ছোঁয়াচে রোগ কাকে বলে: রোগাক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার ফলে যে সকল রোগ সংক্রমিত হয়, তাকে ছোঁয়াচে রোগ বলে।
আবার, রোগাক্রান্ত জীবের সংস্পর্শে আসার ফলে যেই রোগ অন্য জীবের মধ্যে বিকাশ ঘটায় তাকে ছোঁয়াচে রোগ বলে।
আর এই ছোঁয়াচে রোগ একজন সুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে বা পরোক্ষ সংস্পর্শে ছড়াতে পারে। আর অবশ্যই এই ছোঁয়াচে রোগ কোন একটি ব্যক্তির মাঝে স্থির থাকে না বরং বিভিন্ন সংস্পর্শের কারণে ধীরে ধীরে বিস্তার ঘটাতে থাকে এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে।

রোগাক্রান্ত জীব হতে একটি সুস্থ জীবের ছোঁয়াচে রোগ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়াতে পারে। যেমন: রোগীর হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে, রোগীর অন্যান্য দেহের অঙ্গের সংস্পর্শের মাধ্যমে, রোগীর শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে, রোগীর চলাফেরার মাধ্যমে ইত্যাদি।
আর অবশ্যই আপনাকে আমাকে প্রথমে জানতে হবে যে কোন কোন রোগ বা অসুখ গুলো ছোঁয়াচে রোগের অন্তর্ভুক্ত।
কেননা যখন ছোঁয়াচে রোগ চিনবো ও আক্রান্ত রোগীকে চিনতে পারব তখন সতর্ক হয়ে নিজেকে ছোঁয়াচে রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারব।
ছোঁয়াচে রোগ কি কি
বিভিন্ন প্রকার ছোঁয়াচে রোগ রয়েছে এবং এই রোগ গুলো বিভিন্ন মাধ্যমে আক্রান্ত রোগী থেকে সংক্রমিত হতে পারে। আর এ ছোঁয়াচে রোগ গুলোর বিস্তার খুব সহজে বৃদ্ধি পায় এবং একসঙ্গে অনেকগুলো সুস্থ মানুষ বা জীবকে সংক্রমিত করে অসুস্থ করে ফেলতে পারে।
তাই অবশ্যই আমাদেরকে ছোঁয়াচে রোগ গুলো কি কি শেষ সম্পর্কে জানতে হবে এবং নিজেকে আক্রান্ত রোগী থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
সতর্ক থাকা বলতে এই নয় রোগীকে একা ফেলে চলে যাওয়া বরং সুরক্ষা অনুযায়ী নিজের হাত, পা এবং মুখে মাস্ক পড়া।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু ছোঁয়াচে রোগের নাম বা উদাহরণ প্রদান করা হলো:
- ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েড এবং পানি বাহিত রোগ।
- চর্মরোগ, ছত্রাক জনিত রোগ, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা রোগ।
- ইনফেকশন দ্বারা গঠিত ক্যান্সার, এইডস এবং কৃমির আক্রমণ।
- হেপাটাইটিস, পোলিও, পোলিও মাইলাইটিস এবং টাইফয়েড।
- ব্রংকাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, যক্ষা, হাম, রুবেলা এবং বসন্ত ইত্যাদি।
এগুলো হলো কিছু ছোঁয়াচে রোগের নাম এবং অবশ্যই আপনাকে এই সকল রোগে আক্রান্ত রোগী থেকে নিজেকে সতর্ক রাখতে হবে। আর আপনি যখন নিজেকে সতর্ক রাখতে পারবেন তখন ছোঁয়াচে রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন কিংবা নিজেকে সুরক্ষা দিতে পারবেন ছোঁয়াচে রোগ থেকে।
এই ছোঁয়াচে রোগ যেহেতু খুবই দ্রুত সংক্রমিত হয়ে থাকে তাই অবশ্যই আমাদেরকে এই সকল বিষয়ে অবহেলা করলে চলবে না।
বরং আমাদেরকে ছোঁয়াচে রোগ সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর যথারীতি নিজেকে সুরক্ষা প্রদান করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
শেষ কথা:
ছোঁয়াচে রোগ কাকে বলে এবং ছোঁয়াচে রোগের উদাহরণ সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান আশা করি এই পোস্ট থেকে অর্জন করতে পেরেছেন।
আর অবশ্যই আপনাদেরকে ছোঁয়াচে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই সকল তথ্য জানা প্রয়োজন হবে নিজেকে সতর্ক থাকার জন্য।
আপনি যদি ছোঁয়াচে রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিজেকে প্রথমে সতর্ক হতে হবে এবং সুরক্ষা দিতে হবে। আর অবশ্যই যেন এই ছোঁয়াচে রোগ দ্রুত সংক্রমিত না হয়ে তাই আপনার আশেপাশে থাকা মানুষদের কে ছোঁয়াচে রোগ সম্পর্কে অবগত করে দিতে হবে।
বর্তমানে ছোঁয়াচে রোগ একটু বেশি বিস্তার লাভ করছে কেননা আমাদের দেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ও ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে লক্ষ্য করা যায় যে কোন একটি রোগী আক্রান্ত হলে আমরা কোন সিদ্ধান্ত না গ্রহণ করে এবং সতর্ক না থেকে উক্ত রোগীর সাথে মেলামেশা করতে যাই।
আর এই সকল মূল কারণের জন্য বর্তমানে আমাদের মাঝে এই সংক্রমণ রোগ বা ছোঁয়াচে রোগ দিন দিন বিস্তার লাভ করতেছে।
তাই অবশ্যই আপনাকে আমাকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সেই সাথে অন্যকে সতর্ক করে ছোঁয়াচে রোগ থেকে মুক্তি পেতে হবে।
ছোঁয়াচে রোগ অবশ্যই একটি মরণঘাতের অক হিসেবে দাঁড়াতে পারে কেননা সঠিকমত চিকিৎসা গ্রহণ না করলে ছোঁয়াচে রোগের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। আর শরীরের মধ্যে যখন ছোঁয়াচে রোগের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে তখন আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যাবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ফসলের রোগ কাকে বলে?