খাদ্য কাকে বলে: জীবের দৈহিক বৃদ্ধি, শক্তি উৎপাদন, পুষ্টি গ্রহণ এবং ক্ষয় পূরণ করতে যে সকল দ্রব্য ও সামগ্রী আহার করে তাকে খাদ্য বলে। দৈহিক বৃদ্ধি, দেহ গঠন, দেহের শক্তি উৎপাদন এবং দেহের তাপ উৎপাদনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং সঙ্গে দেহের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে খাদ্য এর প্রয়োজনীয়তা অধিক।
প্রাণী যে সকল দ্রব্য আহার করে, আর তা হজম প্রক্রিয়ায় রক্ত দ্বারা প্রবাহিত করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টি কাজে লাগিয়ে, অতিরিক্ত পুষ্টি সঞ্চয় করে রাখতে পারে এবং সেই সঙ্গে দেহের ক্ষয় পূরণ, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাকে খাদ্য বলে।
এককথায় খাদ্য কি: কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং দৈনিক পুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে প্রাণী যে সকল দ্রব্য আহার করে তাকে খাদ্য বলে।
খাদ্য জীবনের মূল কেননা, খাদ্য হচ্ছে এমন প্রয়োজনীয় উপাদান যা ছাড়া মানুষ কাজ করার কোন শক্তি উৎপাদন করতে পারে না।
দৈনিক সকল প্রাণী যা খায় তাই খাদ্য ধারণাটি ভুল কেননা, মানুষ/প্রাণী যা খায় তাই খাদ্য নয় বা খাদ্য হতে পারেনা।
একজন মানুষ তার রোগ নিরাময় বা অসুস্থ থেকে সুস্থতা লাভের উদ্দেশ্যে ঔষধ খায়। আর এক্ষেত্রে এটি তো কখনোই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ বা খাদ্য হতে পারে। তাই বলা যায়, যে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী নিজের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং দৈহিক পুষ্টি লাভের সঙ্গে সঙ্গে শক্তির সঞ্চয় করার জন্য যে বস্তু সমূহ আহার করে থাকে তাকে খাদ্য বলে।
খাদ্যের ছয়টি উপাদান কি কি?
খাদ্য কাকে বলে এ বিষয়ে পরিপূর্ণভাবে বিশ্লেষণ করতে গেলে খাদ্যের ছয়টি উপাদানসমূহ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান রাখা অবশ্যই জরুরী।
কেননা এই ছয়টি উপাদান দ্বারাই প্রত্যেকটির জীবনি নিজের সকল চাহিদা পূরণ করে থাকে শরীরের প্রয়োজনে।
আর খাদ্যের মধ্যে মানুষ হিসেবে যে কয়েকটি পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে থাকে তার সংখ্যা আমি উল্লেখ করেছি। তবে এখন আমাদেরকে শুধুমাত্র জানতে হবে এই উপাদানগুলো সম্পর্কে যেগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা নিজেদের শরীরের শক্তি ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাই।
নিচে খাদ্যে ছয়টি উপাদান কি কি তা আপনাদের মাঝে উল্লেখ করা হলো:
- শর্করা (চাল, গম, আটা, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি)
- আমিষ ( মাছ, মাংস, প্রাণিজ খাদ্য)
- স্নেহ জাতীয় খাদ্য (তেল, চর্বি, দুধ, মাখন, দই)
- ভিটামিন (A, B, C, D, E, K)
- খনিজ পদার্থ (Nacl, Mgcl, Kcl,)
- পানি (সকল প্রকার গ্রহণযোগ্য পরিশুদ্ধ পানি)
এগুলো ছিল খাদ্যের ছয়টি উপাদান এবং তাদের উদাহরণ সমূহ যা থাকে আমরা এই উপাদান সমূহ বা পুষ্টি সমূহ পাই।
আর এই পুষ্টিগুলো পাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরের যাবতীয় সমস্যা প্রতিরোধ ও ক্ষমতা অর্জন করতে থাকি।
আশা করি খাদ্যের ছয়টি উপাদান সম্পর্কে আপনাদের উল্লেখ করতে পেরেছি এবং আশা করি আপনার সকলের সকল উপাদান সম্পর্কে অবগত ছিল। তবে যদি পূর্বে থাকে অবগত না থাকেন তাহলে কোন অসুবিধা নেই কেননা আমি উল্লেখ করে ফেলেছি খাদ্যের উপাদান নিয়ে।
খাদ্য উপাদানের কাজ ও প্রয়োজনীয়তা
খাদ্য কাকে বলে এ বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে আমাদেরকে অবশ্যই খাদ্য উপাদানের কাজ ও প্রয়োজনীয়তা এ বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। যেহেতু খাদ্য নিয়ে জ্ঞান অর্জন করা আমাদের মূল লক্ষ্য এখানে তাই আমাদেরকে এর প্রয়োজনীয়তা ও কাজ কি করে তা জানতে হবে।
অর্থাৎ এই খাদ্য আমাদের শরীরে প্রবেশ করার পর কিরূপ ভাবে কাজ করে থাকে এবং আমাদের প্রয়োজন মেটায়। আর এই সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে হলে চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক খাদ্যের কিছু কাজ ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।
নিচে খাদ্য উপাদানের কাজও প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হলো:
- দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উৎপাদন করে (খাদ্যর কাজ)
- দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে (খাদ্যর কাজ)
- দেহের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে (খাদ্যর কাজ)
- দেহের ক্ষয়পুরণ ও বৃদ্ধি সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে (খাদ্যর কাজ ও প্রয়োজনীয়তা)
- সুস্বাস্থ্য গঠন এবং দেহের তাপ উৎপাদন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে (খাদ্যর কাজ ও প্রয়োজনীয়তা)
- বিভিন্ন প্রয়োজনে সঞ্চয়কৃত খাদ্য শক্তি ব্যবহার করতে পারা (খাদ্যর প্রয়োজনীয়তা)
এই ছিল কিছু খাদ্য উপাদানের কাজ ও প্রয়োজনীয়তা, আর এই সকল কাজ ও প্রয়োজনীয়তা আমরা খাদ্য গ্রহণ করে পেয়ে থাকি।
আর শরীরে খাদ্য কিরূপ কাজ করে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা এতোটুকুতে বলা যাবে না বরং আরো কাজ ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে খাদ্যের।
আশা করে খাদ্য নিয়ে তৈরি করা আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনাকে পরিপূর্ণ জ্ঞান প্রদান করতে পেরেছি। আপনার অন্য কোন মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদের জানাতে পারবেন তবে খাদ্য সম্পর্কে এতটুকু জ্ঞান রাখলে আপনার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা।