গুণগত শিক্ষা কি: শিক্ষার মান উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর চারিত্রিক ও মানবিক জ্ঞান বৃদ্ধির প্রক্রিয়াই হচ্ছে গুণগত শিক্ষা। শিক্ষার মান উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর চারিত্রিক ও মানবিক জ্ঞান বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে গুণগত শিক্ষা বলে।
গুণগত শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষা একটি ধাপ যার মাধ্যমে শিক্ষার্থী শুধুমাত্র সনদ লাভের উদ্দেশ্যে শিক্ষা গ্রহণ করে না।
বরং কিছু শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করার উদ্দেশ্যেই শিক্ষা অর্জন করে, আর এটাই হচ্ছে গুণগত শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যে শিক্ষার মাধ্যমে শিশুর গুণগত বিকাশ ঘটানো হয় এবং চরিত্র উন্নত করা হয় সেই শিক্ষাকে গুণগত শিক্ষা বলে। আর একজন শিশুর মেধা বিকাশের পাশাপাশি নৈতিক আচরণের উন্নতি ঘটানো অনেক বেশি প্রয়োজন হয় সুন্দর সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে।

আর অবশ্যই শুধু জ্ঞান অর্জন করলে হবে না বরং জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নৈতিকতার বিকাশ ঘটাতে হবে এবং শান্তি আনার চেষ্টা করতে হবে। শান্তি আনার মাধ্যমে নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য এবং আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য গুণগত শিক্ষা অনেক বেশি প্রয়োজন।
আমরা অনেক অভদ্র ছেলে মেয়েদের দেখে এবং এক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে দোষারোপ করে থাকি কিন্তু আসলে এটি গুণগত শিক্ষার অভাব।
একজন শিক্ষার্থী যখন গুণগত শিক্ষা অর্জন করে তখন তার নৈতিকতার বিকাশ ঘটে এবং ধীরে ধীরে সকল মন্দ আচরণ দূর হয়।
এই গুণগত শিক্ষার মাধ্যমে কাউকে দোষারোপ করার কোন সুযোগ থাকে না এবং সেই সাথে মন্দ আচরণ করার কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় না। অর্থাৎ এই গুণগত শিক্ষা অর্জন করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর গুনাগুন অনেক বেশি উন্নত হয় এবং সেই সাথে শিশুর অন্তরের নৈতিক চরিত্র স্থাপন হয়।
গুণগত শিক্ষার বৈশিষ্ট্য
আমরা নৈতিক শিক্ষা সম্পর্কে তো জানলাম তবে এই শিক্ষার কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যে বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে আমাদের সকলের জানতে হবে।
কেননা এই বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে জানার মাধ্যমে আমরা গুণগত শিক্ষা অর্জন না করেও নিজের আচরণের পরিবর্তন আনতে পারব।
আর আমরা যখন আচরণের পরিবর্তন ঘটিয়ে নৈতিকতার বিকাশ ঘটাবো তখন গুণগত শিক্ষা সঠিকভাবে আমাদের প্রতিফলিত করবে। আর অবশ্যই এজন্য আপনাকে আমাকে প্রথমে গুণগত শিক্ষার বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু নৈতিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করা হলো:
- শিক্ষার্থীর ন্যায়বোধ, কর্তব্যপরায়ণ, সুশৃঙ্খল এবং চারিত্রিক উন্নয়ন ঘটায়।
- শিক্ষার্থীর মনের মাঝে উপস্থিত জাত ও ধর্মের ভেদাভেদ দূর করার প্রচেষ্টা করে।
- শিক্ষার্থীর মনের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব, উন্নয়ন উদ্যোগী এবং সেবার দিকে ধাবিত করে।
- শিক্ষার্থীর মাঝে দেশপ্রেম, মূল্যবোধ, যেকোনো বিষয়ে বদ-জ্ঞান্যতা দূর এবং সৃজনশীলতা সৃষ্টি করে।
- শিক্ষার্থীর নৈতিক আচরণের বিকাশ, মেধার বিকাশ এবং শিক্ষার উদ্দেশ্য সাধনে ভূমিকা পালন করে।
- শিক্ষার্থীর মনের মাঝে সমাজ, পরিবেশ, পরিবার এবং আত্মীয় ভূমিকা সম্পর্কে অনুগত করে।
এইগুলো হলো গুণগত শিক্ষার কিছু বৈশিষ্ট্য এবং বৈশিষ্ট্য গুলো দ্বারা এটি বোঝা যায় যে গুনগত শিক্ষা আমাদের অনেক বিকাশ ঘটায়।
আর যেহেতু নৈতিকতার বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্রে এবং আচরণের মান উন্নত করার ক্ষেত্রে গুণগত শিক্ষা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তাই আমাদের সকলের উচিত গুণগত শিক্ষা অর্জন করা এবং নিজের মেধার ও নৈতিকতার বিকাশ ঘটানোর। নৈতিকতার বিকাশ ঘটনার মাধ্যমে আপনি আমি নিজেকে সমাজের বুকে সম্মানি করতে পারব এবং সেই সাথে মিলেমিশে থেকে একটি সমাজ আদর্শ করতে পারব।
শেষ কথা:
গুণগত শিক্ষা কি এবং গুণগত শিক্ষার বৈশিষ্ট্য নিয়ে আজকের এই পোস্টটিতে বিশেষ কিছু আলোচনা করা হয়েছে।
আর এই আলোচনাগুলো সম্পূর্ণরূপে অনুপ্রেরণার জন্য করা হয়েছে যেন আপনারা গুণগত শিক্ষা অর্জন করতে উৎসাহিত হতে পারেন।
এই গুণগত শিক্ষার নাম দ্বারাই এটিও বুঝা যায় যে এটি আমাদের গুনাগুনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া একটি বিশেষ শিক্ষা শাখা। আর অবশ্যই এই শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে আমাদের গুনাগুনের মান বৃদ্ধি পায় এবং সেই সাথে অন্যায় ও মন্দ আচরণ ঠিক হয়।
আর অন্তর থেকে মন্দ আচরণ দূর করার জন্য এবং সমাজে মুখ উঠিয়ে চলাফেরা করার জন্য গুণগত শিক্ষায় অন্তরে থাকতে হবে।
কেননা গুণগত শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের আচরণ উন্নত হবে এবং আচরণ উন্নত হওয়ার ফলে সকলেই আমাদেরকে ভালবাসবে।
আর এই গুণগত শিক্ষার ফলে যখন ভালোবাসার সৃষ্টি হবে তখন সমাজ থেকে হিংসা, বিদ্বেষ, মারামারি এবং অন্যান্য সকল মন্দ কাজ দূর হবে। সুতরাং এই গুণগত শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের পরিবেশ ও সমাজ উভয় পরিবর্তন ঘটতে পারে এবং সকল সমস্যা দূর হতে পারে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান সময় এই পোস্টটি পড়ে গুণগত শিক্ষা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার জন্য।
অবশ্যই যেহেতু আপনাকে গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজের আচরণের পরিবর্তন ঘটাতে হবে তাই এই শিক্ষা সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন: উচ্চ শিক্ষা কি?