জিহাদ অর্থ কি: জিহাদ অর্থ যুদ্ধ করা, পরিশ্রম করা, সংগ্রাম করা, সাধনা করা, কষ্ট করা এবং চেষ্টা করা। ইসলামে জিহাদ বলতে সর্বদাই দ্বীনের জন্য যুদ্ধ করাকে বোঝানো হয়েছে তবে এর অর্থ অনুযায়ী সংগ্রাম করাকেও বোঝানো হয়।
অর্থাৎ আমরা আমাদের জীবন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য যে সংগ্রাম করে থাকি সে সংগ্রামটি জিহাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
আমরা যখন জিহাদের অর্থ জানতে যাই তখন আমরা সংগ্রাম করার বিষয়টি জানতে পারি যা জীবন পরিচালনা করার জন্য আমরা করি।
ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এবং মুসলমানদের ঐক্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় ইসলামিক বিভিন্ন যুদ্ধ বা রণক্ষেত্র হয়েছে।
আর ইসলামিক ভাষায় সকল রণক্ষেত্র বা যুদ্ধ সমূহ কে জিহাদ বলা হয়েছে আল্লাহ তায়ালার নামে প্রত্যেকটি বান্দা অংশগ্রহণ করেছিল।

ইসলামের জন্য জিহাদ করে যদি শহীদ হয় তাহলে আল্লাহ তা’আলা থেকে সে অনেক বেশি রহমত ও বরকতের মালিক হতে পেরেছে।
কেননা যে জিহাদে গিয়ে শহীদ হয়েছে তার মনে আল্লাহ তায়ালার ভয় ও বিশ্বাস ছিল যার ফলে সে জিহাদ করতে বেরিয়েছিল।
আর তার ওপর যেহেতু সে আল্লাহ তায়ালার দ্বীন রক্ষার জন্য শহীদ হয়েছে তাই তার আমলনামায় শহীদের সওয়াব দেওয়া হয়েছে। আর আমরা জানি যে শহীদের সওয়াব এত বেশি হয়ে যে সে খুব সহজে আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।
জিহাদের কিছু ইসলামিক ব্যাখ্যা রয়েছে যেগুলোর উপর ভিত্তি করে জিহাদের সম্পর্কে ইসলামিক তথ্য আমরা জানতে পারি।
এই জিহাদের সম্পর্কে আপনি যদি ইসলামিক ব্যাখ্যা জানতে চান বা জানার আগ্রহ থাকে তাহলে এই পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ শেষ করুন।
জিহাদের ইসলামিক ব্যাখ্যা?
ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে নিজের জান-মাল এবং ইসলামের শত্রুদের প্রতিরোধ করার জন্য সংগ্রাম করার নামই হচ্ছে জিহাদ।
জিহাদ শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্য হতে হবে এবং তিনার সন্তুষ্টি কামনা করতে হবে।
দেশে দেশে যুদ্ধ লাগার ফলে কখনোই জিহাদ হতে পারে না কেননা, ইহা শুধুমাত্র দেশের ক্ষমতা প্রমাণ করা সম্ভব হয়। পর্যপক্ষের জিহাদ অর্থ হলো যুদ্ধ করা, তবে সেই যুদ্ধ হতে হবে ইসলাম ধর্মকে রক্ষা করার জন্য।
ইসলাম ধর্মকে রক্ষা করতে এবং ইসলাম ধর্মের ক্ষমতা প্রমাণ করতে যে যুদ্ধ পরিচালনা করা হয় তাই হচ্ছে জিহাদ।
জিহাদে যে সকল ব্যক্তি আল্লাহর নামে সাড়া দিয়ে মৃত্যুবরণ করে তাদেরকে শহীদ বলা হয়।
কেননা তারা শাহাদাতের মৃত্যু বরণ করে ও জান্নাত তাদের জন্য ওয়াজিব হয়ে যায়।
এটি হচ্ছে জিহাদের ইসলামিক ব্যাখ্যা এবং ইহার দ্বারা জান-মালের সুরক্ষার উপর ভিত্তি করেও জিহাদের আশঙ্কা দেখা যায় এটি বিবেচনা করা হয়েছে। কেননা আমরা বিভিন্ন সময় নিজের জান ও মালের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সংগ্রাম করে থাকি এবং এর সংগ্রাম হচ্ছে জিহাদের অন্তর্ভুক্ত।
ব্যক্তি যদি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার উদ্দেশ্যে বের হয় তাহলে তার জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট হতে সাহায্য প্রদান করা হয়।
আল্লাহ তা’আলা নিকট হতে সাহায্য পাওয়ার মাধ্যমে খুব কম সংখ্যক মুসলিম অনেকগুলো কাফেরের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয় লাভ করেছে।
ইহার দ্বারা আমরা বুঝতে পারি যে জিহাদ করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার সাহায্য পেতে পারি যা অবশ্যই আমাদের জীবনে দরকার। আর জীবনের সংগ্রাম করতে গেলেও আমরা আল্লাহ তাআলার সাহায্য পেয়ে থাকে যা আমাদের চেষ্টার বিনিময় আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে প্রদান করেন।
শেষ কথা:
জিহাদ অর্থ কি এবং জিহাদের ইসলামিক ব্যাখ্যা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে আপনার জন্য জিহাদ সম্পর্কে জ্ঞান নিয়ে।
অনেকের ধারণা জিহাদ বলতে শুধুমাত্র যুদ্ধ করাকে বোঝানো হয়ে যা আল্লাহর রাস্তায় করা হয় এবং এমনটি কিছুটা হলেও সঠিক।
তবে আমরা যে সংগ্রাম করে থাকি সে সংগ্রামের মধ্যে জিহাদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং জিহাদের পরিধি শুধুমাত্র যুদ্ধ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং এই জিহাদে দ্বারা কষ্ট করা, সাধনা করা এবং আরো অনেক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে শব্দটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে সর্বাধিক দিয়ে বিবেচনা করতে গেলে আমরা জিহাদের সঠিক অর্থ হিসেবে যুদ্ধ করাকে বুঝতে পারে যা ইসলামিক যুদ্ধ হতে পারে।
শুধুমাত্র ইসলামের যুদ্ধ করাকে জিহাদ বলব এমন না বরং দেশের জন্য যুদ্ধ করাকে জিহাদ বলা যেতে পারে অর্থ বিবেচনা করে।
ইসলামে জিহাদের অনেক ঘটনা উল্লেখ রয়েছে যেখানে মুসলমানরা জয় লাভ করেছে এবং আল্লাহ তাআলা সাহায্য প্রাপ্ত হয়েছে। আবার সেই সাথে এমনও যুদ্ধের কথা বা জিহাদের কথা উল্লেখ রয়েছে যেখানে ফেরেশতারা সাহায্য করেছিল যুদ্ধ পরিচালনা করতে বা জয়লাভ করতে।
আমরা এটির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি যে, যুদ্ধ বা জিহাদ করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার সাহায্য পেতে পারে।
আর আল্লাহ তায়ালার সাহায্য পাওয়ার মাধ্যমে আমরা যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে, যেমন ভাবে জিহাদে জয়লাভ করতে পেরেছিলাম।
আরও পড়ুন: ইলম কাকে বলে?