ঘনীভবন কাকে বলে: বাষ্পীভবনের বিপরীত প্রক্রিয়াকে ঘনীভবন বলা হয়। কোন বাষ্প শীতলীকরণ করার মাধ্যমে তরলে রুপান্তর করার প্রক্রিয়াকে ঘনীভবন বলে। অন্যদিকে, স্ফুটনাঙ্ক এর বিপরীত প্রক্রিয়াকে ঘনীভবন বলা হয়।
এই ঘনীভবন প্রক্রিয়ার জন্য, বর্তমানে যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে সেই প্রক্রিয়ায় কাঁচের ব্যবহার রয়েছে শীতলীকরণ করার জন্য।
তরলকে বাষ্পে পরিণত করি তখন বাষ্প একটি কাচের বাক্সের মধ্যে সংরক্ষণ করা হয় এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় তরলে পরিণত করা হয়।
আর এ পদ্ধতিতে বর্তমানে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় ব্যবহার করা হয় বিশুদ্ধ তরল বা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য পুরো দেশে। মিনারেল ওয়াটার নামে আমরা যে সকল পানি বাজারজাত হিসেবে ক্রয় করতে পারে সেই সকল পানে মূলত এই ঘনীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরবরাহ হয়।
তবে বাজারজাত করার সময় যেসকল পানি উৎপাদন করা হয়, সেই পানিগুলো উৎপাদন করার জন্য যে শুধু ঘনীভবন কাজ করে না। বরং ঘনীভবনের সাথে আরও একটি প্রক্রিয়া রয়েছে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুরো কাজ সম্পন্ন হয় এবং মিনারেল ওয়াটার উৎপাদন করা যায়।
বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার জন্য ঘনীভবনের পূর্বে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় সেটি হচ্ছে বাষ্পীভবন এবং ইহার মাধ্যমে আমরা বাষ্প পাই শীতল করার জন্য। অর্থাৎ এই ঘনীভবন প্রক্রিয়া আছে করার জন্য আমাদেরকে প্রথমে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে বাষ্প তৈরি করতে হবে শীতল করার জন্য।।
কেননা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় একটি গ্যাসকে কখনো তরলের রুপান্তর করে রাখা সম্ভব নয় তাই আমাদেরকে তরল কে প্রথমে বাষ করতে হবে।
কেননা আমরা বিশুদ্ধ তরল পেতে চাই এবং এজন্য আমরা তরলকে বাষ্পে পরিবর্তন করে পরবর্তীতে পুনরায় তরলের রূপান্তর করব ঘনীভবনের মাধ্যমে।
ঘনীভবন কী?
ঘনীভবন কী: বাষ্পীভবনের বিপরীত প্রক্রিয়া হচ্ছে ঘনীভবন এবং এখানে শীতলীকরণ হয়ে থাকে। শীতলীকরণ বলতে এখানে বাষ্পকে শীতল করার কথা বলা হয়েছে যা আমরা শীতল করার মাধ্যমে তরলে রূপান্তর করতে পারি ব্যবহারযোগ্য হিসেবে।
বর্তমানে আমাদের দেশে, বিশুদ্ধ তরল বা মিনারেল ওয়াটার পাওয়ার জন্য এই ঘনীভবন প্রক্রিয়াটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় কারখানায়।
কারখানা বলতে পানির যে সকল কোম্পানির রয়েছে যে সকল কোম্পানী রয়েছে সে সকল কোম্পানিতে ঘনীভবন প্রক্রিয়া কাজ করে।
এই সকল পানির কোম্পানিতে প্রথমে ও পরিষ্কার এবং দুর্গন্ধযুক্ত পানি একটি পাত্রের মধ্যে বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে এই পানিতে তা প্রদান করার মাধ্যমে বাষ্পে পরিণত করা হয়ে যা বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগঠিত হয় একটি টানেলের মধ্যে প্রবেশ করে।
এই টানেল এর মধ্যে প্রবেশ করার পর বাস্প ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয় এবং পরবর্তীতে তরল হিসেবে পরিণত হয়ে যা বিশুদ্ধ।
এবং এই তরলে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়া হয়ে থাকে ঘনীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এবং এই ঘনীভবনের দ্বারা মিনারেল ওয়াটার তৈরি।
ঘনীভবন বলতে কি বুঝো?
ঘনীভবন বলতে আমাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান প্রদান করা হয় এবং সাহায্য করা হয় প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে জানানোর জন্য। এই প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করে যেহেতু বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি নিজেরদের মিনারেল ওয়াটার পুরো দেশে সরবরাহ করছে তাই এ প্রক্রিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ।
যেহেতু আমরা পূর্বে ঘনীভবন কাকে বলে এ বিষয়ে জানতে পেরেছি তাই এখন আমাদেরকে এই প্রক্রিয়াটি বুঝতে হবে।
অর্থাৎ কিভাবে ঘনীভবন প্রক্রিয়া কাজ করে বা ঘনীভবন প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝায় তার একটি বিশেষ ধারণা রাসায়নিকভাবে লাভ করতে হবে।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু ঘনীভবন বলতে কী বোঝায় তার নমুনা পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো:
- ঘনীভবন দ্বারা কোন বাষ্পকে বিশুদ্ধ তরলে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়।
- ঘনীভবন দ্বারা শীতলীকরণ প্রক্রিয়াকে গজানো হয়ে যারা বাষ্প শীতল হতে পারে।
- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘনীভবন দ্বারা একটি বাষ্পকে সাধারন তাপমাত্রা নিয়ে এসে তরল রূপান্তর করা হয়।
- তবে যে সকল গ্যাস স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বাষ্প হয়ে থাকে সেগুলোকে খুব কম সময় ঘনীভবন করা হয়।
- ঘনীভবন হচ্ছে একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি বাষ্পকে আমরা তরলের রূপান্তর করে ব্যবহারযোগ্য করতে পারি।
- ঘনীভবন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ইচ্ছামত আমরা বাষ্পকে তরলে আনতে পারি এবং শীতল করে রাখতে পারি।
এগুলো হলো ঘনীভবন বলতে কি বুঝো তার একটি নমুনা যা পয়েন্ট আকারে আপনাদের মাঝে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর ঘনীভবন প্রক্রিয়াটির মধ্যে এই সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে যেগুলোর উপর ঘনীভবন প্রক্রিয়া শীতল করার মাধ্যমে তরল প্রদান করে আমাদের।
আরও পড়ুন: বাষ্পীভবন কাকে বলে?