কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে: যে চারটি সংখ্যা ইলেকট্রনের কক্ষপথের আকার, ব্যাসার্ধ এবং পরিভ্রমণ সহ ইলেকট্রনের অন্যান্য বিষয় প্রকাশ করে, সেই চারিটি সংখ্যাকে একত্রে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।
একটি ইলেকট্রনের সম্পূর্ণ তথ্য ধারণের জন্য বা জ্ঞান লাভের জন্য আমাদেরকে কোয়ান্টাম সংখ্যা ব্যবহার করতে হয়।
আমরা কোয়ান্টাম সংখ্যা ব্যবহার করার মাধ্যমে উক্ত ইলেকট্রনের ব্যাসার্ধ সহ পরিভ্রমণ ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে।
কোয়ান্টাম সংখ্যার কিছু প্রকারভেদ রয়েছে এবং এই প্রকারভেদ গুলোর উপর ভিত্তি করে আমরা কোয়ান্টাম সংখ্যা থেকে বিভিন্ন মান বের করতে পারে। অর্থাৎ একটি ইলেকট্রন ঠিক কোণ পাওয়া যায় কি অবস্থায় রয়েছে তা আমরা এ সকল কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রকারভেদ থেকে জানতে পারি।
আমরা তো কোয়ান্টাম সংখ্যার সংজ্ঞা জানলাম তবে এই কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রকার সম্পর্কে জানা এখনো আমাদের বাকি রয়েছে। তাহলে আমাদেরকে এখন বর্তমানে খুব তাড়াতাড়ি কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রকারভেদ গুলো ও এদের নাম গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
কোয়ান্টাম সংখ্যা মোট চার প্রকার এবং যেকোনো দুটি পরমাণুর চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনোই এক হতে পারে না। চারটি প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা হলো:
- প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা
- সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা
- চৌম্বক কোয়ান্টাম সংখ্যা
- স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা
এগুলো হলো কোয়ান্টাম সংখ্যার কিছু প্রকারভেদ এবং এই প্রকারভেদ গুলো অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন প্রকার মান বা ইলেকট্রনের।
অর্থাৎ একটি ইলেকট্রন যে একটিমাত্র মান দ্বারা নিজের সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করবে এমনটি না বরং একটি ইলেকট্রনের বিভিন্ন মান রয়েছে।
যে মানগুলো দ্বারা আমরা একটি ইলেকট্রনের সম্পূর্ণ তথ্য খুবই সহজে বের করতে পারি ও জানতে পারি।
কোয়ান্টাম সংখ্যার মান নির্ণয়ের সূত্র
আমরা তো জানলাম কোয়ান্টাম সংখ্যা মোট চারটি সংখ্যা বা মান দিয়ে গঠিত হয়েছে বা চারটি মান বের করা যায়। তবে কিভাবে আমরা কোয়ান্টাম সংখ্যার মান বের করবো এ বিষয় সম্পর্কে এখনো আমাদের জানা অনেক বাকি রয়েছে, যা জানতে হবে।
কোয়ান্টাম সংখ্যা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভের জন্য অবশ্য আমাদেরকে এখন এই মান গুলো বের করার নিয়ম জানতে হবে।
যে নিয়মগুলো জানার মাধ্যমে আমরা খুব সহজে একটি ইলেকট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান বের করতে পারব এবং উত্তর দিতে পারব।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু নিয়ম উল্লেখ করা হলো যেগুলোর দ্বারা কোয়ান্টাম সংখ্যার মান নির্ণয় করা যায়, যেমন:
- প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা: প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যাকে n দ্বারা প্রকাশ করা হয় এবং এর ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা হয় 2n2
- সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা: সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যার মান নির্ণয় সূত্র হলো: 2(2l+1).
- শক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা: 2n2
- উপশক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা: 2(2l+1)
- যেকোনো শক্তির স্তরে অরবিটাল সংখ্যা: (2l+1)
- n এর যে কোন মানের জন্য অরবিটাল সংখ্যা: n2
এগুলো হলো কোয়ান্টাম সংখ্যার মান নির্ণয়ের সূত্র এবং আপনি এই সূত্রগুলো ব্যবহার করে যে কোন ইলেকট্রনের কোয়ান্টাম সংখ্যা বের করতে পারেন। যেহেতু বিভিন্ন পরীক্ষায় কোয়ান্টাম সংখ্যার মান বের করতে বলা যেতে পারে একটি ইলেকট্রনের তাই এই তথ্যগুলো আপনাকে জানতে হবে।
এই তথ্যগুলা আমরা সম্পূর্ণরূপে পাঠ্য বই থেকে নিয়েছি এবং এর সত্যতা অবশ্যই রয়েছে কেননা পাঠ্য বইয়ে কোন ভুল তথ্য নেই।
আপনি চাইলেই পাঠ্য বইয়ের সাথে আমাদের এই সূত্রগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন এবং সূত্রগুলো মুখস্ত করে কোয়ান্টাম সংখ্যা বের করতে পারেন।
শেষ কথা:
কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে এবং কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রকারভেদ এর উপর ভিত্তি করে এখানে প্রচুর তথ্য দেওয়া হয়েছে। কোয়ান্টাম সংখ্যা সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে একটি পরমাণুর গঠন ও পরমাণুতে উপস্থিত ইলেকট্রন এর সকল তথ্য জানার জন্য।
ইলেকট্রন যে সকল তথ্য আমাদেরকে প্রদান করে সে সকল তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদেরকে এই কোয়ান্টাম সংখ্যা ধারণা লাভ করতে হবে।
একটি পরমাণুর ইলেকট্রনের সম্পূর্ণ ধারণা লাভ করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে কোয়ান্টাম সংখ্যা সম্পর্কে জানতে হবে।
কোয়ান্টাম সংখ্যা ছাড়া কখনো একটি মৌলের ইলেকট্রন সম্পর্কে আমরা স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারবো না ও মান জানতে পারবো না। অর্থাৎ কোয়ান্টাম সংখ্যার মধ্যে যে সকল সংখ্যা রয়েছে সে সকল সংখ্যা নির্দিষ্ট কিছু মান রয়েছে যা আমরা সুত্র দ্বারা বের করে থাকি।
তবে আমরা যদি এই কোয়ান্টাম সংখ্যা সম্পর্কে না জানতাম তাহলে কখনোই ইলেকট্রনের এই সকল নিখুঁত জিনিস সম্পর্কে অবগত থাকতাম না।
কেননা একটি ইলেকট্রন কোন কক্ষপথে আছে এবং কিভাবে পরিক্রমণ করছে এই সকল বিষয়ে কোয়ান্টাম সংখ্যার ধারণার অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: আলফা কণা কি?