালাম এবং নিয়ম জানলাম ঔষধ খাওয়ার তবে কারণ জানলাম না। অর্থাৎ কি কারনে আমাদের শরীরের মধ্যে বা জিহ্বায় ঘা হয়ে থাকে এ বিষয়টি সম্পর্কে এখনো জানলাম না এবং কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট হলাম না।
নানা কারণে আমাদের জিহ্বায় ঘা দেখা দিতে পারে, নিচে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো:
- সাধারণত ভিটামিনের অভাবে সর্বপ্রথম জিহ্বায় ঘা পরিলক্ষিত হয়।
- অত্যাধিক হারে গরম পানি পান করার ফলে অথবা গরম খাবার খাওয়ার ফলে জিহ্বা পুড়ে যাওয়ার পর ঘা সৃষ্টি হয়।
- ময়লা আবর্জনা যুক্ত খাবার বেশি করে খাবার ফলে এই সকল সমস্যা দেখা দেয়।
- কীটনাশক প্রয়োগযুক্ত খাবার ভক্ষণ করার ফলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অত্যাধিক হারে বা অনেক সময় ধরে রেফ্রিজারেটরের খাবার খাওয়ার ফলে।
এগুলো কি ছিল কিছু কারণ যে কারণ গুলোর জন্য আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে জিহ্বায় ঘা দেখা দেয়। আর অবশ্যই আপনি যদি এই সকল কারণগুলো থেকে বিরত থাকতে পারেন তাহলে আপনার জিহ্বায় ঘা হবে না এবং জিহ্বায় ঘা এর ঔষধ নিতে হবে না।
আরও পড়ুন: মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়।