কেঁচোর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Metaphir Posthuma (বাংলা উচ্চারণ: মেটাফায়ার পোস্টহুমা)।
পৃথিবীতে কয়েক প্রকারের কেঁচো পাওয়া যায় এবং এদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্যের ভেদাভেদ দেখা দেয়। এদের জীবনযাত্রা রয়েছে অনেক বেশি পার্থক্য তবে এদের বৈজ্ঞানিক নামে নেই কোন শর্ত ও ভেদাভেদ।
কেঁচোর প্রত্যেকটি জীবের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক নাম একটি হিসেবে গণ্য আর সে বৈজ্ঞানিক নামটি হচ্ছে মেটাফায়ার পোস্টহুমা।
বিভিন্ন প্রকার কেঁচোর উপকারী দিক রয়েছে যা আমরা প্রতিনিয়ত উপভোগ করে থাকি এবং জানতে অজানতে এরা আমাদের উপকার করে।
বর্তমানে কেঁচো ব্যবহার করে জৈব সার উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে এবং এই সারকে কেঁচো সার বলে অব্যাহত করা হয়েছে।
জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে কোন প্রকার জটিলতা ছাড়াই উচ্চমানের ফসল লাভের উদ্দেশ্যে এই সকল সার ব্যবহার করা হয়।
আবার বিভিন্ন সময় কেঁচো পানিতে লক্ষ্য করা যায় এবং এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পানিতেও জীবিত থাকতে পারে।
বাসস্থান হিসেবে এরা মাঠের ভিতর সরু ছিদ্রপথ দ্বারা একটি বাসস্থান তৈরি করে এবং সেখানে জীবন অতিবাহিত করে।
বাসস্থান নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সর্বদাই এরা মাটিকে নির্বাচন করে এবং মাঠের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করে থাকে।
কেঁচোর বৈজ্ঞানিক নাম লেখার নিয়ম
কেঁচোর বৈজ্ঞানিক নাম লেখার কেবলমাত্র একটি নিয়ম রয়েছে এবং এই নিয়মটি নিচে উল্লেখ করা হলো:
প্রথমে কেঁচোর গণ এর নাম উল্লেখ করতে হবে এবং পরবর্তীতে প্রজাতির নাম উল্লেখ করে দুটি একসঙ্গে লিখতে হবে।
কেঁচোর গণ এবং প্রজাতি উভয়ের নাম একসাথে লিখার মাধ্যমে আমরা খুব সহজে কেঁচোর এই প্রাণীটার সাইনটিফিকেট নাম লিখতে সক্ষম হব।
এখানে কেঁচোর গন হলো Metaphir এবং প্রজাতি হলো Posthuma এবং এদের দুটিকে একত্রে করে আমরা কেঁচোর বৈজ্ঞানিক নাম লিখতে পারি Metaphir Posthuma।
আবার কেঁচোর রয়েছে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ও গাঠনিক বৈশিষ্ট্য যার দ্বারা এরা চলাফেরা করতে পারে কোন প্রকার পা ছাড়াই।
গাঠনিক বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে এমন কিছু কেঁচো রয়েছে যেগুলো সমুদ্রে বসবাস করে এবং পাতার মতো আকৃতি হয়।
কেঁচো তাদের জীবনের প্রতিটি সময় অনেক বেশি স্ট্রাগল করে এবং সেই সাথে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের সাথে মোকাবেলা করে জীবিত থাকে। অনেক সময় এদেরকে দলবদ্ধভাবে এবং অনেক সময় এদেরকে একাকী বসবাস করতে দেখা যায়, তবে সার উৎপাদনের ক্ষেত্রে এরা দলবদ্ধ হয়ে থাকে।
উপসংহার:
কেঁচোর বৈজ্ঞানিক নাম কি এবং কেঁচোর দ্বিপদ নামকরণটি কিভাবে লেখা হয় তার ওপর ভিত্তি করে উত্তর প্রদান করা হয়েছে। আর অবশ্যই আমাদেরকে বিজ্ঞানের এই সকল ধারনা সম্পর্কে প্রথমে নিতে হবে নিজের যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য।
আমরা হয়তোবা ইতিমধ্যে অনেকে কেঁচো নামক এই প্রাণীটির কথা শুনেছি এবং সেই সাথে আশেপাশে দেখতে পেরেছি। তবে আমরা যদিও বা এটিকে বাংলা ভাষায় কেঁচো বলে সম্বোধন করে থাকে তবে বৈজ্ঞানিকভাবে কখনো একে কিছু বলার কোন নিয়ম নেই।
আমাদেরকে সর্বদা কেঁচো এই প্রাণীটির নাম বৈজ্ঞানিকভাবে উল্লেখ করতে গেলে এর বৈজ্ঞানিক নাম সম্বোধন করতে হবে। যখন আপনি বিজ্ঞানে উপস্থিত হয়ে বিজ্ঞানসম্মত নাম উপস্থাপন করবেন কেঁচোর তখন এটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে উপযুক্ত স্থানে মেধার জন্য।
তবে আপনি আপনার বাসার আশেপাশের পরিবেশে এটিকে কথাবার্তার মাঝে কেঁচো হিসেবে সম্বোধন দিতে পারেন।
তবে বিজ্ঞানী যে কোন অনুষ্ঠান ফাংশন ও মেধা যাচাই-করণের সময় অবশ্যই আপনাকে দ্বিপদ নামকরণ উল্লেখ করতে হবে কেঁচোর।
আরও পড়ুন: গরুর বৈজ্ঞানিক নাম কি?