গণশিক্ষা কি: দেশের মধ্যে উপস্থিত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকলকে উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানের যে প্রক্রিয়া তাই হচ্ছে গণশিক্ষা। এক কথায় বলতে গেলে, সার্বজনীন শিক্ষা হলো একটি দেশে উপস্থিত শিশুর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রত্যেক মানুষকে উপযুক্ত শিক্ষাদানের প্রক্রিয়া।
এই গণশিক্ষা কে সর্বজনীন শিক্ষা বলা হয় কেননা, এই শিক্ষায় না আছে কোন ভেদাভেদ এবং না আছে কোন বয়সের পার্থক্য। সকলের জন্য এই শিক্ষা উন্মুক্ত হওয়ার কারণে গণশিক্ষা কে সর্বক্ষেত্রে সর্বজনীন শিক্ষা বলে আখ্যায়িত করা হয়।

এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিশু, কিশোর এবং বয়স্ক উভয় শ্রেণীর প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান করা হয় জীবন পরিচালনার জন্য। জীবন পরিচালনার জন্য শিক্ষা ও সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান ও ধারণা রাখা অতি প্রয়োজন যা অবশ্যই প্রয়োজন হবে।
আর এই শিক্ষা ও সাধারণ জ্ঞানের প্রয়োজন নিবারণের জন্য গণশিক্ষা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম যা আমাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদান করে।
উন্নত জীবন লাভ এবং সেই সাথে যে কোন পদক্ষেপ ভালোভাবে গ্রহণ করতে ন্যূনতম জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন হয়।
এই জ্ঞান ও দক্ষতা যেন সকলের মাঝে উপস্থিত থাকে, সেজন্য গণশিক্ষা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। গণশিক্ষা বলতে সাধারণ শিক্ষাকে শুধুমাত্র প্রাধান্য দেওয়া হবে এমনটা না বরং এখানে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদান করা হয়।
গণশিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
পুরো দেশে গণশিক্ষাকে উন্মুক্ত করে তোলা হয়েছে এবং এর জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু উদ্দেশ্য সাধনের প্রয়োজনীয়তা। আর এই সকল উদ্দেশ্য গুলো পূরণ করাই হচ্ছে গণশিক্ষার মূল উদ্দেশ্য আর আমাদেরকে সকল উদ্দেশ্য দেখে নিতে হবে।
যেন আমরা গণ শিক্ষার উদ্দেশ্য গুলো জানার পর এই শিক্ষা নিয়ে অনেক বেশি উদ্যোগী হয়ে ওঠে গ্রহণে। আর আমরা যখন গ্রহণ করতে অনেক বেশি অনুপ্রেরিত হবো গণশিক্ষার তখন এটি আমাদেরকে খুবই সহজে শিক্ষা প্রদান করবে জীবনের সর্বক্ষেত্রের।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু গণশিক্ষার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হলো:
- সামাজিক, মানসিক ও নৈতিক মনোভাবের বিকাশ সাধন করা।
- দেশাত্মবোধ জাগ্রত করা।
- জীবনকে সঠিক ভাবে গড়ে তোলা।
- দেশের মানুষের সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পাবে।
- একটি দেশের প্রত্যেকের শিক্ষিত হলে জাতি শিক্ষিত হবে যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
- শিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানকে তারা বিভিন্নভাবে দেশে উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করতে পারবে।
- সু শিক্ষার মাধ্যমে বেকারত্বের হার কমবে।
- সামাজিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি পাবে।
- শিক্ষিত মানুষ দেশের আইনকে অনুসরণ করে চলবে।
- দেশের মানব সম্পদের উন্নয়ন হবে।
- দেশ সামাজিকভাবে উন্নয়ন ও সামাজিকভাবে প্রগতি লাভ করবে।
মূলত এই সকল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গণশিক্ষাকে উন্মুক্ত করে তোলা হয়েছে এবং সর্বজনীন হয়ে উঠেছে।
সর্বক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে গণশিক্ষার মাধ্যমে বেশ উন্নতি সাধিত হচ্ছে এবং উন্নত জাতি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
আমরা গণশিক্ষা সম্পর্কে সর্বোচ্চ এটাই ধারণা করতে পারি যে ইহা দেশের উন্নতি সাধনে এবং নিজের উন্নতি সাধনে ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ গণশিক্ষা হচ্ছে ঐ পরক্রিয়া যার মাধ্যমে দেশ এবং ব্যক্তি উভয় পরিচালিত হতে পারে সুষ্ঠুভাবে।
গণশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
গণশিক্ষা কি এ বিষয়ে পরিপূর্ণরূপে আলোকপাত করতে গেলে এই শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে। কেননা যখন আমরা এই গণশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানব তখনই এই শিক্ষা নিয়ে স্টাডি করার জন্য আগ্রহী হব।
গণশিক্ষা নিয়ে যেহেতু ধারণা নিতে এসেছে আজকের পোস্টটিতে তাই প্রয়োজনীয়তা সব বিশেষ কিছু ধারণ করব গণশিক্ষার।
আর আপনি যেন আপনার পছন্দমত গণশিক্ষার জ্ঞান অর্জন করতে পারেন সেজন্য এখানে এই গণশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে দিব।
তাই গণশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কি কি তা বিশেষভাবে নিচে উপস্থাপন করা হলো:
- শিক্ষাই হলো মানুষের বা জাতির শক্তি।
- শিক্ষা ছাড়া জাতি অচল কেননা এটা হলো জাতির মেরুদন্ড।
- শিক্ষা কর্মসংস্থানে সঠিক নিয়ম প্রয়োগের সাহায্য করে।
- শিক্ষার মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব দূর হয়। জাতি শিক্ষিত হওয়ার মাধ্যমে দেশের উন্নতি সাধিত হবে।
এগুলো হলো গণশিক্ষার বিশেষ কিছু প্রয়োজনীয়তা এবং এই প্রয়োজন নিবারনের জন্য আমরা গণশিক্ষা দেখতে পাই। গণশিক্ষা হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার মত শিক্ষা নয় বরং ইহার মাধ্যমে যাবতীয় বিশেষ বিশেষ শিক্ষা প্রদান করা হয়।
দেশ এবং জাতির উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে এবং সঠিক জীবন পরিচালনা করতে গণশিক্ষা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: কৃষি শিক্ষা এর ইংরেজি কি?