কোষ কি? কোষ কাকে বলে? কোষ কত প্রকার ও কি কি?

কোষ কি: কোষ হচ্ছে জীবদেহের গঠন, কার্যগত ও জীবজ ক্রিয়া-কলাপের একক। অর্থাৎ এই কোষ দিয়ে পুরো জীবের শরীর গঠন হয়েছে এবং এটি হচ্ছে সকল ক্রিয়া-কলাপের মূল একক যার দ্বারা জীব কাজ করে। একাধিক যারা একটি জীবের অঙ্গাণু সৃষ্টি হয় এবং এই অঙ্গানুগুলো কাজ করতে সক্ষম হয়।

জীবজ ক্রিয়াকলাপের একক এবং গঠনগত একক হচ্ছে কোষ যার দ্বারা পুরো জীবের এ টু জেড গঠন হয়েছে।

আর এই কোষের গুরুত্ব প্রত্যেকটি জীবের জন্য অনেক বেশি কেননা এটি বিভাজিত হয়ে জীবের সকল বিকাশ গঠন করে থাকে।

বলা যায়, কোষ শুধুমাত্র গঠনগত একক নয় বরং এটি বিকাশের দিক দিয়েও নিজেকে বিভাজিত করে থাকে জীবের ক্ষেত্রে। আর এ কোষ বিভাজনের মাধ্যমে জীব বংশধারা যেমন অব্যাহত থাকে ঠিক তেমনি বিভাজনের মাধ্যমে শারীরিক ও অন্যান্য বৃদ্ধি ঘটে।

কোষ কি
কোষ কি?

সংজ্ঞা: কোষ কাকে বলে: লোয়ি এবং সিকেভিজ এর মতে বৈষম্য ভেদ্য পর্দা দিয়ে আবৃত এবং জীবজ ক্রিয়া কলাপের একক যা অন্য কোন সজীব মাধ্যম ছাড়াই নিজের প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে এমন সত্তাকে কোষ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

এই লয়ি এবং সিকেভিজ এর মতবাদ অনুযায়ী যে কোষের সংজ্ঞাটি দেওয়া হয়েছে তা অবশ্যই সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে।

অর্থাৎ কোষের যাবতীয় কাজের উপর ভিত্তি করে এবং কিছু বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে এই কোষের সংজ্ঞাটি প্রদান করা।

কেননা, তিনারা এখানে উল্লেখ করেছেন সজীব কোষ অর্থাৎ এতে বৈশিষ্ট্য এবং প্রতিরোধ সৃষ্টি করতে পারে যা হচ্ছে কোষের কাজ। আর এই সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কোষের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে এটি উপযুক্ত সংখ্যা হবে জীববিজ্ঞানে কোষ নিয়ে।

কোষ কত প্রকার ও কি কি?

প্রত্যেকটি প্রাণী বা জীবের মধ্যে যে একই ধরনের কোষ বিদ্যমান থাকে এবং একই ধরনের কোষ বিভাজন হয় এমন নয়।

বরং জীব এবং উদ্ভিদের ভিত্তি করে কোষের পার্থক্য দেখা যায় এবং সেই সাথে কোষের মধ্যে উপস্থিত উপাদানের উপর পার্থক্য হয়েছে।

কোষের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে আমরা কোষ কে কয়টি ভাগে ভাগ করেছি এবং তাদের কাজ ভিন্ন রয়েছে। তাই এখন আমরা জানার চেষ্টা করব কোষ যে সকল ভাগে ভাগ হয়েছে তার কিছু নমুনা এবং সংজ্ঞা সহ কিছু ব্যাখ্যা যেগুলো কোষের প্রকারভেদ এর ধারণা হবে।

নিউক্লিয়াসের গঠনের ওপর ভিত্তি করে কস কে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন:

  • আদি কোষ বা প্রাককেন্দ্রিক কোষ
  • প্রকৃত কোষ বা সুকেন্দ্রিক কোষ

আদি কোষ: যে ধরনের কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না এবং নিউক্লিয়াস পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে না তাদেরকে আদি কোষ বলে।

প্রকৃত কোষ: যে ধরনের কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত অর্থাৎ নিউক্লিয়ার পর্দা দিয়ে নিউক্লিয় পরিবেশিত ও সুসংগঠিত থাকে সেই সকল কোষকে প্রকৃত কোষ বলে।

কাজের ওপর ভিত্তি করার প্রকৃত কোষ কে আবার দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়, যেমন:

  • দেহকোষ বা সোমাটিক সেল
  • জনন কোষ গ্যামেটিক সেল

দেহ কোষ: বহুকোষী জীবের দেহ গঠনে যে সকল অংশ অংশগ্রহণ করে তাদেরকে দেহকোষ বলা হয়।

জনন কোষ: যৌন জনন, জনঃক্রম দেখা যায় এমন জীবের জনন সম্পন্ন হওয়ায় যে কোষের সৃষ্টি হয়ে তাকে জনন কোষ বলে।

এগুলো ছিল কোষের কিছু প্রকারভেদ এবং এগুলো মানুষের ক্ষেত্রে শুধু নয় বরং প্রত্যেকটি জীবের মধ্যে পার্থক্য থাকে।

আবার এই প্রকারভেদ অনুযায়ী উভয় ধরনের কোষ একটি জীবের মধ্যে পাওয়া সম্ভব হতে পারে যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

শেষ কথা:

কোষ কি বা কোষ কাকে বলে, কোষ কত প্রকার ও কি কি বিষয় সম্পর্কে আশা করি ধারণা প্রদান করতে পেরেছি।

খুব সহজে ভাষায় কোষ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

কোষ হচ্ছে জীবদেহের একক এবং এই কোষ দ্বারা মূলত পর থেকে জীবের শরীর গঠন হয় এবং অন্যান্য কার্যকলাপ করতে পারে। মানবদেহে উপস্থিত প্রত্যেকটি অঙ্গ মূলত কোষ বা জীব কোষ দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে।

তবে কোষের উপর ভিত্তি করে জীবকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন বহুকোষী জীব এবং এককোষী জীব।

আর এগুলোকে বহুকোষী এবং এককোষী জীব বলার পেছনে সবচেয়ে মূল কারণ হলো এদের মধ্যে উপস্থিত বৈশিষ্ট্য।

অর্থাৎ যে সকল জীব একমাত্র কোষ দিয়ে তৈরি হয় সেই সকল জীব সমূহকে এককোষী জীব বলা হয় এবং এরা নিজে নিজে বিভাজিত হয়। আর যারা বহুকোষী জীব রয়েছে এদের একাধিক কোষ থাকে গঠনে এবং এদের বিভাজন অনেক বেশি উন্নত হয়।

আরও পড়ুন: জীববিজ্ঞান কাকে বলে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!