জাইগোট কি: যৌন জননে পুং ও স্ত্রী গ্যামেটের মিলনের ফলে যে কোষ সৃষ্টি হয় তাই জাইগোট বা ভ্রূন। যৌন জননের সময় পুং ও স্ত্রী গ্যামেটের শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসের মিলনের ফলে জাইগো ট গঠিত হয়।
জাইগোট হচ্ছে ইংরেজি শব্দ (Zygote), যার বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে ভ্রূন। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে সকল কিছু ব্যাখ্যা ও উচ্চারণ করার ক্ষেত্রে জায়গট বলা হয়ে থাকে। খুব কম সময় এটিকে বাংলা ভাষায় উচ্চারণ করা হয় এবং কম বেশি সকলের একে জাইগোট নামে চিনে।
বংশগতির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এবং নতুন প্রজন্ম সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জাইগোট গঠিত হয়।

জাইগোট গঠিত না হলে নতুন জীবের অস্তিত্ব পৃথিবীতে আসা অসম্ভব কেননা মূল জীবের অস্তিত্ব শেষ হওয়ার সাথে জাতি ধ্বংস হবে।
জীব তার অবিরাম এ প্রক্রিয়ায় বংশগতি ধারা ধরে রাখার ক্ষেত্রে জাইগোট গঠন করে থাকে এবং এটি স্বাভাবিক একটি বিষয়।
তবে বলে দেই শুধুমাত্র যৌন জননের ক্ষেত্রে জাইগোট গঠন হয় এবং অন্যান্য কোন ধরনের অযৌন জননে এমনটি লক্ষণীয় নয়।
আর জাইগোট গঠন করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয় কেননা ইহার মাধ্যমে জনন প্রক্রিয়া যৌন জননের ভালোভাবে সম্পন্ন হয়। আর যৌন জননে ভালোভাবে জনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে বংশগতির ধারা অক্ষুন্ন থাকে এবং পরবর্তী নতুন জেনারেশন শুরু হয়।
জাইগোট কাকে বলে?
সংজ্ঞা জাইগোট কাকে বলে: পুং এবং স্ত্রী জনন কোষের মিলনের ফলে সৃষ্ট প্রথম কোষকে জাইগোট বলে।
জাইগোট বারবার বিভাজনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় জীব দেহ এবং জীব দেহ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মাইটোসিস বিভাজন দেখা যায়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে জাইগোটকে হ্যাপ্লয়েড বলে অবহিত করা হয় এবং এটি অবশ্যই সত্য।
জাইগোট একটি হ্যাপ্লয়েড কেননা এতে “টু এন” বিদ্যমান থাকে এবং পরবর্তীতে বিভাজনের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ভাগ হয়। জাইগোট এর বিভাজন ছাড়া প্রকৃত দেহকোষ গঠন করা অসম্ভব অর্থাৎ প্রকৃত দেহকোষ গঠনের জন্য জাইগোট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কেননা দেহকোষ গঠনের ক্ষেত্রে আমাদেরকে প্রয়োজন হ্যাপ্লয়েড এবং এই হ্যাপ্লয়েড বিভাজিত হয় দেহকোষ গঠন করে।
যদি জাইগোট গঠন না হয় তাহলে কিভাবে হ্যাপ্লয়েড এর বিভাজন হবে এবং হ্যাপ্লয়েড বিভাজন না হলে দেহকোষ গঠিত হবে না।
আর দেহকোষ গঠন না হওয়ার ফলে দেখা যাবে যে পরবর্তী বংশধর কখনো সৃষ্টি হবে না কেননা দেহ থাকবে না।
একটি প্রজাতির পরিপূর্ণ কাঠামো হচ্ছে তার দেহ এবং এই দেহ গঠনের জন্য প্রয়োজন হবে জাইগোট যা বিভাজিত হয় বিকাশ ঘটতে থাকে।
জাইগোট বলতে কি বুঝায়?
দেহকোষ গঠনের মূল উপাদান হচ্ছে জাইগোট এবং এই জায়গার সৃষ্টির ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে পুং এবং স্ত্রী গ্যামেট।
জাইগোট বলতে এমন একটি কোষকে বোঝানো হয় যা প্রাথমিক অবস্থায় দেখা যায় যখন শুরু হয় যৌন জননের প্রক্রিয়া।
অর্থাৎ যৌন জননের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে কোষ উৎপন্ন হয় সেই কোষকে জাইগোট বলে আর যৌন জননের প্রধান জিনিস হচ্ছে এটি। তবে এই জায়গার দীর্ঘদিন স্থায়ী থাকে না জরায়ুতে বরং সামান্য কিছু সময়ের জন্য স্থায়ী থাকে কেননা এগুলো বিভাজিত হয়ে দেহকোষে কাজ করে।
জরায়ু থেকে খাদ্য গ্রহণ করে ভ্রূন তার বিকাশ ঘটায় এবং বিভিন্ন বিভাজনের মাধ্যমে দেহকোষ গঠন করে এরপর দেহকোষ বিভাজিত হয়।
আজকের পোস্টটি এ পর্যন্তই এবং আপনাকে ধন্যবাদ জাইগোট কি এই পোস্টটিতে আপনার দীর্ঘ সময়ের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য।
আরও পড়ুন: প্রকৃত কোষ কাকে বলে?