কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় নিয়ে অনেকেই জানার জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটিতে প্রবেশ করেছেন। আর আপনি যেহেতু আমাদের পোস্টে প্রবেশ করেছেন তাই আমি আপনাদেরকে নিরাশ করবো না এবং যথাযথ উপায় দিব যেন আপনি আপনার কিডনি পরীক্ষা করতে পারেন।
বর্তমানে নানা ধরনের অসুবিধা এই কিডনের কারণে আমরা আমাদের শরীরে অনুভব করতে পারি, তবে চিহ্নিত করতে পারে না। অর্থাৎ কিডনির কারণে আমাদের যে এই সকল সমস্যা হয়েছে এটি বুঝতে না পারার কারণে আমাদের কিডনি সমস্যা আরো বেশি তীব্র হয়ে ওঠে।

আপনি যেন খুব সহজে আপনার কিডনি ভালো আছে কিনা তা জানতে পারেন বা বুঝতে পারেন সেজন্য এখানে তথ্য দিব। ১০টি উল্লেখযোগ্য কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় সমূহ উল্লেখ করা হলো:
- প্রসাবে জ্বালা যন্ত্রনা দেখা দেয় এবং অস্বাভাবিক প্রসাবে দেখা দেয়।
- শরীরের ওজন হ্রাস পায় এবং ক্ষুধা কমে যায়।
- শরীরের যে কোন অংশে ফোলা ফোলা ভাব দেখা দেয় এবং রস জমে থাকে।
- মাঝে মাঝে প্রসাবের সঙ্গে রক্তপাত পরিলক্ষিত হয়।
- ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব এবং ঘুমাতে অসুবিধা দেখা দেয়।
- ত্বকের রং ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া এবং নখ ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া।
- শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় (বিশেষ করে ঘুমানোর সময়)।
- বেশি নাড়াচাড়া করতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া ও টানটান অনুভব করা।
- মাথা ব্যথা সহ অসুস্থ বোধ করা।
- ত্বকে চুলকানি দেখা দেওয়া এবং ত্বকে নানা ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা।
প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি নষ্ট হলে কোন ধরনের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় না এবং ফলে আমরা কেউ কিডনির সমস্যা হতে পারে না। যখন আমাদের কিডনি পরিপূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখন এই সকল লক্ষণ পরিলক্ষিত হবে।
এর ফলস্বরূপ আমরা সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হতে পারে এবং কিডনির সমস্যায় ভুগতে পারি।
আপনি যদি লক্ষ্য করেন আপনার শরীরে এই রূপ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে, তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরীক্ষা করা উচিত। কেননা উচিত সময় পরীক্ষা করার মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের ফলে আপনি খুব সহজেই সুস্থ হতে পারেন।
কিডনি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
আপনি যদি উপরোক্ত উপাগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে বুঝতে পারেন যে আপনার কিডনি উপযুক্ত নয় ভালো থাকার। তাহলে অবশ্যই আপনি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার এই কিডনি খুব সহজে সুস্থ করতে পারেন বা ভালো করতে পারেন।
কিডনি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো কিডনির স্বাভাবিক কাজা কোন ব্যাঘাত না ঘটানো।
এর জন্য আমরা কতিপয় নিয়ম অবলম্বন করতে পারি, যেমন:
- দৈনিক বেশি বেশি করে পানি পান করা এবং এর অভ্যাস তৈরি করা।
- উচিত সময় চাপ আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রসাব ক্রিয়া সম্পূর্ণ করা।
- প্রসাবে জ্বালা যন্ত্রণা অনুভব হলে, ছায়াযুক্ত স্থানে অবস্থান করা।
- যেকোনো ধরনের ঔষধ অধিক মাত্রায় সেবন না করা।
- অযথা সিভিট বা রস শোষণকারী ঔষধ সেবন না করা।
- পেইন কিলার বা ব্যথা নাশক ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকা।
- পরিমাণ অনুযায়ী ব্যায়াম করা এবং অযথা আঘাত আনার মত দৌড়াদৌড়ি না করা।
- পেটের দুই সাইটে ব্যথা অনুভূত হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
এগুলা ছিল কিছু উপায় যে উপায় গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার দুর্বল হয়ে যাওয়া কিডনি সবল করতে পারেন। আর আপনি যেন আপনার কিডনির পরিপূর্ণ চিকিৎসা গ্রহণ করার মাধ্যমে সুস্থ করতে পারেন সেজন্য এখানে কিডনি ভালো রাখার উপায় লিখেছি।
যখন আপনি আপনার কিডনি সুস্থ করার চেষ্টা করবেন তখন অবশ্যই এটি কার্যকর হবে আপনার কিডনি ভালো রাখার জন্য।
শেষ কথা:
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় এবং কিডনি রোগে থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় নিয়ে আজকের এই পোস্টটিতে তথ্য দিয়েছি। আর অবশ্যই বর্তমানে কিডনি জনিত সমস্যা যেহেতু অনেকেই অতিবাহিত রয়েছেন তাই এই পোস্টটি সকলের জন্য অনেক উপকারী হবে।
আপনিও যদি কিডনি সমস্যাটি নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটিতে দেওয়া তথ্যগুলো পরিপূর্ণরূপে মেনে চলুন।
আর অবশ্যই মনে রাখবেন অযথা কিডনি নষ্ট হয়েছে এমন চিন্তা না করে প্রথমে চিহ্নিত করুন আপনার কিডনি ভালো আছে কিনা।
আর আপনার কেটে নিয়ে ভালো আছে কিনা এটি বুঝার জন্য আমি উপরে কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখও করেছি কিডনি নিয়ে। আর আমাদের দেশে তথ্যগুলো তারা আপনি খুবই সহজে চিহ্নিত করতে পারবেন যে আপনার কেটে নিয়ে ভালো আছে কিনা খারাপ।
ধন্যবাদ, কিডনি সংক্রান্ত আজকের আমাদের এই পোস্টটিতে আপনার মূল্যবান প্রতিক্রিয়া উপলব্ধি দেখানোর জন্য।
আরও পড়ুন: হৃদরোগ কি?