ক্ষার ধাতু কাকে বলে: যে সকল মৌল পানিতে দ্রবীভূত হয় হাইড্রোজেন গ্যাস এবং ক্ষার তৈরি করে তাদেরকে ক্ষার ধাতু বলা হয়, অন্যান্য ধাতুর তুলনায় এ ধাতুগুলো হয়ে থাকে অনেক বেশি সক্রিয়। অনেক বেশি সক্রিয় বলতে বোঝানো হয়েছে এরা খুব দ্রুত বিক্রিয়া ঘটিয়ে থাকে এবং পানিতে মিশা মাত্রই কোন দেরি না করে ক্ষার উৎপন্ন করে ফেলে।
পর্যায় সারণির এক নম্বর গ্রুপে মোট সাতটি মৌল রয়েছে এবং এর সাতটি মৌলের মধ্যে হাইড্রোজেন ব্যতীত বাকি ছয়টি মৌল যেমন: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, রুবিডিয়াম, সিজিয়াম এবং ফ্রান্সিয়াম মৌলগুলোকে ক্ষার ধাতু বলা হয়।
মৌলিক পদার্থের মধ্যে ক্ষার ধাতুর সংখ্যা হচ্ছে মোট ছয়টি, উদাহরণ: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, রুবিডিয়াম, সিজিয়াম এবং ফ্রান্সিয়াম।
অন্যান্য ধাতুর তুলনায় ক্ষার ধাতু গুলো হয়ে থাকে অনেক বেশি সক্রিয় এবং এরা যে কোন বিক্রিয়া দ্রুত অংশগ্রহণ করতে সক্ষম।

সক্রিয়তা সিরিজের উপর ভিত্তি করে এক একটি মৌলের এক এক রকম ক্ষার ধাতুর সক্রিয়তার লক্ষ্য করা যায় এবং এরা বিভিন্ন ধরনের বিক্রিয়ায় উৎপাত হিসেবে কাজ করে থাকে। ক্ষার ধাতু বলতে ক্ষার উৎপাদনকারী ধাতুকে বুঝানো হয় যারা পারে সাথে বিক্রিয়া করা হাইড্রোজেন গ্যাস এবং ক্ষার উৎপন্ন করে।
ক্ষার ধাতু দ্বারা বিকিড়ার গতি বৃদ্ধি করা সম্ভব হলেও ইহার দ্বারা কোন ধরনের বিক্রিয়া শেষ করে ফেলা সম্ভব হয় না।
আপনি চাইলে ক্ষার ধাতু ব্যবহার করে ক্ষার উৎপন্ন করতে পারেন।
আবার পর সমান বিক্রিয়া উৎপন্ন করার ক্ষেত্রে এসিডের সাথে আমরা ক্ষারের বিক্রিয়া দেই যাতে প্রশমন বিক্রিয়া ঘটে।
যেকোনো সময় আমরা এসিডকে প্রশমিত করার জন্য ক্ষার ধাতুর ব্যবহার করে থাকি কেননা ইহার মাধ্যমে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করা সম্ভব হয়। এসিড থেকে যখন লবণ এবং পানি উৎপন্ন করার প্রশ্ন আসে তখনই ক্ষারের কথা মনে হয় কেননা ইহার দ্বারা এটি সম্ভব।
ক্ষার হচ্ছে অতি সক্রিয় ধাতু এরা এসিডের সঙ্গে তাড়াতাড়ি বিক্রিয়া করে এবং এসিডের রূপ পরিবর্তনের সাথে নিজের রূপ পরিবর্তন করে।
ক্ষার ধাতুর বৈশিষ্ট্য
তবে আপনি শুনে চিন্তায় পড়ে যাবেন যে ক্ষার ধাতু একটি ক্ষতিকারক পদার্থ যা শরীরের ক্যান্সারের মতো রোগের জন্ম দিতে পারে।
ক্ষার ধাতু দ্বারা যখন কোন সাবান বা ডিটারজেন্ট তৈরি করা হয় তখন পরিমাণমতো সেখানে খাদ্য ব্যবহার করা হয়।
কতিপয় বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হওয়ার মাধ্যমে আমরা ক্ষার ধাতুকে চিহ্নিত করতে পারি, নিচে ক্ষার ধাতুর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:
- এরা পানির সাথে বিক্রিয়া করলে ক্ষার উৎপন্ন করে এবং অপরদিকে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে।
- এদেরকে এসিডের সঙ্গে যদি বিক্রিয়া ঘটানো যায় তাহলে এরা এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়া লবণ ও পানি উৎপন্ন করবে।
- ক্ষার ধাতুর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা পানির সংস্পর্শে আসলে বিক্রিয়া করে ক্ষার উৎপন্ন করবে।
এগুলো হলো গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য যেগুলো দ্বারা আমরা ক্ষার ধাতুকে চিহ্নিত করতে পারে এবং ক্ষার ধাতুর মাধ্যমে ক্ষার উৎপন্ন করতে পারি।
আমরা সাবান কিংবা ডিটারজেন্ট হিসেবে যেগুলো ব্যবহার করা থাকি তার মধ্যে ক্ষার ধাতু বিদ্যমান থাকে তবে তা সীমিত মাত্রায়।
কেননা অধিক মাত্রায় যদি ক্ষার কোন ডিটারজেন্ট বা সাবানে দেওয়া হয় তাহলে তা আমাদের ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করবে। আপাতত দৃষ্টিতে আমরা মনে করি ক্ষার একটি শরীরের উপযোগী পদার্থ কেননা ইহা দ্বারা আমরা শরীর পরিষ্কার করি।
ক্ষার ধাতু যেন কত রকম প্রতিক্রিয়া মানুষ শরীরে ঘটাতে না পারে সেজন্য অন্যান্য দ্রব্য মিশ্রণ করা হয়।
এভাবেই এটি শরীরের উপযোগী এবং ব্যবহারযোগ্য করে তৈরি করা হয় যেন ক্ষার ধাতু দ্বারা কোন ব্যক্তির সমস্যার সৃষ্টি না হয়।
তাই বলে এ সকল কথা শুনে আপনি সাবান ব্যবহার করবেন না এটা না কেননা, প্রত্যেকটা সাবান তৈরি করার সময় সঠিক অনুপাতে সকল পদার্থ মিশ্রণ করে তৈরি করা হয়। যার ফলে শরীরে এর প্রভাব কোন রূপে প্রকাশ পায় না এবং এখন পর্যন্ত এর কোন নোটিশ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে অনেক ক্ষেত্রে অনেকের ত্বক জলে গেছে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে এবং এটি সর্বদা শীতকালে বেশি দেখা যায়।
কেননা শীতকালে আদ্র পরিবেশ থাকে এবং শরীর ভেজা থাকে না অর্থাৎ চামড়া ভেজা থাকে না।
শেষ কথা:
ক্ষার ধাতু কাকে বলে এবং ক্ষার ধাতুর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি এ বিষয় নিয়ে আশা করি আপনাদেরকে পরিপূর্ণ ধারণা দিতে পেরেছি। তবে ক্ষার ধাতু হচ্ছে সক্রিয় সিরিজের সবচেয়ে উপরে অবস্থানকারে মৌল গুলোর মধ্যে অন্যতম।
এরা দ্রুত যেকোনো দিকে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং যেকোনো বিক্রিয়ার দিক পরিবর্তন করতে সক্ষম।
ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বিক্রিয়ার প্রশমন ঘটানো সম্ভব হয় এবং সেই সাথে বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়।
ক্ষার ধাতু আমরা সাবানে ব্যবহার করে থাকি এবং সাবান তৈরিতে ক্ষার ধাতুর উপর বিভিন্ন পরীক্ষা করার মাধ্যমে তৈরি করা হয়।
ক্ষার ধাতু শব্দটি দ্বারা প্রধানত ছয়টি মৌলকে বোঝানো হয় যা পর্যায় সারণির গ্রুপ এক অবস্থান করতেছে।
পর্যায় সারণির গ্রুপ একে সাতটি মৌল বিদ্যমান রয়েছে এবং সাতটি মৌলের মধ্যে হাইড্রোজেন ব্যতীত বাকি মৌল থেকে ক্ষার উৎপন্ন হয়।
বাকি ছয়টি মৌল থেকে ক্ষার উৎপন্ন হয় বলে এদেরকে ক্ষার ধাতু বলা হয়, বাকি ছয়টি মৌলের নাম হলো: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, রুবিডিয়াম, সিজিয়াম এবং ফ্রান্সিয়াম।
আরও পড়ুন: আয়নীকরণ শক্তি কাকে বলে?