ঘোড়ার মাংস কি হালাল: ইসলামে শরীয়ত অনুযায়ী ঘোড়ার মাংস খাওয়া হালাল নয়। ইসলামের কোন ক্ষেত্রেই এটিকে হারাম বলে অব্যাহত করা হয়নি তবে খাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করা হয়েছে।
আর ঘোড়ার মাংস খাওয়ার সময় বাঁধা প্রদানের কারণে মূলত এটিকে খাওয়া আমাদের উচিত হবে না।
তবে ঘোড়ার মাংস এর চেয়ে আপনারা উটের মাংস খেতে পারবেন কেননা এতে কোন বাধা প্রদান করা হয়নি।
এটি খাওয়া নাজায়েজ বলে অব্যাহত করা হয়েছে তবে কোথাও হারাম বলে অবহিত করা হয়নি। আজ যেহেতু এটা খাওয়া নাজায়েজ তাই এটি আমাদের কাউকে খাওয়া উচিত নয় এবং এটিও হারাম এর সমতুল্য হতে পারে।
বর্তমানে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি কিন্তু আমাদের প্রিয় নবীর সময় ঘোড়া ও উট ব্যবহার করা হতো।
তবে এই ঘোড়ার মাংস খাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই ঘোড়া নিয়ে আমাদের প্রিয় নবী কি বলেছেন তা জানতে হবে।
আসলে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে অনেকেই ক্ষুধার্ত হয়ে যায় এবং খাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ অবলম্বন করে। আর এক্ষেত্রে যুদ্ধ করার সময় ঘোড়ার মাংস খাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা নিয়ে আমাদের প্রিয় নবী বাধা প্রদান করেছিলেন।
যেহেতু আমাদের প্রিয় নবী নিজে ঘোড়ার গোস্ত বা মাংস খাওয়া নিয়ে বাধা প্রদান করেছেন সে তো অবশ্যই এটি হালাল নয়।
যদি হালাল হতো তাহলে অবশ্যই আমাদের প্রিয় নবী এক্ষেত্রে কোন বাধা দিত না এবং সকলকে অনুমতি দিত ঘোড়ার মাংস খাওয়ার।
ঘোড়ার মাংস কেন খাওয়া উচিত নয়?
আমরা তো জানলাম যে ঘোরার মাংস খাওয়া আমাদের জন্য হালাল না কিন্তু এর কারণ কি এ বিষয়ে জানিনা। তাই আপনি যেন কারণ সহ জানতে পারেন কেন আমাদের ঘোড়ার মাংস খাওয়া হালাল নয় তাই এই প্রশ্নটি সাজানো।
কয়েকটি কারণ রয়েছে যে কয়েকটি কারণের জন্য আমাদের মধ্যে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হালাল করা হয়নি। আর এ কয়েকটি কারণ জানার পর আপনিও আর ঘোড়ার মাংস খেতে চাইবেন না কেননা অবশ্যই কারণ অনুযায়ী এটি খাওয়া হালাল নয়।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু ঘোড়ার মাংস কেন খাওয়া উচিত নয় তার কারণসমূহ উল্লেখ করা হলো:
- ইসলামে ঘোড়া মাংস খাওয়া নিয়ে বাধা প্রদান করা হয়েছে তাই।
- ঘোড়ার মাংস খাওয়া হারাম তাই এটি খাওয়া উচিত নয়।
- ঘোড়া মাংস খাওয়া নিয়ে ইসলামে কোন আশ্রয় দেওয়া হয়নি তাই।
এগুলো হলো কয়েকটি কারণ যে কারণগুলোর জন্য আমরা ঘোরার মাংস খেতে পারব না বা হালাল করা হয়নি।
যেহেতু ঘোড়ার মাংস খাওয়ার উপর ইসলাম নিজে বাধা প্রদান করেছে সে ক্ষেত্রে এটা হারাম বলে অবহিত হওয়ায় খাওয়া উচিত নয়।
ইসলাম ধর্ম অনুসারী হয় অবশ্যই বিধান অবলম্বন করতে হবে এবং অবলম্বন করতে গেলে অবশ্যই ঘোড়ার মাংস পরিহার করতে হবে।
কেননা ইসলামে ঘোড়ার মাংস খাওয়াকে বাধা প্রদান করা হয়েছে বা ঘোড়ার মাংস খাওয়া নিয়ে কোন প্রকার আশ্রয় দেয়নি।
শেষ কথা:
আমরা অনেকেই আছি যারা ঘোড়ার মাংস খাওয়াকে পছন্দ বা হালাল বলে মনে করে থাকতে পারি। তাই আপনি যেন এমন কোন ভুল ধারণা মনের মধ্যে না আনেন এবং ঘোড়ার মাংস খাওয়া নিয়ে কোন চিন্তাভাবনা না করেন তাই এই পোস্টটি সাজানো।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী যেহেতু ঘোড়ার মাংস খাওয়াতে বাধা প্রদান করা হয়েছে সে তো অবশ্যই এটি হালাল নয়। যদি হালাল হতো তাহলে কোন প্রকার বাধা থাকত না এবং আমরা অবশ্যই ঘোড়ার মাংস খেতে পারতাম বা ভক্ষণ করতে পারতাম।
এই ঘোড়া যেহেতু যানবাহনের উপর ব্যবহৃত হয় এবং যুদ্ধের সময় মাঝেমাঝে বিভিন্ন আঘাত সহ্য করে।
সেহেতু এই সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করেও আমাদেরকে ঘোড়াকে জবাব করে তার মাংস ভক্ষণ করা উচিত হবে না।
যদিও বা এই বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা নেই তবুও ঘোরার মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কেননা বাধা প্রদান করা হয়েছে।
ইসলামে যেহেতু স্পষ্টভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়াকে অনুমতি দেওয়া হয়নি সুতরাং অবশ্যই এটিকে হারাম বলে অবহিত করতে হবে।
এখনো অনেকেই বলবেন যে ইসলাম এত হারাম বলে অভিহিত করা হয়নি তাহলে কেন আমরা এটিকে খেতে পারব না।
আসলে হারাম বলে অবহিত করা হয়নি বলা ভুল কেননা যেখানে বাধা প্রদান করেছে সেখানে হারাম ব্যাখ্যা করার প্রশ্ন আসে না।
আরও পড়ুন: মুরগির মাংসে কি এলার্জি আছে?