গলনাঙ্ক কাকে বলে: 1 atm চাপে তাপ প্রদানের ফলে যে তাপমাত্রায় কোন কঠিন পদার্থ তরলে রূপান্তরিত হয় সেই তাপমাত্রাকে উক্ত পদার্থের গলনাঙ্ক বলে। প্রত্যেক কঠিন পদার্থের মধ্যে গলনাঙ্কের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে এবং এরা নির্দিষ্ট একটি তাপমাত্রায় নিজের গলনাঙ্ক প্রদর্শন করে।
উদাহরণ: এক বায়ুমণ্ডলীয় চাপে কঠিন পানি অর্থাৎ বরফের গলনাঙ্ক হচ্ছে 0 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গলনাঙ্ক বলতে মূলত আমরা কঠিন পদার্থকে বিশেষ করে ইঙ্গিত করে থাকে এবং এর গলনাঙ্ক বের করতে চাই।
কেননা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমরা শুধুমাত্র কঠিন পদার্থকে তরলে রূপান্তর করতে পারে এবং এর জন্য গলনাঙ্ক কাজ করে।
প্রত্যেকটি কঠিন পদার্থের একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা রয়েছে, যে তাপমাত্রায় গিয়ে কঠিন পদার্থটি স্বাভাবিকভাবে গলতে শুরু করে।
আর কোন কঠিন পদার্থ স্বাভাবিকভাবে নির্দিষ্ট একটি তাপমাত্রা গলতে শুরু করার এই প্রক্রিয়ায় হচ্ছে উক্ত কঠিন পদার্থের গলনাঙ্ক।
গলনাঙ্ক হচ্ছে একটি মান এবং মানটি নির্ভর করে কঠিন পদার্থের উপর যে কত তাপ গ্রহণ করার পর গলতে শুরু করেছে।
যেহেতু গলনাঙ্ক সম্পূর্ণরূপে একটি তাপের খেলা খেলি তাই অবশ্যই আমাদেরকে গলনাঙ্ক কথাটি মাথায় আসা মাত্র এর মান সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। মানে বলতে এখানে সেলসিয়াসকে বোঝানো হয় যে, কত ডিগ্রী তে গিয়ে একটি পদার্থ বলতে শুরু করেছে।
গলনাঙ্ক বলতে কি বুঝায়?
গলনাঙ্কের প্রক্রিয়াটি হচ্ছে আমরা যদি কোন পদার্থকে তরলে রূপান্তর করতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে তাপ প্রদান করতে হবে। তারপর তাপ প্রদান করার সময় আমরা কঠিন পদার্থকে তরলে রূপান্তর করার সময় পর্যন্ত যত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলাতে সক্ষম হই। সেই তাপমাত্রাকে গলনাঙ্ক বলে।
গলনাঙ্কের প্রক্রিয়াটি হচ্ছে পদার্থের কঠিন অবস্থা থেকে তরলে রূপান্তর হওয়া পর্যন্ত পুরো সময়ের রাসায়নিক অবস্থা।
এইটুকু সময়ে কঠিন পদার্থটির মাঝে নানা ধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এবং ধীরে ধীরে তরলের রূপান্তর হতে দেখা যায়।
বিভিন্ন কারণে আমাদেরকে একটি কঠিন পদার্থকে তরলে রূপান্তর করতে হতে পারে এবং এই গবেষণাটি করার জন্য গলনাঙ্কের প্রয়োজন হবে।
কেননা গলনাঙ্কের উপর ভিত্তি করে আমরা উপযুক্ত তাপমাত্রায় পৌঁছানোর পর উক্ত পদার্থকে তরলে রূপান্তর করতে পারব বা সক্ষম হব।
একটি পদার্থ ঠিক কতটুকু উত্তপ্ত হওয়ার পর গলতে শুরু করবে তা কেবলমাত্র নির্ভর করবে উক্ত পদার্থের গলনাঙ্কের উপর। আর এ কথাটি মনে রাখবেন, প্রত্যেকটি পদার্থের গলনাঙ্কের মধ্যে পার্থক্য থাকে যা এদের আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি দ্বারা পরিবর্তন হয়।
অবশ্যই গলনাঙ্কের কোন সঠিক মান নেই কেননা যৌগ যে রোগ হবে বা পদার্থ যেরূপ হবে গলনাঙ্ক ঠিক অনুরূপ মানের হবে।
উপসংহার:
গলনাঙ্ক কাকে বলে এবং গলনাঙ্ক বলতে কী বোঝায় আশা করি এ বিষয়ের উপর আপনাদেরকে জ্ঞান প্রদান করতে আমি পেরেছি।
গলনাঙ্কের নির্দিষ্ট মান আছে অর্থাৎ পদার্থের উপর নির্ভর করে এবং সে পদার্থের পরিশুদ্ধতার উপর নির্ভর করে তার গলনাঙ্ক কত হবে।
তবে গলনাঙ্ক সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি আছে সেটি হচ্ছে বরফ এবং জিজ্ঞাসা করা হয় বরফের গলনাঙ্ক কত। আসলে আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় পানিকে তরল অবস্থায় দেখতে পায় এবং বরফ হচ্ছে একটি পানিতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বরফ পানি হবে।
আর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বরফ পানি হওয়ার মানে হচ্ছে এর তাপমাত্রা হবে ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ওয়ান এটিএম।
সর্বশেষে বলতে হয় সেটা হচ্ছে গলনাঙ্ক হচ্ছে কোন একটি কঠিন পদার্থকে তরলের রূপান্তর করার জন্য প্রয়োজনীয় তাপের মানের পরিমাণ।
একটি পদার্থ যখন আমরা গলাতে যাব তখন আমাদেরকে অবশ্যই তাপ প্রদান করতে হবে এবং নির্দিষ্ট তাপ এগিয়ে পদার্থটি তরলের রূপান্তর হতে পারবে। আর এই তরলের রূপান্তর করতে আমাদেরকে যতটুকু তাপশক্তি প্রদান করতে হবে উক্ত পদার্থের উপর সে তাপ শক্তির পরিমাণ হচ্ছে গলনাঙ্ক।
গলনাঙ্ক সম্পর্কে, বিশেষ তথ্য এখানে আলোচনা করেছি এবং আপনার সময় আমাদের পোস্টে অতিবাহিত করার জন্য ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন: নিঃসরণ কাকে বলে?