কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় প্রশ্নটির উত্তর হলো মসজিদ, পৃথিবীর সর্বোত্তম স্থান হয় এখানে শান্তি পাওয়া যায়। তবে আরো কিছু জায়গা রয়েছে যে সকল জায়গায় গেলে মানুষ নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ করতে পারে এবং মানসিক শান্তি পায়।
নিচে কিছু জায়গার নাম উল্লেখ করা হলো, যেখানে গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়:
- মসজিদ (পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জায়গা)
- মক্কা (হজ করার জায়গা)
- মদিনা (যেখানে আমাদের প্রিয় নবী হিজরত করেছেন)
- ইসলামিক মজলিস (যেখানে ইসলামিক বিষয়ে আলোচনা হয়)
- জান্নাতের সমালোচনাযুক্ত স্থান
এই কয়েকটি হচ্ছে মানসিক শান্তি পাওয়ার স্থান এবং মুসলমান হওয়া এই সকল স্থানে মানসিক শান্তি পাওয়া অতি সাধারণ বিষয়।
মসজিদের যাওয়ার মাধ্যমে আমরা নামাজ আদায় করে এবং নামাজ পড়ার সময় আমাদেরকে যাবতীয় চিন্তাভাবনা থেকে ফারাক হতে হয়।
আর চিন্তাভাবনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে আমরা নিজেকে মানসিকভাবে শান্তি প্রদান করতে পারি।
মক্কা হচ্ছে হজ করার স্থান এবং এখানে গেলে আমরা নিজের সকল গুনাহ মাফ করতে পারি।
নিজের গুনাহ মাফ করার চেয়ে বড় মানসিক শান্তি আর কিবা হতে পারে তাই এটি একটি শান্তির স্থান।
মদিনা হচ্ছে আরো একটি মানসিকভাবে নিজেকে শান্ত করার বা শান্তি প্রদান করার উপায়।
কেননা এখানে গেলে আমরা বিভিন্ন সাহাবীদের জীবনী সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারব।
সাহাবীদের জীবনের সম্পর্কে ধারণা লাভ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের নিজের মনকে শান্ত করতে পারব ইনশাআল্লাহ।
ইসলামিক মজলিস হচ্ছে সেই স্থান যেখানে ইসলামিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং এই সকল স্থানে যাওয়ার মাধ্যমে আমরা দুনিয়ার যাবতীয় চিন্তাভাবনা ভুলে যায়। আর দুনিয়ার যাবতীয় চিন্তা ভাবনা ভুলে যাওয়ার মাধ্যমে আমরা মানসিকভাবে শান্তি লাভ করতে সক্ষম হই।
জান্নাতের সমালোচনাযুক্ত স্থান হচ্ছে ওই স্থান যেখানে জান্নাতের আরাম-আয়েশ নিয়ে আলোচনা করা হয়। আর জান্নাতের আরাম-আয়েস নিয়ে আলোচনা করার সময় আমরা যদি তা শুনে তাহলে আমরা অনেক বেশি উদ্বেগী হয়ে জান্নাত লাভের জন্য।
আর এভাবে আমাদের মনে জান্নাতের ভালোবাসা জাগ্রত হওয়ার মাধ্যমে মানসিক শান্তি লাভ করা সম্ভব হয়।
মানুষের শান্তি পেতে আপনি কেন এ সকল স্থানে ভ্রমন করবেন?
বলতে গেলে আমরা এমন কারণের কথা বলতে পারব যে সকল কারণ দ্বারা এটি স্পষ্ট যে সকল স্থানে গেলে মানসিক শান্তি পাবো। তবে অনেকে আছে যারা এখনো অবগত হতে পারেনি যে কি কারনে এ সকল স্থানে যাওয়ার মাধ্যমে আমরা মানসিক শান্তি উপভোগ করি।
আর আপনিও যদি মানসিক শান্তি এ সকল স্থানে গিয়ে কিভাবে পেয়ে থাকে তা সম্পর্কে না জানেন বা জানতে আগ্রহী থাকেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের এই প্রশ্নটি সম্পূর্ণ পড়ুন কেননা এখানে আমরা কিছু কারণ উল্লেখ করব যেগুলোর জন্য এ সকল স্থানে গেলে মানুষের সঙ্গে পাওয়া যায়।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো যেগুলোর জন্য আমরা মসজিদ ও ইসলামিক স্থানে গেলে শান্তি পাই:
- এই সকল স্থানে গেলে জীবনের পরিচালনা কিভাবে করতে হয় তা জানার মাধ্যমে মন শান্ত হয়।
- নিজের ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায় যার ফলে ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং শান্তি সৃষ্টি হয়।
- ঈমান বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অন্তরে বিশ্বাস আছে এবং আল্লাহর জিকির করতে করতে একটি ধ্যানে শান্তি পাওয়া যায়।
- ইসলামিক বিভিন্ন মজলিসে সকল মুসলমানদেরকে একসঙ্গে দেখতে পারে মানুষের মন ভালো হয়।
- মসজিদে প্রবেশের ফলে দুনিয়াবী চিন্তা দূর হয় এবং দুনিয়াবী চিন্তা দূর হয়ে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।
- মসজিদে প্রবেশের ফলে আল্লাহ তায়ালা সকল দুশ্চিন্তা সরিয়ে ফেলেন এবং ফলে মানসিক শান্তি লাভ হয়।
এগুলো ছিল কিছু কারণ যে কারণগুলোর জন্য আমরা মসজিদ ও অন্যান্য ইসলামিক স্থানে গেলে মানসিক শান্তি পায়।
আমি আশা করি যে এই সকল কারণগুলো দ্বারা আপনি অবশ্যই নিজের মানসিক শান্তি লাভের জন্য মসজিদে গমন করবেন সব সময়।
শেষ কথা:
কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় এ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা আজকের আমাদের এই পোস্টটিতে প্রত্যেকটি জায়গার নাম উল্লেখ করেছে। যেখানে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে প্রত্যেকটি মুসলমান নিজের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
একমাত্র মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর মাধ্যমে আমরা নিজেকে মানসিকভাবে শান্তি প্রদান করতে পারে। আর এই সকল স্থানে যাওয়ার মাধ্যমে যেহেতু নিজের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব তাই মানসিকভাবে শান্তি পাওয়া সম্ভব।
আর আমি অবশ্যই বলতে চাই যে আপনি যদি মানুষের সাথে পেতে চান তাহলে মসজিদে সর্বপ্রথম গমন করুন ঈমান নিয়ে। আপনি যখন পরিপূর্ণ ঈমান নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করবেন তখন আপনার মনে শুধুমাত্র আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কথা থাকবে।
আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের কথা আমাদের মনে থাকার ফলে দুনিয়াবী সকল চিন্তাভাবনা নিজে নিজেই অপসারিত হবে। আর আমাদের মানসিক অশান্তের মূল কারণ যেহেতু এই দুনিয়াবী চিন্তা এবং মজিদের প্রবেশের ফলে যেহেতু এই দুনিয়াবী চিন্তা ও অপসারিত হয়ে যায়।
সুতরাং অবশ্যই বলা যায়, মসজিদে প্রবেশ করার পর আল্লাহকে ও নবীকে চিন্তা ভাবনা করার ফলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: এলার্জি ঔষধ এর নাম।