কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়?

কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়: কুকুর কামড়ানোর পর যত দ্রুত সম্ভব তত দ্রুত এর প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করা খুবই জরুরী। খুব বেশি হলে ২৪ ঘন্টা বা একদিনের মধ্যেই আপনাকে প্রথম ডোজ গ্রহণ করতে হবে।

কুকুর কামড়ানোর কারণে জলাতঙ্ক নামক একটি রোগ হয়।  আর এই রোগের চিকিৎসার জন্য চারটি ডোজে টিকা প্রদান করা হয়।

এর দ্বিতীয় ডোজটি আপনাকে ৭ দিন পর গ্রহণ করতে হবে। আর তৃতীয় ডোজটি আপনাকে গ্রহণ করতে হবে ১৪ তম দিনে।

আর চতুর্থ ডোজটি ২১ থেকে ২৮ তম দিনের মধ্যে গ্রহণ করতে হবে, এইভাবে টিকা গ্রহণে কুকুর কামড়ানোর সকল প্রতিকার হবে।

কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়
কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়

কুকুর কামড়ানোর পরে সে জায়গা থেকে যদি রক্ত বের হয় তাহলে সেই রক্ত বন্ধের প্রথমে ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর ডেটল বা যে কোন এন্টিসেপটিক দিয়ে সেই জায়গাটা একটু ভালো মতো ধুয়ে নিতে হবে, সাবধানে নরম কোন কাপড় দিয়ে  ধুয়ে নিতে হবে।

সরাসরি ঐ স্থান স্পর্শ করা যাবে না এর কারণ হলো হাতের মাধ্যমে ঐ জীবাণু আপনার শরীরের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে।

পরিষ্কার করার সময় অনেক সাবধানে পরিষ্কার করুন, যেন অসুস্থ ব্যক্তি কম ব্যথা পায় এবং জীবাণু দ্বারা আপনিও সংক্রমিত না হন।

কুকুরের কামড়ের ইনজেকশন দাম কত?

কুকুর কামড়ানোর পরে আপনি যদি কোন সরকারি হাসপাতালে জান যেমন মেডিকেল হাসপাতাল, তাহলে সেখানে আপনাকে ফ্রি অর্থাৎ বিনামূল্যে ইনজেকশন দেওয়া হবে। কিন্তু কুকুর কামড়ানোর আরেকটি ইনজেকশন রয়েছে যার বাজারজাত মূল্য হলো ৯ শত টাকা

কুকুর কামড়ানোর ফলে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইনজেকশন বা টিকা গ্রহণ করতে হবে।

তবে এক্ষেত্রে ইনজেকশন বা টিকার দাম কত তা জেনে রাখা অনেক বেশি দরকারী হয়ে ওঠে প্রতারিত না হওয়ার জন্য।

যদিও সম্ভব নয়, তবু দাম জেনে রাখা বেশি দরকার হয় কেননা প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কম এবং আর্থিক ক্ষতি হয় না।

কুকুর কামড়ালে যেহেতু অবশ্যই ইনজেকশন গ্রহণ করতে হবে, সেহেতু স্থান অনুযায়ী বিভিন্ন ডাক্তার বিভিন্ন রকম ইনজেকশন এর দাম নিয়ে থাকেন।

তবে আপনি যদি সরকারি কোন হাসপাতাল থেকে ইনজেকশন গ্রহণ করেন তাহলে এক্ষেত্রে টাকার প্রয়োজন নাও হতে পারে। বাংলাদেশের যতগুলো সদর হাসপাতাল রয়েছে সেগুলোতে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং ইনজেকশন এর জন্য কোন টাকা গ্রহণ করেন না।

আশা করা যায়, আপনারা কুকুর কামড়ানোর ইনজেকশনের দাম সম্পর্কে জানার মাধ্যমে অনেক বেশি উপকৃত হতে পেরেছেন।

মনে রাখবেন কুকুর কামড়ানোর পর যেহেতু ইনজেকশন দিতে হবে, সেহেতু দাম বেশি করে ধরলেও আপনাকে উচ্চ দামে ইনজেকশন নিতে হবে।

শেষ কথা:

কুকুর কামড়ানোর কতদিনের মধ্যে ইনজেকশন দিতে হবে এ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আজকের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে। আপনাকে যদি ইতিমধ্যে কোন কুকুর আক্রমণ করে বসে থাকে এবং বিভিন্ন জায়গায় আহত করে থাকে তাহলে অবশ্যই ইনজেকশন নিতে হবে।

আহত হওয়ার পর আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান এবং জলাতঙ্ক রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই ইনজেকশন নিতে হবে।

ইনজেকশনের দাম সময় ও স্থান অনুযায়ী ভিন্ন সময় ভিন্ন দামে বিক্রি হতে পারে এটাই স্বাভাবিক এবং প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত হয়।

তবে দাম যাই হোক না কেন, আপনাকে অবশ্যই যেহেতু কুকুর কামড়ানোর ইনজেকশন গ্রহণ করতে হবে। শারীরিক সুস্থতা লাভের ক্ষেত্রে এবং জলাতঙ্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কুকুর কামড়ানোর ইনজেকশন গ্রহণ করার দরকারি হয়ে ওঠে।

ধন্যবাদ, কুকুর কামড়ানোর আজকের এই প্রতিকার স্বরূপ পোস্টটি পড়ার জন্য এবং স্বাস্থ্য টিপস গ্রহণ করার জন্য আমাদের মাধ্যমে।

কুকুর কামড়ানোর পর অবশ্যই অবহেলা করবেন না বরং উচিত সময় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর ইনজেকশন গ্রহণ করুন।

আরও পড়ুন: স্বপ্নে গরু দেখলে কি হয়?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top