কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া কি জায়েজ? ইসলামিক ব্যাখ্যা?

কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া কি জায়েজ এ প্রশ্নের উত্তর হলো জি হ্যাঁ। অবশ্যই কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা আদায় করা জায়েজ হবে তবে এর জন্য কিছু নির্দেশনা রয়েছে। কোন কোরআন শিক্ষা অর্জনকারী ব্যক্তি যদি, কুরআন শিক্ষা প্রদান করতে গিয়ে সরকার অথবা প্রতিষ্ঠান হতে অর্থ উপার্জন করে।

সরকার এবং প্রতিষ্ঠান হতো অর্থ উপার্জন করার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও অর্থ আদায় করে তাহলে এটি জায়েজ হবে না।

অন্যদিকে দেখা গেল যে, একজন কোরআন শিক্ষা অর্জনকারী ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান এবং সরকার কোন কাছ থেকে কোন ভাতা পায় না।

কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া কি জায়েজ
কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া কি জায়েজ

ঠিক এই ক্ষেত্রে গিয়ে ওই ব্যক্তি যদি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অর্থ আদায় করে তাহলে সেটা জায়েজ হবে। অর্থাৎ সকল ক্ষেত্রে যে কুরআন শিক্ষা দিয়ে আপনার টাকা নেওয়া জায়েজ হবে এমনটি মোটেও সত্য না। বরং কিছু কিছু বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনি কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নিতে পারবেন এবং এ বিষয়ে ইসলামিক ইতিহাস রয়েছে।

চলুন তাহলে, সহীহ হাদিস থেকে এর ব্যাখ্যা জেনে আসি যে আসলে কি জায়েজ হবে কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া।

কেননা হাদিসের এবং কুরআনের ব্যাখ্যা ছাড়া নিজের মন মত একটি মত প্রকাশ করে তার ওপর কাজ করা মোটেও হবে না।

কুরআন শিক্ষার মাধ্যমে টাকা গ্রহণ কি জায়েজ এ বিষয়ে সহীহ হাদিস

বুখারী শরিফ, হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা:) খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এই সময় একজন ব্যক্তি দোকান খোলার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল।

ঠিক এই সময় পথে যাওয়ার সময় হযরত ওমর (রা:) তাকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন কোথায় যাচ্ছেন।

তখন ওই ব্যক্তি উত্তরে বলল বাজারে যাচ্ছে দোকান খোলার জন্য।

তখন এই সময় হযরত ওমর তিনাকে জিজ্ঞাসা করলেন আপনি বাজারে গেলে রাষ্ট্রের পরিচালনা করবে কে অর্থাৎ শিক্ষা প্রদানের পরিচালনা। তখন ওই ব্যক্তি বলে যদি রাষ্ট্রের জন্য আমাকে পুরো দিন বিয়ে করতে হয় তাহলে আমার পরিবার চলবে কিভাবে।

আর এইভাবে কথা শোনার পর তিনাকে ভাতা প্রদান করা হয়, যেন ইসলামের রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব হয়।

আর এই হাদিস থেকে এটি স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে অবশ্যই কোরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা আদায় করা জায়েজ রয়েছে।

এই হাদিস থেকে এটি স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে অবশ্যই আমরা কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নিতে পারব এবং জায়েজ হবে। আর অবশ্যই কোন ক্ষেত্রে জায়েজ হবে তা তো আপনারা বুঝতে পেরে গেছেন কেননা সে অনুযায়ী হাদীসটি ব্যক্ত করা হয়েছে আপনাদের মাঝে।

শেষ কথা:

কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া কি জায়েজ এবং সেই সাথে এ বিষয়ের উপর একটি হাদিস এই পোস্টের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। আর কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া জায়েজ হবে কিনা এ বিষয়ে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন করুন।

আমাদের এই পোস্টে সম্পূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন ক্ষেত্রে আপনার জন্য কুরআন শিক্ষা দিয়ে অর্থ নেওয়া জায়েজ হবে।

কখনোই বলা উচিত হবে না যে সর্বক্ষেত্রে কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়া যায় কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে টাকা নেওয়া জায়েজ আছে।

তবে, যদি নিজে কোন প্রতিষ্ঠানে না কাজ করে ও বাসায় অন্যকে শিক্ষা দিতে চান তাহলে অর্থ বা টাকা নিতে পারেন।

আবার আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে কোন টাকা না নিয়েই অন্যকে কুরআনের শিক্ষা দিতে পারেন এবং এতে সওয়াব পেতে পারেন।

ইসলাম যেহেতু বলেই দিয়েছে যে, তুমি যা জানো অন্যকে তা পৌঁছে দাও এবং কুরআন শিক্ষাটি অন্যরের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে।

আর এই দায়িত্বটি যেহেতু আমাদের সকলের উপর তাই আমাদের সকলকে এই বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে অন্যকে কুরআন শিক্ষা দিতে হবে।

আরও পড়ুন: মানসম্মত শিক্ষা কাকে বলে?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top