গরুর রচনা:
সূচনা: বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি গৃহপালিত পশুর নাম হলো গরু। গৃহপালিত পশু হওয়ার সঙ্গে গৃহস্থ অনেক কর্ম ও কাজে গরু আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গরু হচ্ছে অনেক উপকারে একটি গৃহপালিত পশু এবং গরু আমাদের অনেক কাজ করতে সাহায্য করে। প্রাণী হিসেবে গরু হচ্ছে একটি অত্যন্ত শান্ত ও নিরব প্রকৃতির একটি প্রাণী।
বৈশিষ্ট্য ও আকার আকৃতি: গরুর বৈশিষ্ট্য সমূহ হলো: এটি একটি গৃহপালিত জনপ্রিয় পশু, এটি একটি শান্ত ও নিরব প্রকৃতির গবাদি পশু, অবসর সময় এই প্রাণীটি তার গ্রহণ কৃত খাদ্য পুনরায় মুখে এনে চিবাতে পারে, এটি একটি এমন প্রাণী যা বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে লাভজনকভাবে পালন করা হয় এবং এই প্রাণীটি সহজে তার মালিকের পোষ মানে।
গরুর আকার আকৃতি:
এই গরুর চারটি পা, শোনার জন্য দুটি কান, প্রতিরক্ষার জন্য দুটি শিং, অনুভব ও কর্মদক্ষতার জন্য একটি মাথা এবং শরীর হতে মশা তাড়ানোর জন্য পিছনে একটি দীর্ঘ লেজ থাকে। আশেপাশের পরিবেশ দেখার জন্য গরুর রয়েছে দুইটি চোখ, তবে গরু রঙ্গীন কোন জিনিস দেখতে পারে না।
গরু যা দেখে সব সাদা অথবা কালো রূপে দেখে, যা প্রাচীন যুগের টিভির পর্দায় দেখা যাচ্ছিল ঠিক সেই রকম।
গরুর উচ্চতা তিন চার হাত বা তিন চার ফুট হয় এবং প্রস্থে পাঁচ ছয় হাত বা পাঁচ ছয় ফুট হয়।
একটি গরুর পুরো শরীর ছোট ছোট লোম দ্বারা আবৃত থাকে এবং এই লোমগুলোর দ্বারাই তাদেরকে রঙ্গিন দেখায়। গরুর লোম অনুযায়ী গরুর লাল, কালো, সাদা, কমলা এবং মিশ্র রং এর সমন্বয় হয় থাকে। গরুর আচরণ ও চরিত্র: গরু হচ্ছে একটি খুব শান্ত ও নীরব প্রকৃতির একটি গৃহপালিত প্রাণী।
এরা সহজে রাগান্বিত হয় না এবং বেশিরভাগ সময় বিশ্রাম করতে পছন্দ করে থাকে।
গরু তার বেশিরভাগ সময় বিশ্রাম করতে, খাবার গ্রহণ করতে এবং গ্রহণ কৃত খাদ্য পুনরায় মুখে এনে চিবাতে বেশি পছন্দ করে।
গরুর খাদ্য ও বাসস্থান: গরু হচ্ছে একটি তৃণভোজী শান্ত প্রকৃতির প্রাণী। সবুজ রংবিশিষ্ঠ প্রত্যেকটি উদ্ভিদ গরু খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
এছাড়াও খড় এবং অন্যান্য সম্পূরক খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও গরু খাদ্য হিসেবে পানি ও অন্যান্য জলীয় দ্রবণ খেয়ে থাকে।
গরু তার বাসস্থান বলতে নির্দিষ্ট করে কোন স্থান রাখে না, তবে গৃহপালিত পশু হওয়ার কারণে মানুষ এ প্রাণীটিকে নিজের বাসা বাড়িতে স্থান দিয়েছে এবং সেই সঙ্গে তাদের জন্য খামার নির্মাণ করার কাজ করতেছে। গরু বনে বসবাস করলে, বন জঙ্গলের যে কোন স্থানে নিজের দল নিয়ে বাসস্থান বাঁধে এবং প্রয়োজনে সেই স্থান ত্যাগ করে।
এই গরুর উপকারী ও অপকারী দিকসমূহ:
গরুর উপকারী দিকগুলো হলো: গরু পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে দুধ, মাংস, জ্বালানি ব্যবহার করাতে বা জমিতে সার ব্যবহার করতে গোবর দেয়।
গরুর চামড়া ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন প্রকার পোশাক ও জুতা তৈরি করতে পারি ব্যবহার করার জন্য।
প্রাচীনকালে জমি চাষ করার জন্য যখন কোন ভালো মানের প্রযুক্তি ছিল না তখন গরু জমি চাষ করতে ভূমিকা পালন করতেছিল।
আবার পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও বর্তমানে অনেক জায়গায় গরু গাড়ির প্রচলন দেখা যায়।
গরুর আবার বিভিন্ন প্রকার অপকারী দিক রয়েছে সেগুলো হলো: গরু সহজে রাগান্বিত হয় না তবে একবার রাগান্বিত হলে সে অনেক ফসল নষ্ট করে ফেলতে পারে, গরু অনেক সময় তার শিং এর মাধ্যমে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে আর এই সকল দিকসমূহ কোন জটিল বিষয় না।
গরুর অপকারী দিকসমূহ এর মধ্যে উপকারীর দিকসমূহের প্রাধান্যতা বেশি আর এক্ষেত্রে বলা যায় গরুর উপকারিতাই অধিক।
Cow/গরুর রচনা উপসংহার:
গরু এমন একটি প্রাণী যার মধ্যে একাধিক উপকারী গুণ রয়েছে, কিন্তু এরপরেও বর্তমানে আমরা মানুষ গরুর উপর দায়িত্ববান নই।
গরুর সকল উপকারের দিক এর উপর গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করার মাধ্যমে আমাদেরকে গরুর উপর সদয় হওয়া প্রয়োজন।
তবে আমরা অধিকাংশ মানুষ আছি যারা একটু ভুলের ফলেই গরুর উপর অত্যাচার শুরু করে ফেলি যা মোটেও ভাল কাজ নয়।
গরু এমন একটি প্রাণী যে আমাদের নানা ভাবে উপকৃত করার সঙ্গে সঙ্গে আর্থিকভাবে লাভবান করতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: গরুর রক্তের গ্রুপ কি?